চিনিকলে আখ মাড়াই বন্ধের প্রতিবাদ ও ৬টি মিল চালুর দাবীতে আখচাষিদের পাবনা-ঈশ্বরদী মহাসড় অবরোধ

চিনিকলে আখ মাড়াই বন্ধের প্রতিবাদ ও ৬টি মিল চালুর দাবীতে আখচাষিদের পাবনা-ঈশ্বরদী মহাসড় অবরোধ

ছবি : প্রতিনিধি

আসন্ন আখ মাড়াই মৌসুমে পাবনা চিনিকলে আখ মাড়াই বন্ধের প্রতিবাদসহ পাঁচ দফা দাবীতে পাবনা-ঈশ্বরদী  মহাসড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ ও আখচাষি সমাবেশ করেছে আখচাষীরা। মঙ্গলবার (২২ ডিসেম্বর) সকাল ১০টা থেকে পাবনা চিনিকলের সামনের এই মহাসড়ক অবরোধ করে রাখেন আখ চাষিরা। পরে আখ চাষি সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়।

অবরোধ চলাকালে বিক্ষোভকারীরা টায়ার জ্বালিয়ে প্রতিবাদ করেন এবং পাবনা চিনিকলে আখ মাড়াই কার্যক্রম চালু রাখার দাবিতে শ্লোগান দেন। এসময় সড়কের দু’পাশে যানবাহন আটকা পড়ে, ফলে যাত্রীরা চরম দুর্ভোগে পড়েন। পরে পুলিশের হস্তক্ষেপে পরিস্থিতি স্বাভাবিক হয় এবং বিক্ষোভকারীরা অবরোধ তুলে নেন।

দাবি সমূহ হলো- অবিলম্বে পাবনা চিনিকল চালু করা, পাবনা সুগার মিলের আখ অন্য কোনো মিলে সরবরাহ না করা, স্ব স্ব মিলে আখ মাড়াই করা, বিগত মাড়ায় মৌসুমের আখের টাকা ও শ্রমিক-কর্মচারীদের বকেয়া বেতন পরিশোধ করা, শুধু ছয়টি নয়, সবকটি মিল চালু রেখে একটি একটি করে আধুনিকায়ন করা, মাথাভারী প্রশাসন কাটছাট করা।

আখ চাষি সমাবেশের সভাপতিত্ব করেন বাংলাদেশ চিনিকল আখ চাষি ফেডারেশন সাধারণ সম্পাদক শাহজাহান আলী বাদশা। পাবনা চিনিকল আখ চাষি সমিতির সাধারণ সম্পাদক আনছার আলী ডিলুর সঞ্চালনায় বক্তব্যে রাখেন ঈশ্বরদী উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান মুক্তিযোদ্ধা নায়েব আলী বিশ্বাস, উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মকলেছুর রহমান মিন্টু, দাশুড়িয়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান নূরুল ইসলাম বকুল, সলিমপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আবদুল মজিদ বাবলু মালিথা, আখ চাষি নজরুল ইসলাম, কৃষকনেতা মুরাদ মালিথা, পাবনা চিনিকল ওয়াকার্স ইউনিয়নের সভাপতি সাজেদুল ইসলাম শাহিন, সাধারণ সম্পাদক আশরাফুজ্জামান উজ্জল, সাংগঠনিক সম্পাদক জাহিদুল ইসলাম জাহিদ, সাবেক সভাপতি ইব্রাহীম হোসেন প্রমুখ।

সমাবেশে আসন্ন মাড়াই মৌসুমে আখ মাড়াই চালু রাখাসহ দেশের ১৫টি চিনিকল চালু রেখে আখ চাষিদের আখের মূল্য পরিশোধ, সার-কীটনাশকসহ চাষিদের যাবতীয় উপকরণ সরবরাহ, শ্রমিক-কর্মচারীদের বকেয়া বেতন পরিশোধ এবং অবসরপ্রাপ্ত শ্রমিক-কর্মচারীদের গ্রাচুইটির টাকা পরিশোধের দাবি জানান।

পাবনা চিনিকল সূত্রে জানা যায়, ৬ মাস এই মিলের শ্রমিক কর্মচারীর বেতন দেওয়া হয়নি। ৬৫০ জন শ্রমিক-কর্মচারীর বেতন বাবদ মিলের কাছে ৬ কোটি টাকার বেশি পাওনা রয়েছে। ঈশ্বরদীতে প্রায় ৫ হাজার কৃষক এ বছর তাদের জমিতে আখ চাষ করেছেন।