ফাইজারের টিকার জরুরি ব্যবহারের অনুমোদন চেয়ে খুব শিগগিরই আবেদন

ফাইজারের টিকার জরুরি ব্যবহারের অনুমোদন চেয়ে  খুব শিগগিরই আবেদন

ছবি:সংগৃহীত

বৃহৎ ওষুধ কোম্পানি ফাইজার নিরাপদ বা সুরক্ষা তথ্য জড়ো করার কাজ শেষ হলেই টিকার জরুরি ব্যবহারের অনুমোদন চেয়ে মার্কিন নিয়ন্ত্রক সংস্থার কাছে আবেদন করবে। কোম্পানির সিইও মঙ্গলবার এ তথ্য জানিয়েছেন।গত সপ্তাহে কোম্পানিটি তাদের তৈরি টিকা করোনা প্রতিরোধে ৯০ শতাংশ কার্যকর বলে ঘোষণা করে। তারা জার্মান কোম্পানি বায়োটেকের সাথে অংশীদারিত্বের ভিত্তিতে টিকাটি তৈরি করছে।

ফাইজারের সিইও আলবার্ট বাউরলা মেডিক্যাল নিউজ সাইট স্টেটকে বলেন, আমরা শিগগিরই টিকার জরুরি ব্যবহারের অনুমোদন চেয়ে আবেদন করতে যাচ্ছি। এ কাজের প্রস্তুতি চলছে। শিগগিরই আমরা এ বিষয়ে ঘোষণা দেবো।

এর আগে ফাইজারের নভেম্বরের তৃতীয় সপ্তাহে ইউএস ফুড অ্যান্ড ড্রাগ অ্যাডমিনিস্ট্রেশানের (এফডিএ) কাছে জরুরি ব্যবহারের আবেদন জানানোর কথা বলেছিল। এর অর্থ কয়েকদিনের মধ্যেই হয় তো ঘোষণা আসবে।এফডিএ টিকার নিরাপত্তা নিশ্চিতে দ্বিতীয় ডোজের পর কমপক্ষে দুই মাসের ফলোআপ এবং প্রথম ডোজ গ্রহণের ২৮ দিন পর পরবর্তী ডোজ নেয়ার শর্ত আরোপ করে।

এদিকে সোমবার মডার্না ও ইউএস ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট ফর হেলথ তাদের টিকা পরীক্ষার প্রাথমিক ফলাফল ঘোষণা করে। তারা তাদের টিকা ৯৫ শতাংশ কার্যকর বলে দাবি করে।আগামী ২৫ নভেম্বর নাগাদ মডার্না টিকা ব্যবহারের অনুমোদন চেয়ে আবেদন করবে।আবেদনের পর যাচাই বাছাইয়ে কর্তৃপক্ষের কয়েক সপ্তাহ সময় লাগতে পারে।

মডার্না ও ফাইজার তাদের টিকা তৈরির ক্ষেত্রে একই প্রযুক্তি ব্যবহার করেছে। ফলে চূড়ান্ত ধাপের পরীক্ষা শেষে উভয় টিকার একই সুরক্ষা তথ্য পাওয়া গেছে। তাই উভয় আবেদনই গ্রহণযোগ্য হবে বলে ধারণা করা হচ্ছে।

যুক্তরাষ্ট্রের শীর্ষ সংক্রামক রোগবিশেষজ্ঞ অ্যান্টনি ফাউসি গত সপ্তাহে বলেছেন, ডিসেম্বরের শেষ নাগাদ মার্কিন নাগরিকেরা টিকা পেতে শুরু করবেন।উল্লেখ্য, বিশ্বে করোনায় সবচেয়ে বেশি পর্যুদস্ত দেশ যুক্তরাষ্ট্র। দেশটিতে করানার সংক্রমণ ও মৃত্যু দু’টোই বেশি।