ঢাকায় বিএনপির মহাসমাবেশে যোগ দিয়ে মিছিলের মধ্যেই স্ট্রোক করে মৃত্যুবরণ করেছেন নারায়ণগঞ্জ মহানগর বিএনপির আহ্বায়ক কমিটির সদস্য মাহমুদ হোসেন।
স্ট্রোক
ময়মনসিংহে বিএনপির শান্তিপূর্ণ পদযাত্রা কর্মসূচিতে নজরজুড়ে বিশাল শোডাউন করেছে বিএনপি। এ সময় অতিরিক্ত তাপদাহে হিস্টস্ট্রোকে আক্রান্ত হয়ে দক্ষিণ জেলা যুবদলের সহ-গণশিক্ষা বিষয়ক সম্পাদক মো. রুহুল আমীন সরকার (৪০) মারা গেছেন।
হিট স্ট্রোক করে সারাদেশে এপ্রিল থেকে এ পর্যন্ত ২০ জনের মতো মানুষের মৃত্যু হয়েছে বলে জানিয়েছে দুর্যোগ ফোরাম। সংগঠনটির হিসেব মতে, এর মধ্যে শিশু ১ জন, নারী ৫ জন এবং পুরুষ ১৪ জন। বেশিরভাগই নিম্ন আয়ের শ্রমজীবী মানুষ।
তীব্র গরমে ছোট-বড় সবাই অতিষ্ঠ। এই গরমে সুস্থ থাকতে পুষ্টিবিজ্ঞানী হেনা নাফিসের পরামর্শ- এসময় অনেকেরই হতে পারে হিটস্ট্রোক।
চলতি সময়ে তাপদাহে জ্বলছে পুরো দেশ। আশঙ্কার বিষয় হলো, গরমের কারণে হিটস্ট্রোকের ঝুঁকি বাড়ে। বয়স্কদের পাশাপাশি শিশুরাও রয়েছে এই ঝুঁকিতে। সেইসাথে রয়েছে কিডনি রোগে আক্রান্ত হওয়ার আশঙ্কা। এ সময় বাড়বে ডায়রিয়া ও ভাইরাল জ্বরের প্রকোপ।
শরীর সুস্থ রাখতে বিশেষভাবে উপকারী কফি। কফিতে রয়েছে ক্লোরোজেনিক অ্যাসিড, যা তাড়াতাড়ি মেদ ঝরাতে সাহায্য করে। কালো কফি শরীরের বিপাকীয় হার বাড়ায়।
স্ট্রোক একটি ঘাতক ব্যাধি। প্রতি বছর প্রায় দেড় কোটি মানুষ এ রোগের আক্রান্ত হন। এর মধ্যে মারা যান অর্ধ কোটি মানুষ আর অর্ধ কোটি পঙ্গুত্ব বরণ করেন। বিশ্বব্যাপী মৃত্যুর দ্বিতীয় কারণ এটি। মারা যাওয়াদের দুই-তৃতীয়াংশ আমাদের মত দেশে ঘটে। দিন দিন স্ট্রোক আক্রান্তের সংখ্যা বেড়েই চলেছে।
ঢাকা শহরে রাস্তায় নামলে মাঝে মাঝে মনে হয় গাড়ি চালকেরা যেন হর্ন বাজানোর প্রতিযোগিতায় নেমেছেন। কোনো কিছু সামনে পড়ে গেলেই কানফাটা শব্দে বেজে উঠছে হর্ন। এক সেকেন্ডও যেন অপেক্ষা করতে রাজি নন চালকেরা।
দীর্ঘ সময় প্রচণ্ড গরমে থাকার ফলে শরীরের তাপমাত্রা ১০৫ ডিগ্রি ফারেনহাইট ছাড়িয়ে গেলে হিটস্ট্রোক হয়। এ অবস্থায় শরীরের ঘাম বন্ধ হয়ে যায় এবং অনেক সময় মানুষ অজ্ঞান হয়ে পড়ে।
দেশজুড়ে বয়ে যাচ্ছে তাপপ্রবাহ। এ চলমান তাপপ্রবাহে প্রচণ্ড গরমে জনজীবনে হাঁসফাঁস অবস্থা। এ পরিস্থিতিতে কোথাও অতিরিক্ত জনসমাগম হলে হিটস্ট্রোকের ঝুঁকি রয়েছে।গরমের দিনে মারাত্মক সমস্যার একটির নাম হিটস্ট্রোক। এর প্রধান কারণ পানিশূন্যতা।