বেড়ার বরখাস্তকৃত মেয়র প্রেস ব্রিফিং-এ ঘটনার ব্যাখ্যা দিয়ে বললেন ‘এবার তদন্ত হবে’

বেড়ার বরখাস্তকৃত মেয়র প্রেস ব্রিফিং-এ ঘটনার ব্যাখ্যা দিয়ে বললেন ‘এবার তদন্ত হবে’

বরখাস্ত হওয়া বেড়া পৌরসভার মেয়র আব্দুল বাতেন সংবাদ সম্মেলন করেন।

“এবার তদন্ত হবে। আসল ঘটনাটি সকলে জানতেও পারবেন।” পাবনার বেড়া পৌরসভার বরখাস্তকৃত মেয়র প্রেস কনফারেন্স করে ঘটনার ব্যাখ্যা দিতে গিয়ে এ মন্তব্য করেন। বেড়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাকে (ইউএনও) লাঞ্ছিত করার অভিযোগে বেড়া পৌরসভার মেয়র পদ থেকে বরখাস্ত করা হয়েছে আব্দুল বাতেন। তিনি প্রেস কনফারেন্স-এর নর মাধ্যমে বলেছেন,“আমাকে বরখাস্ত করা হয়েছে ভালো হয়েছে। কারন এখন তদন্ত হবে।” বরখাস্তের ঘটনার ব্যাখ্যা দিতে গিয়ে তিনি এ কথা বলেন। 

বুধবার (১৪ অক্টোবর) দুপুর ১২টার দিকে বেড়া পৌরসভার মিলনায়তনে তিনি সংবাদ সম্মেলন করেন। সংবাদ সম্মেলনে মেয়র বলেন, বেড়া উপজেলার নগরবাড়ী-নটাখোলা ও কাজীরহাট আমদানি-রপ্তানি ঘাট দু’টি বিধি মোতাবেক উপজেলা পরিষদের আওতাভূক্ত। উপজেলা পরিষদেরই ঘাট দু’টির রাজস্ব আদায়ের কথা।

কিন্তু সম্প্রতি পাবনা জেলা প্রশাসন তা উপেক্ষা করে ঘাট দু’টি থেকে রাজস্ব আদায়ের (খাস আদায়) উদ্যোগ নেয়। এ বিষয়টি বেড়াবাসীর স্বার্থসংশ্লিষ্ট উল্লেখ করে তিনি বলেন, বিষয়টি ২২ সেপ্টেম্বরের উপজেলা পরিষদের মাসিক সভায় অন্তর্ভূক্ত হয়েছে।পরবর্তী সভায়ও এটি অন্তর্ভূক্ত করার কথা। অথচ ঘটনার দিন অর্থাৎ গত সোমবার (১২ অক্টোবর) উপজেলা পরিষদের মাসিক সভায় এ বিষয়টি আলোচনা থেকে কৌশলে বাদ দেওয়া হয়।এতে তিনি বিষয়টি নিয়ে প্রতিবাদ করেছেন ও আলোচনায় অন্তর্ভূক্ত করার কথা বলেছেন মাত্র। এ ছাড়া সেখানে কোনো ধাক্কাধাক্কি বা ইউএনওকে লাঞ্ছিত করার ঘটনা ঘটেনি।

আব্দুল বাতেন ইউএনওর সঙ্গে তার ভালো সম্পর্ক উল্লেখ করে বলেন তার বিরুদ্ধে লাঞ্ছিত করার অভিযোগ দেওয়া হচ্ছে তা সম্পূর্ণভাবে উদ্দেশ্যপ্রণোদিত। তাকে হেয় প্রতিপন্ন করার জন্য ষড়যন্ত্র করে ওইদিন ঘটনাটির ভুল ব্যাখ্যা দেওয়া হয়েছে। সংবাদ সম্মেলনে আব্দুল বাতেন বলেন, তিনি চান ঘটনাটির সুষ্ঠু তদন্ত হোক। তদন্ত হলেই সঠিক বিষয়টি বের হয়ে আসবে। স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয় থেকে তাকে সাময়িক বরখাস্ত করার বিষয়টিকে তিনি স্বাগত জানান বলে দাবি করেন। কারণ বরখাস্ত করায় বিষয়টি নিয়ে এখন সঠিক তদন্ত হবে বলে তিনি মনে করেন। এর একটা ফয়সালা হওয়া দরকার। 

উল্লেখ্য, গত সোমবার (১২ অক্টোবর) উপজেলা পরিষদের সম্মেলন কক্ষে মাসিক সভাকালে মেয়র আব্দুল বাতেনের বিরুদ্ধে ইউএনও আসিফ আনাম সিদ্দিকীকে লাঞ্ছিত এবং অশ্রাব্য ভাষায় গালাগাল করার অভিযোগ ওঠে। এরই ভিত্তিতে স্থানীয় সরকার বিভাগ মঙ্গলবার (১৩ অক্টোবর) তাকে মেয়র পদ থেকে সাময়িক বরখাস্ত করে।