মায়ের বিয়ের শাড়িতে জয়া

ছবি: সংগৃহীত
প্রায় প্রত্যেক নারীর তার মায়ের শাড়ির ওপর একধরণের দুর্বলতা রয়েছে। অনেক সেলিব্রেটি তার মায়ের বিয়ের শাড়ি পরে নিজের বিয়ে সেরেছেন। তেমনি জয়া আহসানের মায়ের শাড়ির সঙ্গে জড়িয়ে আছে হাজার স্মৃতি। আজ বুধবার সোশ্যাল মিডিয়ায় অভিনেত্রীর মায়ের শাড়ি পরিহীত একগুচ্ছ ছবি প্রকাশ করেছেন। যা নজর কেড়েছে নেটিজেনদের।
পোস্টের ক্যাপশনে জয়া লিখেছেন, ‘এই ছবিগুলোতে যে দুটো শাড়ি দেখা যাচ্ছে, সেগুলোর বয়স ৪৫ বছর; আসলে এগুলো আমার মায়ের বিয়ের শাড়ি। একটা বিয়ের, একটা বৌভাতের। বাবা কিনেছিলেন কলকাতা থেকে। সোনার সুতোয় কাজ করা এক চিরন্তন রূপকথা, এখনও ঠিক যেন নতুন নতুন বিবাহের গন্ধে ভরপুর।’
তিনি আরও লেখেন, ‘এই দুটো শাড়ি নিয়ে সেই কিশোরী বেলা থেকে আমরা দুই বোন কি কাড়াকাড়ি টাই না করেছি! বিবাদ হোক বা খুনসুটি যাই বলি না কেন, সেটা হতো কে কোনটা নেবে তাই নিয়ে! আমি বলতাম নীল টা আমার, বোনের পছন্দ ছিল টুকটুকে লালটা!’
দুটো শাড়ি তার কাছে অমূল্য সম্পদ উল্লেখ করে জয়া লেখেন, ‘কখনও কখনও কিশোরি খেয়ালে পছন্দ যে ওলট-পালট হতো না তা নয়, পরে বুঝেছি এই দুটো শাড়ি-ই আমাদের কাছে অমূল্য সম্পদের মতো, আর তাতেই এত টান।’
মৌসুমী ভৌমিকের গানের লাইন জুড়ে দিয়ে এই অভিনেত্রী লিখেছেন, “মৌসুমী ভৌমিকের গানের সেই যে মরমী লাইন টা, ‘কিছু ফেলতে পারি না’ আমার হয়েছে সেই অবস্থা। সব কিছুর উপরেই স্নেহ, একটা অদ্ভুত মায়া। আমার মায়ের যত পুরাতন শাড়ি, মায়ের বিয়ের শাড়ি, আমার জন্মের আগে মায়ের স্বাদ ভক্ষণের শাড়ি সব রয়ে গেছে আমার কাছে। আলমারির যত্নে, ন্যাপথলিনের রূপকথায় আত্মকথার ইতিহাস। আর আমার মাতৃতান্ত্রিক শ্রদ্ধাজ্ঞাপন মাত্র।”
জয়াকে সর্বশেষ দেখা গেছে ‘ফেরেশতে’ সিনেমায়। বাংলাদেশ ও ইরানের যৌথ প্রযোজনায় নির্মিত ছবিটি। পরিচালনা করেছেন ইরানি পরিচালক মুর্তজা অতাশ। জয়া ছাড়াও আরও অভিনয় করেছেন শহীদুজ্জামান সেলিম, শাহেদ আলী, রিকিতা নন্দিনী শিমু ও সুমন ফারুক।