৫৪ বছর পর রহস্যময় সাপের সন্ধান

৫৪ বছর পর রহস্যময় সাপের সন্ধান

ইকুয়েডরের জঙ্গলে এই সাপের খোঁজ মিলেছে। গত ৫০ বছরেরও বেশি সময় ধরে এই সাপটিকে দেখা যায়নি -সংগৃহীত ছবি

৫৪ বছর পর জঙ্গলে ফের দেখা মিলল এক রহস্যময় সাপের। ইকুয়েডরের জঙ্গলে এই সাপের খোঁজ মিলেছে। গত ৫০ বছরেরও বেশি সময় ধরে এই সাপটিকে দেখা যায়নি। এমনকি সাপটিকে বিপন্ন তালিকাভুক্তও করা হয়েছে। দুই প্রাণী বিজ্ঞানী ইকুয়েডরের রেইন ফরেস্টে খোঁজ চালানোর সময় এই সাপটি দেখতে পান।

এই সাপের বিশেষত্ব হল সারা পৃথিবীতে এটি কেবলমাত্র ইকুয়েডরের বনাঞ্চলেই পাওয়া যায়। জানা গিয়েছে, প্রাণী বিজ্ঞানী রস মেইনার্ড এবং স্কট সরীসৃপ ও উভচর প্রাণীর খোঁজ করছিলেন সেসময় এই সাপটি তাঁরা দেখতে পান।

মার্কিন জীববিজ্ঞানী চার্লস এম ফাগলার ১৯২৯ সালে এই সাপটি প্রথম দেখেছিলেন। এর বায়োজলিক্যাল নাম দেওয়া হয়েছে Emmochliophis Fugleri. সাধারণত এই সাপকে স্যাডো সাপ বা ছায়া সাপ বলে। কারণ এরা আলো মোটেই পছন্দ করে না, এটি সবসময় ছায়া জায়গায় থাকে। এমনকি দিনের বেলাতেও অপেক্ষাকৃত বেশি ছায়া জায়গায় থাকতে পছন্দ করে। শিকার দেখামাত্রই তার ওপর হামলা করে এই সাপটি।

সাধারণত এই সাপ ইকুয়েডরের রেইন ফরেস্টে পাওয়া যায়। আবার কখনও কখনও কলা বাগানের মধ্যেও এই সাপ বসে থাকে। অনেক সময়ই পচা পাতার মধ্যে লুকিয়ে থাকে এ সাপ। এর ফলে তার শিকার ও শিকারী উভয়কেই ধোঁকা দিতে পারে সে।

উল্লেখ্য, এসাপ ঠিক কোন ধরনের খাবার খায় সে সম্পর্কে এখনও বিজ্ঞানীদের কাছে স্পষ্ট কোও তথ্য নেই। কিছু জীববিজ্ঞানীর বক্তব্য এই সাপ মাছ খায়, তবে এখনও পর্যন্ত এর কোনও প্রমাণ পাওয়া যায়নি।

সাধারণত গ্রে ও কালো রং-এর হয় এই সাপ। যার কারণে এরা ছায়ায় খুব সহজে লুকিয়ে পড়তে পারে। অনেক দেশে শ্যাডো সাপ সম্পর্কে বহু ধর্মীয় বিশ্বাস এবং গল্প রয়েছে। সেখানে একে শয়তান বলে উল্লেখ করা হয়েছে। এমনিতে এই সাপ খুবই বিষাক্ত। -কোলকাতা২৪