ভারত সফররত তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ নয়াদিল্লিতে দেশটির পররাষ্ট্রমন্ত্রী এস জয়শংকর এবং তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রী অনুরাগ সিং ঠাকুরের সাথে বৈঠক করেছেন।
পররাষ্ট্রমন্ত্রী
পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ কে আবদুল মোমেন বলেছেন, এয়ার বাবলের আওতায় ২০ আগস্ট থেকে ভারতের সঙ্গে আকাশপথে যোগাযোগ চালু হচ্ছে। করোনা পরিস্থিতির কারণে গত প্রায় চার মাস ধরে আকাশপথে যোগাযোগ বন্ধ ছিল।
পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেন এমপি বলেছেন বাংলাদেশে টিকার কোন সংকেট নেই। দেশের সকল নাগরিকই কভিড-১৯ প্রতিরোধক টিকা পাবেন।
বাংলাদেশ অক্সফোর্ড–অ্যাস্ট্রাজেনেকার ৩৫ লাখ টিকা পেতে যাচ্ছে। টিকার বৈশ্বিক উদ্যোগ কোভ্যাক্সের আওতায় চলতি মাসের শেষ সপ্তাহে বা আগস্টের প্রথম সপ্তাহে এই টিকা দেশে আসার কথা রয়েছে।
পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড এ কে আব্দুল মোমেন বলেছেন, বাংলাদেশ আরো বেশ কয়েকটি দেশের কাছ থেকে করোনার টিকা পাওয়ার বিষয়ে ইতিবাচক ইঙ্গিত পেয়েছে।
ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে ফরেন সার্ভিস ডিবেটিং ক্লাবের উদ্বোধন শেষে সাংবাদিকদের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আবদুল মোমেন বলেন, ‘শিগগিরই কোভিড-১৯ টিকার স্বল্পতা কেটে যাবে। টিকা পাওয়া নিয়ে কোনো সমস্যা থাকবে না।’
বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের সোনার বাংলা কোন কল্পকাহিনী নয়, ভিশন ২০৪১ হলো সোনার বাংলা বাস্তবায়নে দেশকে উন্নয়নের পথে নিয়ে যাবার একটি পরিকল্পনা। যে দেশের অর্থনীতিকে এক সময় ‘’তলাবিহীন ঝুড়ি’’ হিসেবে অভিহিত করা হয়েছিল আজ সে দেশের অর্থনীতি বিশ্বের কাছে উন্নয়নের বিস্ময় হিসেবে বিবেচিত হচ্ছে। সরকারের ভিশন ২০২১ উন্নত বাংলাদেশ গড়ার মূল মন্ত্র হিসেবে গত এক দশকে দেশের উন্নয়নে প্রশংসনীয় অবদান রেখেছে এবং এরই ধারাবাহিকতায় ভিশন ২০৪১ হাতে নেয়া হয়েছে যা আগামী দুই দশকে উন্নত বাংলাদেশ তথা সোনার বাংলা গড়ায় অবদান রাখবে।
চীনা উদ্যোগে আয়োজিত এই সম্মেলনে এশিয়া প্যাসিফিক অঞ্চলের বিভিন্ন দেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রীরা যোগ দেন। সম্মেলনে করোনা মহামারি প্রতিরোধে পররাষ্ট্র মন্ত্রী ৫ দফা প্রস্তাব পেশ করেন। তিনি বলেন, বাংলাদেশের মতো দেশ, যেসব দেশের টিকা উৎপাদনে সক্ষমতা আছে, সেসব দেশকে টিকা উৎপাদনে সহায়তা দিন। করোনা নিয়ে তথ্য আদান-প্রদান, করোনা প্রতিরোধে যৌথ উদ্যোগ ও সমন্বয়, টিকাকে জনগণের সম্পত্তি ও কোভ্যাক্স উদ্যোগকে আরো শক্তিশালী করতে প্রস্তাব দেন ড. মোমেন।
সবার জন্য করোনাভাইরাসের টিকা নিশ্চিত করতে জাতিসংঘকে অনুরোধ করেছে বাংলাদেশ। জাতিসংঘ সদর দফতরে সংস্থাটির মহাসচিব অ্যান্তোনিও গুতেরেসের সাথে দ্বিপক্ষীয় বৈঠকের সময় এই অনুরোধ করেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আবদুল মোমেন।