ইন্ডিগোর জেদ্দা–হায়দরাবাদ ফ্লাইটে বোমাতঙ্ক, মুম্বাইয়ে জরুরি অবতরণ

ইন্ডিগোর জেদ্দা–হায়দরাবাদ ফ্লাইটে বোমাতঙ্ক, মুম্বাইয়ে জরুরি অবতরণ

ফাইল ছবি।

সৌদি আরবের জেদ্দা থেকে হায়দরাবাদগামী একটি ইন্ডিগো ফ্লাইটকে মুম্বাইয়ে জরুরিভাবে অবতরণ করানো হয়েছে।কারণ বিমানটিকে ‘১৯৮৪ সালের মাদ্রাজ (বর্তমানে চেন্নাই) বিমানবন্দর বিস্ফোরণের কায়দায়’ উড়িয়ে দেওয়া হবে- এমন হুমকি পাওয়া যায়। এরপরপরই বিমানটিকে দ্রুত মুম্বই বিমানবন্দরে নামানো হয়।

শনিবার (১ নভেম্বর) এক বিবৃতিতে ইন্ডিগো জানিয়েছে, মুম্বাই বিমানবন্দরে প্রয়োজনীয় নিরাপত্তা পরীক্ষা করা হয় এবং যাত্রীদের অসুবিধা কমাতে সকল ব্যবস্থা নেওয়া হয়। ভারতের সংবাদমাধ্যম এনডিটিভি এ খবর জানিয়েছে।

বিবৃতিতে ইন্ডিগো জানিয়েছে, ১ নভেম্বর ২০২৫ তারিখে জেদ্দা থেকে হায়দরাবাদগামী ইন্ডিগো ফ্লাইট ৬ই ৬৮-এর জন্য একটি নিরাপত্তা হুমকি পাওয়া যায়। বিমানটি মুম্বাইতে অবতরণ করানো হয়। প্রতিষ্ঠিত প্রোটোকল অনুযায়ী সঙ্গে সঙ্গে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে জানানো হয় এবং প্রয়োজনীয় নিরাপত্তা পরীক্ষা সম্পন্ন করতে সম্পূর্ণ সহযোগিতা করা হয়। এরপর বিমানকে পরবর্তী যাত্রার জন্য অনুমোদন দেওয়া হয়।

এভিয়েশন ট্র্যাকার ফ্লাইটরাডার২৪ জানিয়েছে, ফ্লাইটটি সকাল ৯:১০ মিনিটে হায়দরাবাদে অবতরণ করার কথা ছিল। তবে হুমকির কারণে বিমান মুম্বাইয়ে নামানো হয়। নিরাপত্তা পরীক্ষা শেষে বিমান পুনরায় হায়দরাবাদে পৌঁছায় প্রায় বিকেল ৪টায়।

ইন্ডিগো আরও জানিয়েছে, আমরা যাত্রীদের অসুবিধা কমানোর জন্য সব ধরনের ব্যবস্থা নিয়েছি। যেমন : তাঁদের জন্য খাবার, পানীয়ের ব্যবস্থা করা হয়। পরিস্থিতির বিষয়ে নিয়মিত অবগত করা।যাত্রীদের কথা মাথায় রেখে বিমানের নিরাপত্তা এবং সুরক্ষা আমাদের সর্বোচ্চ অগ্রাধিকার বলেও জানিয়েছে ইন্ডিগো।

ইন্ডিগো সূত্র বলেছে, হুমকির ইমেইলে ‘১৯৮৪ সালের মাদ্রাজ বিমানবন্দরে বোমা বিস্ফোরণে’র বিষয়টি উল্লেখ করা হয়েছিল। ১৯৮৪ সালের ওই বিস্ফোরণ মীনাম্বাক্কাম (চেন্নাইয়ের একটি স্থান) বোমা বিস্ফোরণ নামেও পরিচিত। ১৯৮৪ সালে ২ আগস্ট চেন্নাই বিমানবন্দরে ঘটে যাওয়া ওই দুর্ঘটনায় ৩৩ জন নিহত হয়। এই সন্ত্রাসী হামলার পেছনে লঙ্কার বিচ্ছিন্নতাবাদী গ্রুপ তামিল ঈলাম আর্মি ছিল অভিযোগ ওঠে।