ইসলামের মূল স্তম্ভসমূহের পঞ্চমটি হল হজ্বে বায়তুল্লাহ। ঈমান, নামায, যাকাত ও রোযার পরই হজ্বের অবস্থান। হজ্ব মূলতকায়িক ও আর্থিক উভয়ের সমন্বিত একটি ইবাদত।
ইসলাম
আজকের আধুনিক জীবনে মূল্যবোধগুলো যেন উল্টে গেছে। বরাবরই পারিবারিক জীবন ছিল সমাজের প্রাণকেন্দ্র। উত্তরাধিকার সূত্রে পাওয়া আরো অনেক ঐতিহ্যের মতো এটাও আজ আক্রান্ত।
তবুও, সমাজতন্ত্র বা অন্য কোনো ‘তন্ত্র’ কখনো তা হটিয়ে দিতে পারবে না, যা মানুষের প্রকৃতির মাঝেই প্রোথিত। তা হলো, সামাজিক বন্ধনের প্রয়োজনীয়তা আর রক্তের বাঁধনের উষ্ণতা
বৃহস্পতিবারই ঢাকা থেকে রাজশাহীর ৪৩ হজযাত্রীর সৌদি আরব যাওয়ার কথা। কথা ছিল বুধবার বিকালেই তারা রাজশাহীর হযরত শাহমখদুম (র.) বিমানবন্দর থেকে বাংলাদেশ বিমানের একটি ফ্লাইটে ঢাকা যাবেন।
ঢাকা ছেড়েছে চলতি মৌসুমের বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইনসের প্রথম হজ ফ্লাইট। বৃহস্পতিবার সকাল সোয়া সাতটার দিকে ৪১৯ জন হজযাত্রী নিয়ে বিমানের বিজি-৩০০১ নম্বর ফ্লাইটটি হজরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর ছেড়ে সৌদি আরবের উদ্দেশে রওনা হয়।
চলতি বছরে সরকারি ও বেসরকারি গমনেচ্ছু হজযাত্রীদের স্বাস্থ্য পরীক্ষা শুরু হতে যাচ্ছে আগামী ১৬ জুন। রাজধানীসহ সারাদেশ একযোগে এ পরীক্ষা চলবে। তবে আশকোনা হজ ক্যাম্পে এ পরীক্ষা শুরু হবে ৩০ জুন থেকে।স্বাস্থ্য পরীক্ষার সময় মূলত রোগ প্রতিরোধক ম্যানিনজাইটিস/ইনফ্লুয়েঞ্জার টিকা দেয়া হবে। এছাড়া অন্য কোনো স্বাস্থ্য সমস্যা দেখা দিলে তার জন্যও ব্যবস্থাপত্র ও পরামর্শ দেয়া হবে। দেয়া হবে স্বাস্থ্য সনদ, যা হজযাত্রীদের সংরক্ষণ করতে হবে।
কিভাবে ঈদ উদযাপন করতে হবে, ইসলাম মুসলমানদের তা শিক্ষা দিয়েছে। দুই ঈদের দিনে মুসলমানরা গোসল করে তাদের সবচেয়ে ভালো পোশাক পরিধান করে। ঈদের দিন রোজা রাখার অনুমতি নেই।
যথাযোগ্য ধর্মীয় মর্যাদা ও ভাবগাম্ভীর্যপূর্ণ পরিবেশে শনিবার (১ জুন) দিবাগত রাতে সারাদেশে পবিত্র লাইলাতুল কদর বা শবে কদর পালিত হবে
রোজা রাখা বা সিয়ামের উদ্দেশ্য হলো, পাপ কাজ থেকে বিরত থাকা এবং নিজেদের কামনা-বাসনা নিয়ন্ত্রণের প্রশিক্ষণের মাধ্যমে পরহেজগারি বা তাকওয়া বৃদ্ধি করা।
চারিত্রিক মাহাত্ম্য, নৈতিক পরিচ্ছন্নতা, চিন্তার বিশুদ্ধতা, আত্মিক পবিত্রতা এবং আল্লার নৈকট্যলাভের অন্যতম মাধ্যম হলো রোজা। সিয়াম সাধনায় মানুষের ঈমান দৃঢ় হয়। তাকওয়া বা খোদাভীতি- যেমন গুনাহর কাজ করে রোজা নষ্ট করা থেকে রোজাদারের অন্তরকে পাহারা দিয়ে থাকে ....
প্রকৃতপক্ষে আমাদের সবাই কামনা কর রহমত ও বরকতের রমজান যদি বছরজুড়ে থাকত (তাহলে কতই না ভালো হতো)। এ মাসের শেষে সত্যিকার মুসলিমরা প্রত্যাশা করেন তাদের স্রষ্টা, সর্বশক্তিমান আল্লাহর উদ্দেশে তাদের ভক্তি ও ত্যাগের মহাপুরস্কার। প্রতিটি মুসলমান তার রোজা কবুল করে নিতে আল্লাহর কাছে আকুল আকুতি জানান।
রোজা রাখা বা সিয়ামের উদ্দেশ্য হলো, পাপ কাজ থেকে বিরত থাকা এবং নিজেদের কামনা-বাসনা নিয়ন্ত্রণের প্রশিক্ষণের মাধ্যমে পরহেজগারি বা তাকওয়া বৃদ্ধি করা।
দেশের আকাশে পবিত্র রমজান মাসের চাঁদ দেখা গেছে।
ইসলামের ৫টি স্তম্ভের মধ্যে রামাদানের রোযা অন্যতম। প্রতিটি প্রাপ্ত বয়স্ক সুস্থ মুসলমানের উপর প্রতি বছর মাহে রমাদানে এক মাস রোযা পালন করা আল্লাহর পক্ষ থেকে নির্ধারিত ফরয। আল-কুরআনে বর্ণিত হয়েছে, فَمَنْ شَهِدَ مِنْكُمُ الشَّهْرَ فَلْيَصُمْهُ “যে ব্যক্তি এ মাসের সাক্ষাত পাবে সে যেন এ মাসে রোযা পালন করে।”
সূর্যাস্তের সঙ্গে সঙ্গে ইফতার করা সুন্নাত। আর খেজুর দিয়ে ইফতার করা মোস্তাহাব। চিকিৎসা বিজ্ঞানের মতে, খালি পেটে মিষ্টি বস্তু পাকস্থলীর জন্যে খুবই ফলপ্রসূ।
প্রতি বছর বিশ্বের সর্বত্র এবং সব নৃতাত্ত্বিক ও অর্থনৈতিক পটভূমির মুসলমানরা রমজান মাসের পুরোটাই প্রত্যুষ থেকে সূর্যাস্ত পর্যন্ত রোজা পালন করেন। ইসলামি ঐতিহ্য অনুসারে রমজান হলো সর্বাধিক বরকতময় মাস। কিন্তু মাসটিকে রহমতে ধন্য করেছে কোন বিষয়?
সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ মানব প্রিয় নবী হজরত মুহাম্মদ (সা.) যেসব খাবার গ্রহণ করেছেন, তা ছিল সর্বোচ্চ স্বাস্থ্যসম্মত ও পুষ্টিগুণে সমৃদ্ধ। আজকের বিজ্ঞানের গবেষণা-এষণায় বিমূর্ত হচ্ছে রাসুল (সা.)-এর খাবারগুলোর গুণাগুণ ও মানবদেহের জন্য সেগুলোর প্রয়োজনীয়তা।