ভিয়েনায় হামলার জেরে অস্ট্রিয়ায় মসজিদ বন্ধ

ভিয়েনায় হামলার জেরে অস্ট্রিয়ায় মসজিদ বন্ধ

ছবি:সংগৃহীত

দীর্ঘ কয়েক দশকের মধ্যে এই প্রথম বড় কোনো হামলার ঘটনা ঘটেছে অস্ট্রিয়ায়। গত সোমবারের ওই হামলায় চার জনের মৃত্যু হলেও আতঙ্ক ছড়িয়েছে সাধারণ মানুষের মনে। এই পরিস্থিতিতে দাঁড়িয়ে জাতীয় নিরাপত্তার স্বার্থে মসজিদগুলোকে বন্ধ করে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে অস্ট্রিয়ার সরকার। ইতোমধ্যে একটি মসজিদকে বন্ধও করে দেওয়া হয়েছে।

শুক্রবার এপ্রসঙ্গে অস্ট্রিয়ার স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় সূত্রে জানানো হয়, এই সপ্তাহের প্রথমেই রাজধানী ভিয়েনাতে সন্ত্রাসবাদী হামলার ঘটনা ঘটেছে। এরপরই জাতীয় নিরাপত্তার স্বার্থে একটি মসজিদ বন্ধ করে দেওয়া হয়। কিছুদিনের মধ্যে আরো মসজিদ বন্ধ করার বিষয়ে পরিকল্পনা নেওয়া হচ্ছে। খুব তাড়াতাড়ি এবিষয়ে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী কার্ল নেহামার ও ইন্ট্রিগ্রেশন মিনিস্টার সুসান রবাব সাংবাদিক বৈঠক করে বিস্তারিত তথ্য দেবেন।

এবিষয়ে একটি বিবৃতি প্রকাশ করেছে অস্ট্রিয়া সরকারের স্বীকৃতিপ্রাপ্ত ইসলামিক কমিউনিটি। তাতে উল্লেখ করা হয়েছে, ওই মসজিদ কর্তৃপক্ষ ধর্মীয় মতবাদ ও গঠনতন্ত্রের নিয়ম ভেঙেছে। এর ফলে দেশের জাতীয় নিরাপত্তা ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ার সম্ভাবনাও তৈরি হয়েছে। এরপর সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের সঙ্গে আলোচনা করে মসজিদটি বন্ধ করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।

অস্ট্রিয়ার রাজধানী ভিয়েনায় মূল হত্যাকারী ছিল কুজতিম ফেজুলাই। বছর কুড়ির ফেজুলাই পুলিশের গুলিতে নিহত হয়েছেন। সে ছিল ইসলামিক স্টেটের আত্মঘাতী সন্ত্রাসী। ভিয়েনার রাস্তায় কালাশনিকভ রাইফেল হাতে এলোপাথাড়ি গুলি চালিয়ে চারজনকে হত্যা করেছে সে নিজেই। অতীতে জেল খাটা আসামি ফেজুলাই মেসিডোনিয়া থেকে এসে অস্ট্রিয়ায় অভিবাসী হিসাবে বাস করছিল। পুলিশি তদন্তে উঠে এসেছে এমনই সব তথ্য। তার গুলিতে জখম হন অন্তত ১০ নিরীহ পথচারী।

সূত্র : সংবাদ প্রতিদিন