হেসে খেলে জয় পেল নিউজিল্যান্ড

হেসে খেলে জয় পেল নিউজিল্যান্ড

ছবি : সংগৃহীত

বাংলাদেশের দেওয়া ১৩২ রানের মামুলি টার্গেটে ব্যাট করতে নেমে  হেসেখেলেই পার করে দিয়েছে কিউই ব্যাটসম্যানরা।  মাত্র ২১.২ ওভারে ২ উইকেট হারিয়ে জয়ের বন্দরে পৌছে যায় নিউজিল্যান্ড।  ফলে ‍প্রথম ওয়ানডে ৮ উইকেটে জয় পায় স্বাগতিক কিউইরা।

বাংলাদেশের দেওয়া ছোট্ট টার্গেটকে তাড়া করতে নেমে প্রথম থেকে টি-টোয়েন্টি মেজামে ব্যাট করতে থাকে কিউই ওপেনিং ব্যাটসম্যান গাপটিল।  ফলে তাদের ৫৪ রানের মাথায় প্রথম উইকেটের পতন হয়। তাসকিনের বলে মুশফিকের হাতে ক্যাচ দেন গাপটিল। তবে আউট হওয়ার আগে ১৯ বলে করেন ৩৮ রান এক টর্নেডো ইনিংস খেলেন তিনি।  

অভিষিক্ত ডেভন কনওয়ে ও নিকোলস দল নিয়ে  নিয়ে যায় জয়ের দার প্রান্তে। এই জুটি যখন ভাঙে তখন নিউজিল্যান্ড প্রায় জয়ের কাছাকাছি। দলীয় ১১৯ রানের মাথায় বিদায় নেন অভিষেক ম্যাচ খেলতে নামা কনওয়ে। ৫২ বলে দুই চারে ২৭ রান করে তিনি হাসানের বলে ক্যাচ দেন মাহমুদউল্লাহর। তবে জয় নিয়ে মাঠ ছাড়েন নিকোলস। ৫৩ বলে ৬টি চারে ৪৯ রানে অপরাজিত থাকেন তিনি। ৬ বলে দুই চারে ১১ রানে অপরাজিত থাকেন প্রথম ওয়ানডে ম্যাচ খেলতে নামা উইল ইয়ং।  বল হাতে একটি করে উইকেট নেন বাংলাদেশের দুই পেসার তাসকিন ও হাসান মাহমুদ।  দারুণ বোলিংয়ের সুবাদে ম্যাচ সেরার পুরস্কার জেতেন নিউজিল্যান্ডের পেসার ট্রেন্ট বোল্ট।

এর আগে টসে হেরে ব্যাট করতে নেমে নিউজিল্যান্ডের পেস আর বাউন্স তোপে মাত্র ১৩১ রানে গুটিয়ে যায় বাংলাদেশ।  ব্যটিংয়ে নেমে শুরুর আভাসটা ভালোই দিয়েছিল অধিনায়ক তামিম ইকবাল। বোল্টের প্রথম ওভারের তৃতীয় বলেই ছক্কা তামিমের।  কিন্তু সেই শুরুটা আর বেশিখন স্থায়ী হতে দেয়নি কিউই পেসার।  তাদের বাউন্স আর গতির কাছে অসহায় আত্মসমর্ণন ছিল বাংলাদেশের ব্যাটসম্যানদের।

পঞ্চম ওভারে প্রথম উইকেটের পতন বাংলাদেশের। বোল্টের প্রথম বলে এলবিডব্লিউ তামিম। ১৫ বলে এক চার ও এক ছক্কায় বাংলাদেশ অধিনায়ক করেন ১৩ রান।  একই ওভারে বোল্টের বলে সৌম্য সরকারের মারলেন ডাক।

তৃতীয় উইকেট জুটিতে হাল ধরার চেষ্টা করেছিলেন লিটন ও মুশফিক। ২৩ রানের এই জুটি ভাঙেন নিশাম। দলীয় ৪২ রানে বিদায় নেন লিটন। লিটনের ইনিংস শেষ হয় ৩৬ বলে ১৯ রান করে। এর পরে ৬৯ রানে মুশফিকের বিদয়ের পর বিরতীহীন ভাবে উইকেট পড়তে থাকে বাংলাদেশের।  মুশফিকের বিদয়ের পর মিঠুন ফেরেন ৯ রান করে ।  রান আউট হয়ে ফেরেন মিঠুন।
৭২ রানে ৫ উইকেট হারানো বাংলাদেশ তখনো বিপদের মধ্যে। শেষ অবধি এই বিপদ আর কাটেনি। ধারাবাহিক বিরতিতে পড়েছে উইকেট।

১০ বলে ১ রান করে মেহেদী হাসান মিরাজ আউট সান্টনারের বলে বোল্ড হয়ে। শেষের দিকে মাহমুদউল্লাহ রিয়াদের সঙ্গে অভিষিক্ত মেহেদী ও তাসকিনের দুটি খণ্ড জুটিতে ১০০ পার করে বাংলাদেশ। না হলে কপালে আরও খারাপ হতে পারত।

মেহেদী হাসানের সঙ্গে রিয়াদের জুটি ২০ রানে, তাসকিনের সঙ্গে ২৭ রান। ৪১.৫ ওভারে অল আউট বাংলাদেশ।

দলের হয়ে সর্বোচ্চ ২৭ রানের ইনিংস আসে মাহমুদউল্লাহর ব্যাটে। মেহেদী হাসান ১৪, তাসকিন ১০ রান করেন। দুই পেসার হাসান মাহমুদ ও মোস্তাফিজুর রহমানের রান সমান ১। বল হাতে নিউজিল্যান্ডের হয়ে ৪টি উইকেট নেন ট্রেন্ট বোল্ট। নিশাম ও সান্টনার দুটি, হেনরি এক উইকেট লাভ করেন।

 দারুণ বোলিংয়ের সুবাদে ম্যাচ সেরার পুরস্কার জেতেন নিউজিল্যান্ডের পেসার ট্রেন্ট বোল্ট।

আগামী ২৩ মার্চ ক্রাইস্টচার্চে হবে দ্বিতীয় ওয়ানডে।