রোজা আল্লাহর একটি প্রিয় আমল। কোরআন ও হাদিসে রোজা ও রমজানের এমন কিছু পুরস্কারের বর্ণনা এসেছে, যা অন্য আমলগুলোর ক্ষেত্রে পাওয়া যায় না।
রোজাদার
চলছে পবিত্র মাহে রমজান এবং একই সাথে সপ্তাহের শেষ কর্মদিবস। কর্মজীবী মানুষদের গন্ত্যব্যে পৌছানোর তাড়ায় সড়কে ভয়াবহ যানজট। গন্তব্যে পৌঁছাতে অন্যান্য দিনের তুলনায় যাত্রীদের কয়েকগুণ বেশি সময় অতিবাহিত হচ্ছে। এতে করে ভোগান্তির মুখে পড়েছেন সাধারণ যাত্রী ও রোজাদার ব্যক্তিরা।
পবিত্র মসজিদে নববিতে প্রতিবছরের মতো এবারের রমজানেও রোজাদারদের জন্য ইফতারির আয়োজনের প্রস্তুতি গ্রহণ করা হয়েছে।
পবিত্র রমজান মাসকে রহমত, মাগফেরাত ও নাজাতে ভাগ করা হয়েছে। আজ রহমতের নবম দিন। শেষ মুহূর্তে রহমত কামনায় আল্লাহর কাছে ধরণা দেয়া ছাড়া আর কোনো উপায় নেই।
রমজানের রোজা ইসলামের অন্যতম রোকন এবং ফরজ ইবাদত। পবিত্র কোরআনে আল্লাহ তাআলা ইরশাদ করেন, ‘হে ঈমানদাররা! তোমাদের ওপর রোজা ফরজ করা হয়েছে, যেমন ফরজ করা হয়েছিল তোমাদের পূর্ববর্তীদের ওপর; যাতে তোমরা তাকওয়া অবলম্বনকারী হতে পারো।’ (সুরা বাকারা: ১৮৩)
ইফতার শুরু করা উচিত এক গ্লাস পানি দিয়ে। ডাবের পানি খাওয়া যেতে পারে। কৃত্রিম শরবতের চেয়ে লেবুর শরবত স্বাস্থ্যের জন্য উপকারী। তবে এক গ্লাসের বেশি শরবত না খাওয়াই ভালো। দু’-একটি খেজুর অবশ্যই খাওয়া যেতে পারে এমনকি ডায়াবেটিস রোগীরা একটি বা দু’টি খেজুর খেলে সমস্যা হওয়ার কথা নয়।
রমজানকে বলা হয় সাইয়িদুশ শুহুর বা সকল মাসের সেরা মাস। এ মাসের প্রত্যেকটি মুহূর্তকে কাজে লাগানোর চেষ্টা করা বুদ্ধিমত্তার পরিচায়ক। কারণ ইসলামে রোজাদারের রয়েছে অনন্য মর্যাদা।