মিয়ানমারের জান্তা সরকার ও বিদ্রোহী গোষ্ঠীগুলোর মধ্যে সংঘাতের ইস্যুটি বাংলাদেশেও তুমুল আলোচনার বিষয় হয়ে দাঁড়িয়েছে, কেন না বিদ্রোহীদের হামলার মুখে মিয়ানমারের সীমান্তরক্ষী বাহিনী ও সেনাবাহিনীর বহু সদস্য বাংলাদেশে পালিয়ে এসে আশ্রয় নিয়েছেন।
মিয়ানমার
বাংলাদেশের বিরোধী দল বিএনপি আজ (বুধবার) একটি সংবাদ সম্মেলনে মিয়ানমারের চলমান পরিস্থিতির সাথে ঢাকার শেখ হাসিনা সরকারের কোনও সম্পর্ক আছে কি না, এমন প্রশ্ন তুলেছে।
মিয়ানমার থেকে বুধবার আরও ৬৩ জন বর্ডার গার্ড পুলিশ বা বিজিপি সদস্য পালিয়ে বাংলাদেশে এসেছে। এ নিয়ে মিয়ানমার থেকে ৩২৭ জন নিরাপত্তা রক্ষী বাংলাদেশে পালিয়ে আসল।
মিয়ানমারে বিদ্রোহী গোষ্ঠীগুলোর সাথে জান্তা সরকারের চলমান সংঘর্ষের মধ্যে দেশটির সেনা ও সীমান্তরক্ষী বাহিনীর কয়েক শ’ সদস্য বাংলাদেশে আশ্রয় নিয়েছে।
মিয়ানমারের অভ্যন্তরে সরকারি বাহিনীর সঙ্গে বিদ্রোহীদের লড়াই ক্রমেই তীব্রতর হচ্ছে। তাদের ছোড়া গুলি ও মর্টারশেল সীমান্ত অতিক্রম করে বাংলাদেশে এসে পড়ছে। এরইমধ্যে এক বাংলাদেশিসহ দুজন নিহত হয়েছে। ফলে আতঙ্কে জনশূন্য হয়ে পড়েছে বান্দরবানের নাইক্ষ্যংছড়ি সীমান্তের ঘুমধুম ইউনিয়নের সাতটি গ্রাম।
পররাষ্ট্রমন্ত্রী এবং বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ড. হাছান মাহ্মুদ বলেছেন, মিয়ানমারের সীমান্তরক্ষী বিজিপি সদস্যদের ফিরিয়ে নেওয়ার বিষয়ে আলোচনা চলছে।
বাংলাদেশ-মিয়ানমার সীমান্তে রক্তাক্ত সহিংসতায় বাংলাদেশ আক্রান্ত হওয়ার ঘটনায় নিন্দা জানিয়ে বিবৃতি দিয়েছে বিএনপি।
আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন, মিয়ানমারে চলমান সংঘাত তাদের অভ্যন্তরীণ।
মিয়ানমার সীমান্তের ওপার থেকে ছোড়া মর্টার শেলের আঘাতে বাংলাদেশিসহ দু’জনের মৃত্যুর ঘটনাসহ চলমান পরিস্থিতির জেরে ঢাকায় মিয়ানমারের রাষ্ট্রদূত অং কিউ মোয়েকে তলব করছে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়।
মিয়ানমারের অভ্যন্তরে ক্ষমতাসীন জান্তা বাহিনীর সঙ্গে আরাকান আর্মিসহ স্বাধীনতাকামী সশস্ত্র গোষ্ঠীগুলোর চলমান সংঘর্ষে নাস্তানাবুদ হয়ে বাংলাদেশে পালিয়ে এসেছেন দেশটির বর্ডার গার্ড পুলিশের (বিজিপি) আরও ১১ জন সদস্য। এ নিয়ে সীমানার এপারে আশ্রয় নেওয়া বিজিপি সদস্যের সংখ্যা দাঁড়ালো ১০৬।