লক্ষাধিক শুক্রাণু ও ডিম্বাণু চাঁদে পাঠানোর পরিকল্পনা বিজ্ঞানীদের

লক্ষাধিক শুক্রাণু ও ডিম্বাণু চাঁদে পাঠানোর পরিকল্পনা বিজ্ঞানীদের

নোয়াস আর্ক থেকে উদ্দীপিত হয়ে এই পরিকল্পনা করেছেন বিজ্ঞানীরা-

মানুষ চাইলে কিই না করতে পারে! তার আরও একটি নমুনা দেখতে চলেছে বিশ্ব। চাঁদে মোট ৬৭ লক্ষ প্রজাতির শুক্রাণু ও ডিম্বাণু পাঠাতে চলেছেন বিজ্ঞানীরা। চন্দ্রপৃষ্ঠে গড়ে উঠবে সম্পূর্ণ একটি স্পার্ম ব্যাঙ্ক। ইউনিভার্সিটি অফ আরিজোনার তরফে এই পরিকল্পনা করা হয়েছে। একে বলা হয়েছে মর্ডান গ্লোবাল ইনসিওরেন্স পলিসি। তাদের পরিকল্পনাকে মান্যতা দিয়েছে IEEE এরোস্পেস কনফারেন্স।
 
নোয়াস আর্ক থেকে উদ্দীপিত হয়ে এই পরিকল্পনা করেছেন বিজ্ঞানীরা। পরিকল্পনায় বলা হয়েছে চাঁদের পৃষ্ঠের নিচে ব্যাংক তৈরি করবেন তাঁরা। এখানে আরও বলা হয়েছে যে অণুবীক্ষণিক সেলগুলি ক্রিওজেনিকভাবে সংরক্ষণ করা উচিত। এগুলি খুব কম তাপমাত্রায় রাখা হবে। শুক্রাণু এবং ডিম্বাণু ছাড়াও গবেষকরা হিমায়িত বীজ এবং বীজজাতীয় রাখারও প্রস্তাব দিয়েছেন। এই পরিকল্পনার মূল ভিত্তি জলবায়ু পরিবর্তন। বিশেষত এটি সমুদ্রের জলস্তরকে বাড়াতে পারে। এছাড়া বিশ্বজুড়ে মারাত্মক মহামারী এবং বৃহৎ আকারের পারমাণবিক যুদ্ধ এক্ষেত্রে দুটি আরও বড় সম্ভাবনা। কিন্তু চাঁদ পৃথিবী থেকে ২ লক্ষ ৩৮ হাজার ৮৫৫ মাইল দূরে অবস্থিত। ফলে সেখানে এই সব সমস্যা হওয়ার কোনও সম্ভাবনা নেই।
 
এদিকে চাঁদে একসঙ্গে স্পেস স্টেশন বানানোর পরিকল্পনা করছে রাশিয়া ও চীন। মনে করা হচ্ছে এই উদ্যোগ আমেরিকার সঙ্গে টক্কর। মস্কো তার শক্তিকে আরও আধুনিক করতে চায়। তাই মহাকাশ গবেষণার দৌড়ে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রকে টপকে যেতে চায় চারা। সেই কারণেই বেজিংয়ের সঙ্গে জোট বাঁধছে মস্কো। কারণ সোভিয়েত ইউনিয়ন থাকার সময় মহাকাশে প্রথম মানুষ পাঠিয়েছিল রাশিয়া। কিন্তু চাঁদ ও মঙ্গলে নতুন আবিষ্কারের দিক থেকে বেজিং ও ওয়াশিংটনের থেকে পিছিয়ে রয়েছে তারা। রাশিয়ার স্পেস এজেন্সি রসকসমস জানিয়েছে, তাদের সংস্থার প্রধান ডমিট্রি রগোজিন ও চীনের ন্যাশনাল স্পেস অ্য়াডমিনিস্ট্রেশনের (CNSA) প্রধান ঝাং কেজিয়ানের মধ্যে ইতিমধ্যেই চুক্তি সাক্ষরিত হয়েছে। চাঁদের এই স্পেস স্টেশন চাঁদের পৃষ্ঠতল এবং চাঁদের কক্ষপথ নিয়ে পরীক্ষামূলক গবেষণা জন্য তৈরি হবে। এটি অন্যান্য দেশকেও ব্যবহার করতে দেওয়া হবে। তবে এই স্টেশন নিয়ে এখনও দুই দেশের তরফে বিস্তারিত কিছু বলা হয়নি। -কোলকাতা২৪