২০২৩ অর্থবছরে অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধির হার হবে ৫ দশমিক ৮ শতাংশ দেখিয়ে ছিল বিশ্বব্যাংক। তবে সংস্থাটি জানায় এ বছর অর্থাৎ ২০২৪ সালে প্রবৃদ্ধি ৫ দশমিক শতাংশ হবে।মঙ্গলবার রাজধানীর আগারগাঁওয়ে বিশ্বব্যাংকের ঢাকা অফিসে প্রকাশিত ‘বাংলাদেশ ডেভলপমেন্ট আপডেট’ প্রতিবেদনে এ তথ্য তুলে ধরা হয়।
বিশ্বব্যাংক
খেলাপি ঋণ কমিয়ে আনতে ও আর্থিক খাতে করপোরেট সুশাসন নিশ্চিত করতে বাংলাদেশ ব্যাংককে তাগিদ দিয়েছেন ঢাকা সফররত বিশ্ব ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক (অপারেশন) অ্যানা বেজার্ড।
ঢাকায় সফররত বিশ্বব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) অ্যানা বেজার্ডের সঙ্গে বৈঠকে বসেছেন অর্থমন্ত্রী আবুল হাসান মাহমুদ আলী।
বিশ্বব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক অ্যানা বেজার্ড ঝটিকা সফরে বাংলাদেশে আসছেন। বাংলাদেশে এটিই তার প্রথম সরকারি সফর।
স্বাধীনতার পরপরই বিধ্বস্ত অবকাঠামোসহ যুদ্ধবিধ্বস্ত দেশ থেকে যাত্রা শুরু করে বাংলাদেশ এখন ২০৩১ সালের মধ্যে উচ্চ মধ্যম আয়ের দেশে পরিণত হতে যাচ্ছে এবং এভাবে ২০৪১ সালের মধ্যেদ একটি উন্নত দেশে পরিণত হবে।
বিশ্বব্যাংক জানিয়েছে, ২০২৩ সালে বাংলাদেশে রেমিট্যান্স প্রবাহ ২৩ বিলিয়ন ডলারে পৌঁছাবে। আগামী বছরও বাংলাদেশে একই পরিমাণ রেমিট্যান্স পাবে বলে পূর্বাভাস দিয়েছে সংস্থাটি। সাম্প্রতিক ব্যালান্স অভ পেমেন্ট সংকটের কারণে বাংলাদেশের আনুষ্ঠানিক রেমিট্যান্সের প্রবৃদ্ধি অপরিবর্তিত থাকতে পারে।
হামাস ইসরাইলে হামলা করেছে ৭ অক্টোবর। এর দু’দিন পর মরক্কোতে বিশ্বব্যাংক ও আইএমএফের বার্ষিক বৈঠক শুরু হয়েছিল।
চলতি ২০২৩-২৪ অর্থবছর বাংলাদেশের মোট দেশজ উৎপাদনে (জিডিপি) প্রবৃদ্ধি ৫ দশমিক ৬ শতাংশ হতে পারে বলে পূর্বাভাস দিয়েছে বিশ্বব্যাংক। এর আগে চলতি বছরের এপ্রিল মাসে ৬ দশমিক ২ শতাংশ প্রবৃদ্ধির আভাস দিয়েছিল সংস্থাটি।
মাধ্যমিক শিক্ষার উন্নয়নে ৩০ কোটি ডলার বা প্রায় ৩ হাজার ৩০০ কোটি টাকা ঋণ দিচ্ছে বিশ্বব্যাংক। ‘ই-লার্নিং অ্যাক্সিলারেশন ইন সেকেন্ডারি ইডুকেশন (এলএআইএসই) অপারেশন’ শীর্ষক প্রকল্পের আওতায় এই অর্থ ব্যয় করা হবে।
যমুনা নদীর নাব্য সংকট দূর করতে এবং তীর সুরক্ষার জন্য বাংলাদেশকে ১০ কোটি ২০ লাখ ডলার অনুমোদন করেছে বিশ্বব্যাংক।জনগণকে বাস্তুচ্যুত হওয়ার হাত থেকে বাঁচাতে, তাদের জীবিকা রক্ষা করতে এবং অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ডকে উৎসাহিত করা এ প্রকল্পের লক্ষ্য।