বর্তমানে আমেরিকার ডলারের চেয়ে শক্তিশালী অবস্থানে রয়েছে জাপানের মুদ্রা ইয়েন। গত চার মাসের সাপ্তাহিক দরপতন থেকে এ তথ্য জানা গেছে। জাপানের ব্যবসায়ীরা মনে করছেন, দুই দেশের মধ্যে সুদহারের ব্যবধান কমে আসবে।
ডলার
বাংলাদেশে দুই সপ্তাহ ধরে আবারো অস্থিরতা ডলারের বাজারে। প্রণোদনাসহ সর্বোচ্চ ১১৬ টাকা দরে প্রবাসী আয় কেনার নির্দেশনা থাকলেও অনেক ব্যাংক এমনকি ১২৪ টাকা দরেও ডলার কিনেছে বলে অভিযোগ ওঠে।
দেশের বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ বা মজুত প্রতিনিয়ত কমছে। আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিলের (আইএমএফ) বিপিএম-৬ পদ্ধতির ভিত্তিতে এবার এক সপ্তাহের ব্যবধানে রিজার্ভ কমেছে ১১৮ কোটি ডলার।
ডলারের বিপরীতে স্থানীয় মুদ্রার পতনে ভুগছে সাব-সাহারা আফ্রিকার ৪৬টি দেশের অর্থনীতি। বৈশ্বিক বাণিজ্য মুদ্রার বিপরীতে বেশির ভাগ সাব-সাহারা আফ্রিকান মুদ্রা দুর্বল হয়ে পড়ছে। ফলে স্থানীয় মুদ্রার মান ও ক্রয়ক্ষমতা দিন দিন কমছে। খবর বিবিসি।
ব্যবসা-বাণিজ্যে ডলার লেনদেন হয় শুধু অ্যাকাউন্টে স্থানান্তরভিত্তিক। দেশের বাইরে যাওয়ার সময় মানুষ ব্যাংক বা খোলাবাজার থেকে নগদ ডলার কিনে নিয়ে যায়। এর বাইরে সাম্প্রতিক সময়ে একটি শ্রেণি বিনিয়োগের উপাদান হিসেবে বেছে নিচ্ছে ডলারকে।
খোলাবাজারে ফের ডলার সংকট দেখা দিয়েছে। প্রতি ডলারের দর উঠেছে ১২৬ টাকা পর্যন্ত। মানি এক্সচেঞ্জ থেকে ব্যাংক বড় অংকের নগদ ডলার কেনায় এমন সংকট তৈরি হয়েছে বলে মনে করছেন সংশ্লিষ্টরা। শুধু ডলারই নয়, ইউরোসহ অন্যান্য বৈদেশিক মুদ্রারও সংকট দেখা দিয়েছে।
খোলা বাজারে ২৪ ঘণ্টায় ডলারের দাম ৫-৬ টাকা বেড়ে গেছে। বৃহস্পতিবার (৯ নভেম্বর) মানি এক্সচেঞ্জগুলোতে প্রতি ডলার বিক্রি হয়েছে ১২৭ টাকায়।
আন্তঃব্যাংকে ডলারের দাম ৫০ পয়সা বাড়ল। গত বুধবার আন্তঃব্যাংকে প্রতি ডলার বিক্রি হয়েছে ১১১ টাকা করে। এর আগে মঙ্গলবার আন্তঃব্যাংকে ডলার বিক্রি হয়েছিল ১১০ টাকা ৫০ পয়সা করে।
বর্তমান বিশ্ব প্রেক্ষাপটে অর্থনীতির সবচেয়ে আলোচিত, গুরুত্বপূর্ণ ও স্পর্শকাতর সূচক বিদেশি মুদ্রার সঞ্চয়ন বা রিজার্ভের অন্যতম প্রধান উৎস প্রবাসীদের পাঠানো রেমিটেন্স প্রবাহে ফের উল্লম্ফন দেখা দিয়েছে।
অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল বলেছেন, বর্তমানে দেশের মাথাপিছু ঋণ প্রায় ৩৬৫ ডলার।