লালে লাল ইন্দোনেশিয়ার গ্রাম

লালে লাল ইন্দোনেশিয়ার গ্রাম

রাস্তা ভর্তি লাল রঙের পানি থইথই করছে। দেশের জেনগোট এলাকায় সম্প্রতি এমনই দৃশ্য চোখে পড়েছে। -সংগৃহীত ছবি

অদ্ভুত দৃশ্য ইন্দোনেশিয়ায়। রাস্তা ভর্তি লাল রঙের পানি থইথই করছে। দেশের জেনগোট এলাকায় সম্প্রতি এমনই দৃশ্য চোখে পড়েছে। কিছুদিন আগে ইন্দোনেশিয়া বন্যা পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়েছিল। তখন একটি বাটিক ফ্য়াক্টরিতে ঢুকে পড়ে পানি। তারপরই এলাকায় বদ্ধ পানির রং হয়ে যায় লাল। এখন এলাকার রাস্তায় রাস্তায় এই লাল পানির খেলা চোখে পড়ছে।
 
টুইটারে এখন ভাইরাল এই ছবি। দক্ষিণ পেকালোগান শহরের সেন্ট্রাল জাভায় এই বন্যা দেখা গেছে। সোশ্যাল মিডিয়ায় এই ছবি দেখে অনেকেই রক্ত বলে ভুল করেছিল। একজন নেট নাগরিক তো এমনও লিখেছেন, এই ছবিগুলি দেখে তিনি রীতিমতো ভয় পেয়ে গিয়েছিলেন। ভেবেছিলেন হয়তো কোনও কারণে রক্তের বন্যা বয়ে গিয়েছে। আর একজন আবার লিখেছেন, এই ছবি যদি কোনও মন্দ অভিপ্রায়যুক্ত ব্যক্তির হাতে পড়ে, তাহলেই কেলেঙ্কারি। এই ছবি ব্যবহার করে ভুয়ো তথ্য ছড়াতে পারে সে।

পেকালোগান শহরটি বাটিক উৎপাদনের জন্য বিখ্যাত। এই শহরে এমন একাধিক কারখানা রয়েছে যেখানে জামা কাপড়ের উপর বাটিক প্রিন্ট করা হয়। এটি জল ও রঙের মিশ্রণ করে এর রকমের ফ্যাব্রিক। ইন্দোনেশিয়ার এটি একটি ঐতিহ্যবাহী পদ্ধতি। অনেকেই এই বাটিক কারখানার উপর ভিত্তি করে জীবন নির্বাহ করে।
 
তবে শুধু যে শহরের রং লাল হয়ে গেছে এমন নয়। নদীতে বন্যা পরিস্থিতি একাধিক বাটিক কারখানায় ঢুকেছে পানি। আর সেই কারণে বিভিন্ন এলাকার রং হয়েছে বিভিন্ন রকম। গত মাসে বন্যার সময় পেকালংগানের উত্তরে একটি গ্রামে উজ্জ্বল সবুজ পানি ভর্তি হয়ে গিয়েছিল। টুইটারে একজন লিখেছেন, কখনও কখনও রাস্তায় বেগুনি রঙের পাথর কুঁচিও দেখতে পাওয়া গিয়েছে।

ছবিগুলি যে সত্য, ভুয়া নয়, তা নিশ্চিত করেছেন পেকালোগান দুর্যোগ ত্রাণের প্রধান, ডিমাস আরগা যুধা। তিনি বলেছেন, “বন্যার ফলে বাটিকের লাল রং মিশে জলের রং লাল হয়ে গিয়েছে। কিছুক্ষণ পর বৃষ্টির সঙ্গে ওই ফানি মিশে গেলেই রং অদৃশ্য হয়ে যাবে।”-কোলকাতা২৪