পানি শব্দটি আক্ষরিক বিবেচনায় ছোট হলেও বাস্তবতায় এর মূল্য কম নয়। পৃথিবীর সব কিছুই মৌলিকভাবে পানির ওপর নির্ভরশীল। সে জন্য পানিকে বলা হয় সব প্রাণের উৎস। সৃষ্টিকর্তার এই অপরূপ ও অপার নিয়ামত, শুধু দেহের পিপাসাই নিবারণ করে না, এটি ব্যবহৃত হয় সৃষ্টির নানাবিধ কাজের ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ উপকরণ হিসেবে এবং পৃথিবীর জীববৈচিত্র্য রক্ষায় রাখে অনস্বীকার্য অবদান।
ঘুম থেকে ওঠার পর দৈনিক ৩-৪ গ্লাস পানি শরীরের রিহাইড্রেশনের জন্য দরকার। ঘুম থেকে উঠে এক গ্লাস পানি পানে স্মরণশক্তি বাড়ে ও মানসিক বিকাশে সাহায্য করে।
দেহের কোষ, কলা বা টিস্যু, বিভিন্ন অঙ্গ তথা মস্তিষ্ক, কিডনী, পাকস্থলী, ত্বক, চুল ইত্যাদির যথাযথ কার্যকারীতার জন্য পানি অত্যাবশ্যকীয়। শরীরের সকল প্রকার কার্যাবলী সুষ্ঠুভাবে সম্পাদনের জন্য পর্যাপ্ত পরিমাণ পানি পান করা প্রয়োজন।
শরীর সুস্থ রাখতে চাইলে প্রতিদিন নিয়ম করে পানি পান করতেই হয়। সারা দিনে দুই লিটারের কম পানি খেলে শরীর শুকিয়ে যেতে পারে। সবচেয়ে ভালো হয় যদি আপনি দিনে তিন-চার লিটার পানি পান করতে পারেন।
আমাদের প্রতিটি কোষে পুষ্টি উপাদান ও অক্সিজেন পৌঁছে দেয় পানি। ক্ষতিকর ব্যাকটেরিয়াগুলোকে ধুয়েমুছে সাফ করে। খাবারও হজম করায় পানি।
স্বাভাবিক খাওয়া–দাওয়া করেন এমন সুস্থ–সবল মানুষ, তাঁর ওজন ও কাজের ধরনের উপর নির্ভর করে, দিনে ৩–৪ লিটার এমনকি ৫–৬ লিটার পর্যন্ত পানি খেতে পারেন। তবে ঠাণ্ডা ঘরে এসির মধ্যে শুয়ে–বসে থাকা মানুষ যদি লিটার লিটার পানি পান করতে শুরু করেন, সমস্যা আছে। কম লবণ খেলে তো বিশেষ করে।
গলা ব্যথা, সর্দি জ্বরের উপশমের সঙ্গে গরম জলের সম্পর্কটা বহু দিনের। হালে এর সঙ্গে হাত মিলিয়েছে কোভিড-১৯ ভাইরাসও। কিন্তু ঘন ঘন গরম পানি খেলে বা তা দিয়ে গার্গল করলে আদৌ কি ভাইরাসের সংক্রমণ নিয়ন্ত্রণ করা সম্ভব?
অনেকে সকালে ঘুম থেকে জেগে উঠেই পানি পান করেন।
