বাংলাদেশের মানুষ এখন গণতন্ত্র চায়, বাংলাদেশের মানুষ কথা বলতে চায় এবং তারা তাদের ভোটের অধিকার ফিরে পেতে চায়। দুর্ভাগ্য আমাদের আজকে এমন একটি সময় যখন একটি রাজনৈতিক দল রাষ্ট্রক্ষমতাকে ব্যবহার করে বিনা ভোটে অন্যায়ভাবে ক্ষমতায় বসে আছে।
মির্জা ফখরুল
‘সরকার আজকে অত্যন্ত পরিকল্পিতভাবে বাংলাদেশের মানুষকে তাদের অধিকার থেকে বঞ্চিত করেছে। মানুষের যে পরিচিতি আছে সেখান থেকে দূরে ঠেলে দিতে চাইছে।
করোনাভাইরাসের ভ্যাকসিন নিয়ে দেশে মেগা লুটপাট চলছে বলে দাবি করেছেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। শুক্রবার (১৫ জানুয়ারি) ঠাকুরগাঁওয়ে নিজ বাসভবনে সাংবাদিকদের সাথে মতবিনিময়ের সময় তিনি এ কথা বলেন।
'ওবায়দুল কাদের সাহেব বলেছেন বিএনপির ভোট ডাকাতির রেকর্ড নাকি কেউ ভাঙতে পারবে না। উনি কি ভাঙতে চান? রেকর্ড ভাঙতে চায় বলেই ২০১৮ সালের নির্বাচনের আগের রাতে চরম ভোট ডাকাতি করেছে।
বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, নতুন বছরে গণঅভ্যুত্থানের মাধ্যমে বর্তমান সরকারকে হটিয়ে গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা করা হবে বলে।
‘যুগে যুগে ধর্ম প্রচারকগণ মানুষকে অন্ধকার পথ থেকে আলোর পথ দেখিয়েছেন। স্রষ্টার সন্তুষ্টি অর্জনের মাধ্যমে ইহলৌকিক শান্তি ও পারলৌকিক মুক্তির জন্য সত্য ও ন্যায়ের পথে পরিচালিত হতে সবাইকে প্রেরণা যুগিয়েছেন।’
সরকার উন্নয়নের কথা বলে জনগণকে বিভ্রান্ত করছে। আজকে বলা হচ্ছে যে, এই সরকার যথেষ্ঠ উন্নয়ন করেছে, তারা নিজেরাই নিজেদের কথা বলছে এবং তারা নিজেদেরকে একটা উন্নয়নের রোল মডেল বলছে।
মুক্তিযুদ্ধে বিজয় এলেও বাংলাদেশের মানুষের মুক্তি আসেনি। গণতন্ত্র পুনরুদ্ধার ও দলীয় চেয়ারপার্সনের মুক্তির জন্য বিএনপি সংগ্রাম করছে বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।
‘আমাদের চলমান সংগ্রামের মূল লক্ষ্য গণতন্ত্র ও দেশনেত্রীর মুক্তির আন্দোলনকে বেগবান করা। ‘৯০ এর গণঅভ্যুথানের চেতনায় গণতন্ত্রের দুশমনদের বিরুদ্ধে লড়াইয়ে বিজয় অর্জন করা।’
‘শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমান ঘোষণা দিয়ে স্বাধীনতা যুদ্ধ শুরু করেছিলেন। আজকে স্বাধীনতার ইতিহাস বিকৃত হচ্ছে। সেই বিকৃত ইতিহাস সম্পর্কে আমাদেরকে নতুন প্রজন্মকে জানাতে হবে। সরকারের স্বাধীনতার বিকৃত ইতিহাস সম্পর্কে জনগন সজাগ করতে হবে।’