ছেলে আরিয়ান খানের মাদক ইস্যুকে কেন্দ্র করে শাহরুখ খানের বাসা মান্নাতে অভিযান চালাচ্ছে ভারতের মাদক নিয়ন্ত্রণ ব্যুরো। টাইমস অব ইন্ডিয়ার খবরে বলা হয়েছে, বৃহস্পতিবার দুপুরে শাহরুখ খান ও গৌরী খানের বাসায় এনসিবি কর্মকর্তাদের প্রবেশের ভিডিও ফুটেজ আমাদের হাতে এসেছে।
বুধবারও শাহরুখ-পুত্রের জামিনের আবেদন মঞ্জুর করল না মুম্বইয়ের এক বিশেষ আদালত। ফলে আরো কয়েক দিনের বন্দিদশা আরিয়ান খানের। জামিন না পাওয়ায় আপাতত তাকে থাকতে হচ্ছে জেল হেফাজতেই।
তারকা সন্তান নন, আরিয়ান খানের পরিচয় এখন 'কয়েদি নম্বর ৯৫৬'। একাধিক বার জামিনের আবেদন করেও আপাতত বলিউড সুপার স্টার শাহরুখ-পুত্রের ঠিকানা হাজতের রুদ্ধদ্বার কক্ষ। জিজ্ঞাসাবাদ যেমন চলছে, চলছে কাউন্সেলিংও। অর্থাৎ মনোবিদদের সাথে কথাবার্তা বলছেন আরিয়ান এবং তার সঙ্গীরা।
সেমাবার ইঙ্গিতপূর্ণভাবে মেহবুবা মুফতি মন্তব্য করেন, 'একজন কেন্দ্রীয় মন্ত্রীর ছেলের বিরুদ্ধে চারজন কৃষককে হত্যার দায়ে অভিযুক্ত করার পরিবর্তে, কেন্দ্রীয় সংস্থাগুলো ২৩ বছর বয়সী এক যুবকের পিছনে পড়েছে। কারণ তার উপাধি খান।'
মাদককাণ্ডের জেরে জেলে রয়েছেন বলিউড বাদশা শাহরুখ খানের ছেলে আরিয়ান খান। অনেক চেষ্টার পরও জামিন মিলেনি তার। ওই কাণ্ডের জেরে শাহরুখ খানের ওপর নেমে এসেছে আরেকটি বিপদ। তাকে সরিয়ে দেয়া হয়েছে অনলাইন শিক্ষাদানের একটি স্বনামধন্য সংস্থার বিজ্ঞাপন থেকে।
শাহরুখ-পুত্রর মনোবল বাড়াতে তার উদ্দেশে এক খোলা চিঠি লিখে ফেললেন প্রকাশ্যে। বললেন, `ঈশ্বর তোমার পরীক্ষা নিচ্ছেন। জীবনের এই কঠিন সময়ে তোমাকে বুঝতে হবে কোনটা ঠিক আর কোনটা ভুল?'
নিজের ছেলে ‘উচ্ছন্নে’ গিয়েছে, আর তিনি শিক্ষা সংক্রান্ত একটি বিজ্ঞাপনে সন্তানদের প্রতিপালন নিয়ে জ্ঞান দিচ্ছেন! বলিউড সুপার স্টার শাহরুখ খানের ছেলে আরিয়ান মাদক-কেলেঙ্কারিতে গ্রেফতার হওয়ার পর থেকেই ওই বিজ্ঞাপনের প্রসঙ্গ টেনে এ ভাবেই কড়া ভাষায় আক্রমণ শুরু হয়েছে নেটমাধ্যমে।
মাদককাণ্ডে ১৬ ঘণ্টা জেরার পর শাহরুখপুত্র আরিয়ান খানকে গ্রেফতার করেছে নারকোটিক্স কন্ট্রোল ব্যুরো (এনসিবি)। শনিবার মুম্বাই থেকে গোয়াগামী একটি প্রমোদতরীতে এক মাদক-পার্টিতে অংশ নিয়েছিলেন আরিয়ান। সেখান থেকেই তাকে আটক করে (এনসিবি)।
ডা. জগ ও কায়রা আবারও একসঙ্গে হচ্ছেন। তবে অন স্ক্রিনে বা অভিনয়ে নয়। তাঁরা দুজন একটাই ফিল্মের জন্য একসঙ্গে হচ্ছেন। বলিউডের কিং অব রোম্যান্স অর্থাৎ শাহরুখ খানকে শেষ দর্শক পর্দায় পেয়েছেন ‘জিরো’ ছবিতে।
ভারতীয় কিছু গণমাধ্যমের "কাণ্ডজ্ঞানহীন রিপোর্টিংয়ের" বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেছে বলিউডের বড় বড় কয়েকটি প্রযোজনা প্রতিষ্ঠান।
