শৈত্যপ্রবাহ ও ঘন কুয়াশায় আচ্ছন্ন উত্তরের জনপদ পঞ্চগড়ের তেঁতুলিয়া। রাত থেকে পড়ছে কুয়াশা, সেই সঙ্গে রয়েছে হিমেল হাওয়া। এতে করে স্থবির হয়ে পড়েছে জীবনযাত্রা।
শৈত্যপ্রবাহ
মাঘের এই পর্যায়ে দেশের বিভিন্ন স্থানে শীতের তীব্রতা বেড়েছে। দেশের চার বিভাগ এবং চার জেলার ওপর দিয়ে বইছে মৃদু থেকে মাঝারি ধরনের শৈত্যপ্রবাহ। তবে আগামী ২৪ ঘণ্টায় রাতের তাপমাত্রা বেড়ে শীতের তীব্রতা কমতে পারে।
লালমনিরহাটে দীর্ঘ দেড় সপ্তাহ যাবৎ মৃদু শৈত্যপ্রবাহ অব্যাহত রয়েছে। প্রচণ্ড ঠান্ডার কারণে বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে প্রাথমিক ও মাধ্যমিক পর্যায়ের সকল শিক্ষা প্রতিষ্ঠান। তাপমাত্রা আরও কমার সম্ভাবনা রয়েছে বলে আবহাওয়ার পূর্বাভাসে বলা হয়েছে।
আবারও মাঝারি শৈত্যপ্রবাহের কবলে পড়েছে উত্তরের জেলা পঞ্চগড়। মঙ্গলবার ভোর ৬টায় ৭ দশমিক ৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা রেকর্ড হয়েছে।
মাঘের প্রথম সপ্তাহে দেশের ছয় জেলাতে বয়ে যাচ্ছে আরেক দফা মৃদু শৈত্যপ্রবাহ। যে কারণে এই ছয় জেলায় শীতের তীব্রতা অন্য এলাকার চেয়ে বেশি।
চলতি মাসের শুরু থেকেই ঘন কুয়াশা আর হাড় কাপানো শীতে জনজীবন বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছিল। তবে গত কয়েক দিন কুয়াশার ঘনত্ব কমে আসার পাশাপাশি সূর্যের দেখা মেলায় শীতের তীব্রতা কম ছিল। এতে কিছুটা স্বস্তি মিললেও ফের দুঃসংবাদ দিলো আবহাওয়া অধিদপ্তর।
আবহাওয়া অধিদপ্তর জানিয়েছে, দেশের ছয় জেলার উপর দিয়ে মৃদু শৈত্যপ্রবাহ বয়ে যাচ্ছে। যা অব্যাহত থাকবে। পাশাপাশি আগামী ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে শীত বাড়ার সম্ভাবনা রয়েছে। আজ রবিবার বাংলাদেশ আবহাওয়া অধিদপ্তরের আবহাওয়াবিদ ড. মুহাম্মদ আবুল কালাম মল্লিকের দেওয়া পূর্বাভাসে এ তথ্য জানানো হয়।
প্রবাদে আছে, মাঘের শীতে বাঘে কাঁপে। চলতি বছর প্রবাদের ফলাফল দেখতে পাচ্ছে দেশের মানুষ। তীব্র শীত আর ঘণ কুয়াশায় মাঘের শীত জাঁকিয়ে বসেছিল।
উত্তরের জেলা দিনাজপুরে গত ১০ দিন ধরে রাভভর বৃষ্টির মতো ঝরছে কুয়াশা। বুধবার (১৭ জানুয়ারি) শেষ বিকেলে সূর্যের দেখা মিললেও আজ আবারও শৈত্যপ্রবাহ শুরু হয়েছে। তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস।
সারা দেশে মৃদু শৈত্যপ্রবাহ বয়ে যাচ্ছে। এর মধ্যে ঢাকার বাতাসের মান ‘অস্বাস্থ্যকর’ অবস্থায় রয়েছে। বুধবার (১৭ জানুয়ারি) সকাল ৯টা ২৯ মিনিটে এয়ার কোয়ালিটি ইনডেক্স (একিউআই) ১৭৫ স্কোর নিয়ে ঢাকা বিশ্বের সবচেয়ে দূষিত বাতাসের শহরের তালিকায় পঞ্চম স্থানে রয়েছে।