বয়স্কদের একটি টেকসই সামাজিক নিরাপত্তা ব্যবস্থার আওতায় আনার উদ্যোগ হিসেবে আজ সর্বজনীন পেনশন স্কিম উদ্বোধন করেছে বাংলাদেশ সরকার।
পেনশন
জনগণকে তার সরকারের প্রতি আস্থা ও বিশ্বাস রাখার আহ্বান জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, ‘আমি দেশের প্রতিটি নাগরিকের জীবনকে অর্থবহ করতে চাই।
বহুলপ্রত্যাশিত ‘সর্বজনীন পেনশন কর্মসূচি’র উদ্বোধন করলেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। বৃহস্পতিবার বেলা ১১টা ১০ মিনিটে গণভবন থেকে ভার্চুয়ালি সংযুক্ত হয়ে এ কর্মসূচির উদ্বোধন করেন তিনি।
বৃহত্তর জনগোষ্ঠীর আর্থিক নিরাপত্তা নিশ্চিত করার লক্ষ্যে আজ থেকে চালু হচ্ছে সর্বজনীন পেনশন ব্যবস্থা। বেসরকারি খাতের সব কর্মজীবী এই পেনশনের আওতায় আসতে পারবেন। সকাল ১০টায় এ পেনশন পদ্ধতি উদ্বোধন করবেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
আগামী ১৭ আগস্ট বৃহস্পতিবার সর্বজনীন পেনশন কর্মসূচির উদ্বোধন হতে যাচ্ছে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ভার্চুয়াল পদ্ধতিতে এ কর্মসূচির উদ্বোধন করবেন বলে আশা করা হচ্ছে।
দেশের সব প্রাপ্তবয়স্ক নাগরিককে পেনশনের আওতায় আনার কার্যক্রম আগামী মাসে উদ্বোধন করতে চায় সরকার।
ফ্রান্সে পেনশন পদ্ধতিতে আনা পরিবর্তনের বিরুদ্ধে দেশজুড়ে লাগাতার প্রতিবাদ ক্রমেই সহিংস হয়ে উঠছে। গতকাল বৃহস্পতিবার নবম দিনের বিক্ষোভে দশ লাখ মানুষ অংশ নিয়েছে বলে জানিয়েছে ফ্রান্সের স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়। তবে ট্রেড ইউনিয়নগুলো বলছে প্রতিবাদে শামিল হয়েছে ৩৫ লাখ মানুষ।
ফরাসি সরকারের পেনশন সংস্কার আইনের প্রতিবাদে আবারও রাজধানী প্যারিসের কেন্দ্রস্থলে পুলিশের সঙ্গে সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়েছে প্রতিবাদকারীরা। স্থানীয় সময় শুক্রবার রাতে কয়েক হাজার বিক্ষোভকারী আগুন ধরিয়ে ও পুলিশের দিকে আতশবাজি ছুঁড়ে তাদের প্রতিবাদ জানায়।
দেশের সব প্রাপ্তবয়স্ক নাগরিককে পেনশন ব্যবস্থার আওতায় আনতে জাতীয় সংসদে বিল পাস করা হয়েছে। এর মাধ্যমে ৬০ বছর বয়স হওয়ার পর আজীবন পেনশন সুবিধা ভোগ করতে পারবেন নাগরিকরা।
বাংলাদেশে এখন পর্যন্ত কেবল সরকারি, আধা-সরকারি বা স্বায়ত্তশাসিত সংস্থার কর্মকর্তা-কর্মচারীরা চাকরিজীবীরা অবসরের পর পেনশন সুবিধা পেয়ে থাকেন। কিন্তু দেশের সব কর্মক্ষম মানুষকে পেনশন সুবিধার আওতায় আইনে নতুন একটি আইনের প্রস্তাব করেছে বাংলাদেশের সরকার।