ইরফান সেলিমের আরেক সহযোগী গ্রেফতার

ইরফান সেলিমের আরেক সহযোগী গ্রেফতার

ছবি: সংগৃহীত

নৌবাহিনীর কর্মকর্তাকে মারধরের মামলায় ঢাকা-৭ আসনের সাংসদ হাজী সেলিমের ছেলে ইরফানের ব্যক্তিগত সহকারী এবি সিদ্দিক দীপুকে (৪৫)  গ্রেপ্তার করেছে গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি)। আজ মঙ্গলবার(২৭অক্টোবর) ভোরে টাঙ্গাইল থেকে তাকে গ্রেফতার করা হয়।  এবি সিদ্দিক দিপু মামলার এজাহারভুক্ত ২ নম্বর আসামি।

তার আগে গতকাল এই মামলায় গ্রেপ্তার হন—ইরফান সেলিম, তাঁর দেহরক্ষী মো. জাহিদ ও গাড়িচালক মিজানুর রহমান।

এর আগে সোমবার দুপুর ১২টা থেকে হাজী সেলিমের ছেলে এবং ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের কাউন্সিলর ইরফানের বাসায় অভিযান চালায় র‌্যাব। ৮তলা ভবনের প্রতিটি ফ্লোরে অভিযান চলে। ইরফানের বাসা থেকে বেশ কিছু অবৈধ জিনিস উদ্ধার করে র‌্যাব। এর মধ্যে ছিল একটি আগ্নেয়াস্ত্র, ৫-৬ লিটার মদ ও ৪০০ পিস ইয়াবা। পাওয়া যায় বেশ কিছু বিয়ারের ক্যান।

তাৎক্ষণিক ভ্রাম্যমাণ আদালতে মাদক ও অবৈধ ওয়াকিটকি রাখা এবং ব্যবহারের দায়ে ইরফান সেলিমের এক বছরের কারাদণ্ড দেন র‌্যাবের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট সরোয়ার আলম। এ সময় ইরফানের দেহরক্ষী মো. জাহিদুলকে ইসলামেরও এক বছরের কারাদণ্ড দেওয়া হয়।

এর আগে গত রোববার রাতে স্ত্রীকে নিয়ে মোটরসাইকেলে বাসায় ফিরছিলেন নৌবাহিনীর কর্মকর্তা লেফটেন্যান্ট ওয়াসিফ আহম্মেদ খান। সংসদ সদস্যের স্টিকারযুক্ত একটি গাড়ি তাঁর মোটরসাইকেলকে ধাক্কা দেয়। ওই গাড়িতে ছিলেন হাজি সেলিমের ছেলে ইরফান এবং তাঁর লোকজন। ওয়াসিফ নিজের পরিচয় দিয়ে গাড়িটিকে থামতে ইশারা করেন ও কথা বলতে চান। তখন তাঁকে মারধর করে রক্তাক্ত করেন ইরফান ও তাঁর লোকজন।

রাতে এ ঘটনায় জিডি হলেও ২৬ অক্টোবর ভোরে হাজী সেলিমের ছেলেসহ ৭ জনের বিরুদ্ধে মামলা করেন ওয়াসিফ। মারধর ও হত্যাচেষ্টার অভিযোগে মামলাটি করা হয়েছে। আসামিরা হলেন- ইরফান সেলিম, এ বি সিদ্দিক দীপু, জাহিদ, মীজানুর রহমান ও অজ্ঞাতনামা আরও দুই-তিনজন।