ধাক্কা-ধাক্কিতে পড়ে গেলেন মমতা, পায়ের সঙ্গে মাথা-কপালেও আঘাত

ধাক্কা-ধাক্কিতে পড়ে গেলেন মমতা, পায়ের সঙ্গে মাথা-কপালেও আঘাত

ধাক্কা-ধাক্কিতে পড়ে গেলেন মমতা, পায়ের সঙ্গে মাথা-কপালেও আঘাত- ছবি: সংগৃহীত

নন্দীগ্রামের রানিচকে একটি মন্দিরে হরিনাম সংকীর্তনে অংশ নিয়ে বেরনোর সময় পড়ে গেলেন ভারতের পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তাঁর বাঁ পায়ের সঙ্গে মাথা এবং কপালেও চোট লেগেছে। তাঁকে নন্দীগ্রাম থেকে ‘গ্রিন করিডর’ করে কলকাতায় নিয়ে আসা হচ্ছে সড়কপথে। মুখ্যমন্ত্রী অভিযোগ করেছেন, ভিড়ের মধ্যে তাঁকে চার-পাঁচ জন ধাক্কা দেয়। ষড়ষন্ত্রেরও অভিযোগ তুলেছেন তিনি। সমগ্র ঘটনায় মুখ্যমন্ত্রীর নিরাপত্তা নিয়ে বড়সড় প্রশ্ন উঠে গিয়েছে। মমতা নিজেও অভিযোগ করেছেন, ঘটনার সময় কোনও পুলিশকর্মী বা জেলার পুলিশ সুপার কেউই ছিলেন না। বিজেপি এবং কংগ্রেস যদিও মমতার এই পড়ে যাওয়াকে ‘নাটক’ বলে মন্তব্য করেছে।

বুধবার (১০ মার্চ)দুপুরে হলদিয়ায় মনোনয়নপত্র জমা দিয়ে ফের নন্দীগ্রামে ফিরে আসেন মমতা। নন্দীগ্রামে রাত কাটানোর কথা ছিল তাঁর। বিকেলে তিনি যান রানিচক গিরি বাজার মন্দিরে তিনি একটি হরিনাম সংকীর্তনের অনুষ্ঠানে যোগ দেন। সেখান থেকে বেরনোর সময় তিনি পড়ে যান। মমতার দাবি, তাঁকে পিছন থেকে চার পাঁচ-জন ধাক্কা মারে। তাঁর কথায়, ‘‘ভিড়ের মধ্যে ৪-৫ জন বাইরে থেকে ঢুকে পড়েছিল। ধাক্কা মেরে ফেলে দেয় আমাকে। ইচ্ছাকৃত ভাবে ধাক্কা মারা হয়। এর পিছনে ষড়যন্ত্র ছিল।’’ পড়ে গিয়ে পা ফুলে গিয়েছে বলেও জানান মমতা। তিনি বলেন, ‘‘দেখো কিতনা ফুল গয়া।’’ পড়ে যাওয়ার পর মমতা আর হাঁটতে পারছিলেন না। তাঁকে পাঁজাকোলা করে গাড়িতে তোলা হয়। একটি দোকান থেকে বরফ নিয়ে দেওয়া হয় তাঁর বাঁ পায়ে। জড়িয়ে দেওয়া হয় কাপড়। মমতার দাবি, তাঁর বাঁ পা ফুলে গিয়েছে। কপাল ও মাথায় চোট লেগেছে। জ্বর জ্বর ভাবও রয়েছে মুখ্যমন্ত্রীর। এমনকি তাঁর বুকে ব্যথা হচ্ছে বলেও জানিয়েছেন মমতা।

রানিচক থেকে গাড়ি করে মুখ্যমন্ত্রীকে তাঁর অস্থায়ী ঠিকানা রেয়াপাড়ার বাড়িতে নিয়ে আসা হয়। কিন্তু তিনি গাড়ি থেকে নামতে পারছিলেন না। পায়ে প্রচণ্ড যন্ত্রণা হচ্ছে বলেও জানান। এর পরেই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয় মুখ্যমন্ত্রীকে কলকাতায় নিয়ে আসা হবে। মঙ্গলবার দুপুরে হেলিকপ্টারে নন্দীগ্রাম গিয়েছিলেন মমতা। কিন্তু আহত মমতাকে ‘গ্রিন করিডর’ করে কলকাতায় নিয়ে আসা হচ্ছে। -আনন্দবাজার