বৃষ্টির

দেশের ছয় অঞ্চলের ওপর দিয়ে অস্থায়ীভাবে দমকা বা ঝোড়ো হাওয়াসহ বৃষ্টি হতে পারে বলে জানিয়েছে আবহাওয়া অধিদপ্তর।বৃহস্পতিবার (৯ মে) সকাল সাড়ে ১০টায় দেশের অভ্যন্তরীণ নদীবন্দরগুলোর জন্য দেওয়া এক পূর্বাভাসে এ তথ্য জানানো হয়।

এপ্রিল জুড়ে রেকর্ড তাপপ্রবাহের পর দেশ জুড়ে শুরু হয়েছে ঝড় ও বৃষ্টিপাত। মে মাসে এসে কালবৈশাখীর তাণ্ডবও দেখা যাচ্ছে কোথাও কোথাও। আবহাওয়ার এমন পরিস্থিতি বজায় থাকবে আরও ৫ দিন। টানা বৃষ্টিতে তাপমাত্রাও অনেকটা সহনীয় পর্যায়ে নেমে আসবে এ সময়ে। তবে এরপরই আবার তাপদাহের সম্ভাবনা দেখছে দেশের আবহাওয়া বিভাগ।

সারাদেশে টানা বৃষ্টির পূর্বাভাস দিয়েছে আবহাওয়া অধিদপ্তর।সোমবার (৬ মে) সকালে আবহাওয়ার দেওয়া ৭২ ঘণ্টার পূর্বাভাসে বলা হয়, লঘুচাপের বর্ধিতাংশ পশ্চিমবঙ্গ থেকে বাংলাদেশের দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চল হয়ে উত্তর-পশ্চিম বঙ্গোপসাগর পর্যন্ত বিস্তৃত রয়েছে।

ঢাকাসহ সারাদেশে গত দুইদিন তাপমাত্রা কিছুটা কম ছিল। তবে আবহাওয়া অধিদপ্তর বলছে, রোববার (৫ মে) দেশের ৮ বিভাগে ঝোড়ো হাওয়াসহ বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে। এ ছাড়া দেশের পশ্চিমাঞ্চল ও মধ্যাঞ্চলে বিরাজমান তাপপ্রবাহ অব্যাহত থাকতে পারে।

দেশের সাত অঞ্চলের ওপর দিয়ে সর্বোচ্চ ৬০ কিলোমিটার বেগে ঝড়ের পূর্বাভাস দিয়েছে আবহাওয়া অধিদপ্তর। সেইসঙ্গে বজ্রসহ বৃষ্টিও হতে পারে বলে জানিয়েছে সংস্থাটি। এসব এলাকার নদীবন্দরগুলোকে ১ নম্বর সতর্ক সংকেত দেখাতে বলা হয়েছে।

এপ্রিলজুড়ে তাপপ্রবাহের পর ইতোমধ্যে দেশের কয়েক জেলায় বৃষ্টি হয়েছে। এখনো পর্যন্ত সিলেট, চট্টগ্রাম, ফেনী ও রাঙ্গামাটিতে বৃষ্টিপাতের খবর পাওয়া গেছে। এ ধারাবাহিকতায় (আজ বৃহস্পতিবার) সন্ধ্যার মধ্যে ঢাকায়ও বৃষ্টিপাতের সম্ভাবনা আছে বলে জানিয়েছে আবহাওয়া অধিদপ্তর।

খাগড়াছড়ির পানছড়িতে বৃষ্টি প্রার্থনা করে ইসতিসকার নামাজ আদায় করা হয়েছে। এতে অংশ নেয় বিপুল সংখ্যাক মুসল্লি। বুধবার পানছড়ি ইসলামিয়া সিনিয়র (আলিম) মাদ্রাসা মাঠে এ নামাজ ও দোয়া প্রার্থনা করা হয়। 

তাপদাহে পুড়ছে দেশ। দিনদিন তাপমাত্রার পারদ ওপরের দিকে উঠছে। প্রখর তাপে বিপর্যস্ত জনজীবন। গরম ও অস্বস্তিতে হাঁসফাঁস করছে সাধারণ মানুষ। কখনো তীব্র আবার কখনো অতি তীব্র তাপপ্রবাহ বয়ে যাচ্ছে দেশের বেশ কিছু অঞ্চলের ওপর দিয়ে।

দেশের ৭ জেলায় অতি তীব্র তাপপ্রবাহ বয়ে চলেছে। এর মধ্যেই চট্টগ্রাম ও সিলেট বিভাগে বৃষ্টির পূর্বাভাস দিয়েছে আবহাওয়া অধিদফতর।

অনাবৃষ্টি, খরা ও প্রচণ্ড তাপদাহ থেকে পরিত্রাণ পেতে বৃষ্টির আশায় শেরপুর পৌরসভা ঈদগাহ মাঠে ইসতিসকার নামাজ আদায় করেছেন স্থানীয় মুসল্লিরা।