কক্সবাজারের টেকনাফ সীমান্তের দুটি পয়েন্ট দিয়ে অস্ত্র সজ্জিত আরও ৪০ জন মিয়ানমারের সীমান্তরক্ষী বাহিনীর (বিজিপি) সদস্য বাংলাদেশে আশ্রয় নিয়েছেন।
বিজিপি
কক্সবাজারের টেকনাফের নাফ নদীতে মিয়ানমার সীমান্তরক্ষী বাহিনীর (বিজিপি) গুলিতে বাংলাদেশি দুই জেলে গুলিবিদ্ধ হয়েছেন।
বান্দরবানের নাইক্ষ্যংছড়ি সীমান্ত দিয়ে নতুন করে পালিয়ে বাংলাদেশে ঢুকে পড়েছে মিয়ানমার সীমান্তরক্ষী বাহিনী বিজিপির ৫০ জন সদস্য। এনিয়ে ৩ দিনে মিয়ানমারের ৮৪ জন সেনা-বিজিপি সদস্য বাংলাদেশে আশ্রয় নিয়েছে।মঙ্গলবার (১৬ এপ্রিল) দিবাগত রাতে তারা বাংলাদেশে ঢুকেছেন। বিজিবি সদর দপ্তরের জনসংযোগ কর্মকর্তা মো. শরীফুল ইসলাম এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
মিয়ানমারের বিজিপির আরও ১২ সদস্য পালিয়ে বাংলাদেশে আশ্রয় নিয়েছে।মঙ্গলবার (১৬ এপ্রিল) সকালে নাইক্ষ্যংছড়ি সদর ইউপির আষাঢ়তলী, জামছড়ি ও ঘুমধুম ইউপির রেজু সীমান্ত দিয়ে তারা বাংলাদেশে আশ্রয় নেয়।
কক্সবাজার টেকনাফে খারাংখালী সীমান্ত দিয়ে মিয়ানমারের সীমান্তরক্ষী বাহিনী বিজিপির আরও ৫ সদস্য বাংলাদেশে আশ্রয় নিয়েছেন।
মিয়ানমারের রাখাইনে আরাকান আর্মির সঙ্গে চলমান সংঘর্ষে পর্যুদস্ত হয়ে আবারও বাংলাদেশে পালিয়ে আসছেন দেশটির সীমান্তরক্ষী বাহিনী বর্ডার গার্ড পুলিশের (বিজিপি) সদস্যরা।
বাংলাদেশে পালিয়ে আসা মিয়ানমারের বর্ডার গার্ড পুলিশ (বিজিপি) ও সেনাবাহিনী সদস্যদের শিগগিরই মিয়ানমারে ফেরত পাঠানো হবে বলে জানিয়েছেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ।
বান্দরবানের তুমব্রু সীমান্তে আশ্রয় নেয়া মিয়ানমারের ১০০ সীমান্তরক্ষী বাহিনীর (বিজিপি) সদস্যকে সেখান থেকে সরিয়ে কক্সবাজারের হ্নীলায় নেয়া হয়েছে। পরবর্তীতে বাকিদের স্থানান্তর করা হবে।
মিয়ানমারের অভ্যন্তরে বিদ্রোহীদের সঙ্গে চলমান সংঘর্ষের জেরে এখন পর্যন্ত দেশটির সীমান্তরক্ষী বাহিনী বর্ডার গার্ড পুলিশের (বিজিপি) ১১৭ জন সদস্য অস্ত্রসহ বাংলাদেশে পালিয়ে এসেছেন।
বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি) ও মিয়ানমার বর্ডার গার্ড পুলিশের (বিজিপি) মধ্যে দুদিনব্যাপী রিজিয়ন কমান্ডার পর্যায়ে সীমান্ত সম্মেলন শুরু হয়েছে।