আধিপত্য বিস্তারে ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় পাল্টাপাল্টি হামলা, চার জন গুলিবিদ্ধ

আধিপত্য বিস্তারে ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় পাল্টাপাল্টি হামলা, চার জন গুলিবিদ্ধ

প্রতিকী ছবি

হামলার খবর পেয়ে রাতেই জেলার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (নবীনগর সার্কেল) পিয়াস বসাক ও নবীনগর থানার ওসি শাহীনূর ইসলামের নেতৃত্বে পুলিশ ঘটনাস্থলে ছুটে যান।

এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত পুনরায় সংঘর্ষ, বাড়িঘর ভাঙচুর, লুটপাট ও হামলার ভয়ে এলাকায় চরম আতঙ্ক বিরাজ করছে।

পুলিশ ও এলাকাবাসী সূত্রে জানা গেছে, জেলার নবীনগর উপজেলার বড়িকান্দি ইউনিয়নের 
বড়িকান্দি গণি শাহ মাজার বাজারে স্থানীয় একটি হোটেলে রাত আনুমানিক ৯টার দিকে এলাকার কুখ্যাত ডাকাত মোন্নাফ মিয়া ওরফে মনেক ডাকাতের ছেলে শিপন মিয়া (৩০) আড্ডা দিচ্ছিল। 

ওইসময় আচমকা একদল অস্ত্রধারী সন্ত্রাসী হোটেলটিতে গুলি করতে করতে ঢুকে।

সেসময় শিপন মিয়া (৩০) এবং হোটেলের দুই কর্মচারী ইয়াছিন (২০) ও নূর আলম (১৮) গুলিবিদ্ধ হয়। গুলির আওয়াজে পুরো বাজারে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে। গুলি করার পর সন্ত্রাসীরা নির্বিঘ্নে বীরদর্পে চলে যায়। 

মনেক ডাকাতের ছেলে শিপন গুলি খাইছে, একথা তার বাড়ি পার্শ্ববর্তী গ্রাম নূরজাহানপুরে ছড়িয়ে পড়লে, মনেকের নেতৃত্বে বিক্ষুব্ধ লোকজন সশস্ত্র অবস্থায় গণিশাহ মাজারের অদূরে তালতলায় গিয়ে স্থানীয় এমরান হোসেন মাস্টারের অফিসে হামলা চালায়।

এসময় মনেকের সশস্ত্র লোকজনের ছোঁড়া গুলিতে এমরান মাস্টার (৩৮) গুলিবিদ্ধ হন।

এমরান মাস্টার ঢাকায় কর্মরত পুলিশের উপ-পুলিশ কমিশনার (ডিসি) বিল্লাল হোসেনের ছোট ভাই। তিনি (এমরান) পার্শ্ববর্তী শ্যামগ্রাম মোহিনী কিশোর উচ্চ বিদ্যালয়ে শিক্ষকতা করেন। এমররান মাস্টারের বাড়ি বড়িকান্দি ইউনিয়নের থোল্লাকান্দি গ্রামে।

বিক্ষুব্ধ সশস্ত্র লোকজন এরপর থোল্লাকান্দি গ্রামে হামলা চালিয়ে একাধিক বাড়িঘর ভাঙচুর করে।

এদিকে গুলিবিদ্ধ চারজনকে রাতেই ঢাকায় পাঠানো হয়েছে। এরমধ্যে মনেক ডাকাতের ছেলে শিপন ও হোটেল কর্মচারী ইয়াছিনের অবস্থা আশঙ্কাজনক বলে এলাকাবাসী জানিয়েছেন।

এলাকার একাধিক সূত্র জানায়, এলাকায় আধিপত্য বিস্তার নিয়ে মনেক ডাকাত ও তার ছেলে শিপনের পুরো এলাকায় একক আধিপত্য ছিল। সেই আধিপত্য নিয়েই থোল্লাকান্দি গ্রামের মিষ্টারের ছেলে আরাফাতের নেতৃত্বে সশস্ত্র সন্ত্রাসীরা মনেক ডাকাতের ছেলে শিপনকে শনিবার রাতে গুলি করে।

আর এই আরাফাত থোল্লাকান্দি গ্রামের এমরান হোসেন মাস্টারের জ্ঞাতিগোষ্ঠী। আর এ কারণেই মনেক ডাকাতের ছেলে শিপন গুলিবিদ্ধ হওয়ার পর বিক্ষুব্ধ মনেক ডাকাত এমরান মাস্টারের অফিসে গিয়ে হামলা চালিয়ে তাকে গুলি করে।

পাল্টাপাল্টি এ গুলাগুলি ঘটনার পর পুনরায় সংঘর্ষ ও হামলার ভয়ে পুরো এলাকায় চরম আতঙ্ক বিরাজ করছে।

রাত সাড়ে ১১টায় অতিরিক্ত পুলিশ সুপার পিয়াস বসাক কালের কণ্ঠকে বলেন, ‘ঘটনাস্থলে প্রচুর পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। রাতভর অভিযান চলবে। কেন এই পাল্টাপাল্টি গুলির ঘটনা ঘটল? এ প্রশ্নের জবাবে তিনি সকালের আগে এ বিষয়ে বিস্তারিত কিছু জানাতে অপারগতা প্রকাশ করেন।’