মিয়ানমারে বিক্ষোভকারীদের উপর দমনপীড়নের নিন্দা জাতিসঙ্ঘের

মিয়ানমারে বিক্ষোভকারীদের উপর দমনপীড়নের নিন্দা জাতিসঙ্ঘের

মিয়ানমারে বিক্ষোভকারীদের উপর দমনপীড়নের নিন্দা জাতিসঙ্ঘের

মিয়ানমারে জান্তা সরকার বিরোধী বিক্ষোভকারীদের ওপর চালানো দেশটির সামরিক বাহিনীর ব্যাপক দমনপীড়নের বুধবার কঠোর নিন্দা জানিয়েছে জাতিসঙ্ঘ। এদিকে চীনের জাতিসঙ্ঘ দূত দমনপীড়ন বন্ধ করার আহ্বান জানিয়েছেন এবং মার্কিন কর্তৃপক্ষ জান্তা নেতার পরিবারের সদস্যদের ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছে।

গত মাসে মিয়ামারের বেসামরিক নেতা অং সান সুচি সেনা অভ্যুত্থানে ক্ষমতাচ্যূত ও আটক হওয়ার পর থেকেই দেশটির ওপর আন্তর্জাতিক চাপ বৃদ্ধি পেয়েছে। দেশটিতে সামরিক অভ্যুত্থানের পর থেকেই সারাদেশে প্রতিদিন বিক্ষোভ হতে দেখা যাচ্ছে।খবরে বলা হয়, জরুরি ভিত্তিতে দমনপীড়ন বন্ধে বারবার আহ্বান জানানোর পরো নিরাপত্তা বাহিনীর সদস্যদেরকে ক্রমবর্ধমানভাবে ব্যাপক দমনপীড়ন চালাতে দেখা যাচ্ছে। বিক্ষোভ দমনে তারা টিয়ার গ্যাস, স্টান গ্রেনেড ও রাবার বুলেট ব্যবহার করছে।

কূটনীতিকরা এএফপি’কে বলেন, চীনসহ জাতিসংঘ নিরাপত্তা পরিষদের ১৫ সদস্য দেশ শান্তিপূর্ণ বিক্ষোভকারীদের ওপর দমনপীড়ন চালানোর কঠোর নিন্দা জানিয়ে এ বিবৃতি দিতে সম্মত হয়। মিয়ানমার সঙ্কটের এক মাসেরও বেশি সময় পর তারা এ ব্যাপারে সম্মত হলো।

এ নিন্দা জানানোর পর জাতিসঙ্ঘের চীনের রাষ্ট্রদূত ঝং জুন বলেন, ‘এখন দমনপীড়ন বন্ধ করার সময় এসেছে। এ সংকট সমাধানে কূটনীতিক আলোচনার সময় হয়েছে।’এদিকে যুক্তরাষ্ট্র মিয়ানমারের জান্তা নেতা মিন অং হলাইংয়ের দুই প্রাপ্তবয়স্ক সন্তান অং পিয়ে সোন ও খিন থিরি থাত মোনের ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করে নতুন চাপ সৃষ্টি করেছে।

মার্কিন ট্রেজারি বিভাগের দেয়া এক বিবৃতিতে বলা হয়, জান্তা নেতার এ দুই সন্তান তাদের ‘বাবার পদের সুবিধা নিয়ে এবং প্রভাব খাটিয়ে’ বিভিন্ন ব্যবসা পরিচালনা করছে।মিয়ানমারে সামরিক অভ্যুত্থান পরবর্তী সহিংসতায় মৃতের সংখ্যা ৬০ জন ছাড়িয়ে গেছে এবং প্রায় দুই হাজার জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে।

সূত্র : বাসস