কালি ও কলম’ সম্পাদক আবুল হাসনাত আর নেই

কালি ও কলম’ সম্পাদক আবুল হাসনাত আর নেই

কালি ও কলম’ সম্পাদক আবুল হাসনাত

শিল্প, সাহিত্য ও সংস্কৃতিবিষয়ক জনপ্রিয় মাসিক পত্রিকা কালি ও কলমের সম্পাদক আবুল হাসনাত মারা গেছেন। ইন্না লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন।তার বয়স হয়েছিল ৭৫ বছর।

আজ  রোববার সকাল ৮টায় রাজধানীর আনোয়ার খান মর্ডান  হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি মারা যান।

কালি ও কলমের সহকারী সম্পাদক আশফাক খান বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

তিনি জানান,  গত ১৫ সেপ্টেম্বর  থেকে তিনি ফুসফুসে সংক্রমণজনিত রোগের কারণে হাসপাতালে ভর্তি ছিলেন। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় আজ তিনি মারা যান।

আবুল হাসনাতের স্ত্রী নাসিমুন আরা হক সাংবাদিক। তিনি বাংলাদেশ নারী সাংবাদিক কেন্দ্রের সভাপতি। তাদের একমাত্র মেয়ের নাম দিঠি হাসনাত। তিনি যুক্তরাষ্ট্রপ্রবাসী।

পারিবারিক সূত্রে জানা গেছে, আবুল হাসনাতের লাশ হাসপাতাল থেকে বাসায় নেয়া হবে। বেলা আড়াইটার দিকে তার লাশ ধানমন্ডি ২৭ নম্বরে বেঙ্গল গ্যালারিতে নেয়া হবে। বাদ আসর ধানমন্ডির ৭ নম্বর মসজিদে আবুল হাসনাতের জানাজা হবে। পরে মিরপুরের বুদ্ধিজীবী কবরস্থানে তার দাফন সম্পন্ন হবে।

আবুল হাসনাত একজন সাহিত্য সম্পাদক হিসেবে নন্দিত ছিলেন। তিনি দীর্ঘদিন দৈনিক সংবাদের সাহিত্য সাময়িকী সম্পাদনা করেছেন। তাঁর নেতৃত্বে সাহিত্য পত্রিকা কালি ও কলম এবং বেঙ্গল বই এদেশের প্রকাশনাজগতে বিশেষ স্থান অর্জন করেছে।

আবুল হাসনাত ১৯৪৫ সালের ১৭ জুলাই পুরান ঢাকায় জন্ম নেন। তাঁর প্রকাশিত কাব্যগ্রন্থের মধ্যে রয়েছে 'জ্যোৎস্না ও দুর্বিপাক, 'কোনো একদিন ভুবনডাঙায়', 'ভুবনডাঙার মেঘ ও নধর কালো বেড়াল'।

তাঁর প্রবন্ধগ্রন্থের মধ্যে রয়েছে সতীনাথ, মানিক, রবিশঙ্কর ও অন্যান্য ও জয়নুল, কামরুল, সফিউদ্দীন ও অন্যান্য।

শিশু ও কিশোরদের নিয়ে রচিত গ্রন্থের মধ্যে রয়েছে 'ইস্টিমার সিটি দিয়ে যায়', 'টুকু ও সমুদ্রের গল্প', 'যুদ্ধদিনের ধূসর দুপুরে', 'রানুর দুঃখ-ভালোবাসা'।

তিনি দৈনিক সংবাদের সাহিত্য সাময়িকী দীর্ঘ ২৪ বছর ধরে সুনামের সঙ্গে সম্পাদনা করেন। আমৃত্যু তিনি সাহিত্যপত্রিকা কালি ও কলমের সম্পাদকের দায়িত্ব পালন করেন। একইসঙ্গে চিত্রকলা বিষয়ক ত্রৈমাসিক 'শিল্প ও শিল্পী'রও সম্পাদক তিনি। মাহমুদ আল জামান নামেও তিনি লেখালেখি করতেন।

১৯৮২ সালে টুকু ও সমুদ্রের গল্পের জন্য পেয়েছেন অগ্রণী ব্যাংক শিশু সাহিত্য পুরস্কার। ২০১৪ সালে অর্জন করেছেন বাংলা একাডেমির সম্মানসূচক ফেলো।