হাদিসে এসেছে, রাসুলুল্লাহ (সা.) ইরশাদ করেন, আল্লাহ তাআলা কিয়ামতের দিন বলবেন, তোমরা মাথা ওঠাও। অতঃপর তারা মাথা ওঠালে তাদের আমল অনুপাতে নূর প্রদান করা হবে।
পরকাল
মানুষ নানা কারণে মানসিকভাবে ভয় ও দুশ্চিন্তায় ভোগে। পবিত্র কোরআনে একাধিকবার মুমিনদের নির্ভয় ও দুশ্চিন্তামুক্তির সুসংবাদ দেওয়া হয়েছে।
একজন মুমিন মুসলমান হিসেবে যেসব বিষয়ের প্রতি ঈমান আনা অত্যাবশ্যক তার অন্যতম হলো- পরকালের প্রতি বিশ্বাস স্থাপন করা। পরকালের প্রতি বিশ্বাস একজন মানুষকে সব রকম পাপাচার থেকে বেঁচে থাকতে সহায়তা করে।
আল কোরআনে আল্লাহ রব্বুল আলামিন বলেন, ‘এ পার্থিব জীবন ক্রীড়া কৌতুক ছাড়া কিছুই নয়। নিশ্চয় পরকালের জীবনই প্রকৃত জীবন, যদি তারা জানত।’ সুরা আনকাবুত আয়াত ৬৪।
মো. আবদুল মজিদ মোল্লা: পরকালে বিশ্বাস ঈমানের অপরিহার্য অংশ। পরকালের বিশ্বাস ও ভয় মানুষকে পরিশুদ্ধ জীবনযাপনে সাহায্য করে।
সব মানুষ পরকালীন যাত্রী। ইহকালীন জীবন শেষে সবাইকে পরকালীন সফরের মুসাফির হতে হয়। রঙিন পৃথিবীর সব মায়া মমতা ত্যাগ করে অফেরা পথে চিরদিনের জন্য চলে যেতে হয়।
মাওলানা সাখাওয়াত উল্লাহ: পরকালে আমার কী হবে—প্রত্যেক মুমিন এই চিন্তায় বিভোর। কিন্তু কোরআনের বর্ণনায় ১০ শ্রেণির মানুষ এমন আছে, পরকালে তাদের কোনো ভয় থাকবে না এবং তারা চিন্তিতও হবে না।
ঈমানের অন্যতম শর্ত হলো, পুনরুত্থানে বিশ্বাস করা। মহান আল্লাহ মৃত্যুর পর আমাদের আবার পুনরুত্থিত করবেন।
একজন জান্নাতি নারী জান্নাতে কাকে স্বামী হিসেবে পাবে, তা নির্ভর করবে দুনিয়ায় চলে যাওয়া তার চার অবস্থার ওপর। কারণ একজন নারী পৃথিবীতে সাধারণত ছয়টি অবস্থার যেকোনো একটি অবস্থায় অবশ্যই থাকবে। এর বাইরে নয়।
শোবিজ ছেড়ে ইসলামী জীবন যাপন শুরু করেছেন এক সময়ের বিতর্কিত চিত্রনায়িকা সানাই মাহবুব। তিনি জানিয়েছেন, করোনায় আক্রান্ত হওয়ার পর হাসপাতালের আইসিইউতে জীবন-মৃত্যুর সন্ধিক্ষণে তিনি বুঝতে পেরেছেন দুনিয়ার জীবন একেবারে ক্ষণস্থায়ী।