সুস্থতার লক্ষ্যে প্রতিদিন হাঁটুন ১০০০০ পা
আগেকার দিনের ডাক্তারেরা বলতেন সকাল-বিকাল মর্নিং আর ইভিনিং ওয়াক করার কথা- সংগৃহীত ছবি
গুনে গুনে ঠিক ১০০০০ স্টেপ। বুঝতে পারছেন না এটা কী? আগেকার দিনের ডাক্তারেরা বলতেন সকাল-বিকাল মর্নিং আর ইভিনিং ওয়াক করার কথা। এতেই নাকি শরীর ও মেজাজ থাকবে একেবারে ফুরফুরে। কিন্তু তাই বলে স্টেপ গুনে গুনে হাঁটা কেমন অস্বাভাবিক বলে মনে হচ্ছে? আসলে এখন সময় বদলেছে। সেই সঙ্গে বিজ্ঞানও বেশ উন্নতির পথে। আর তার উপর তো নতুন আবিষ্কার হয়েছে স্মার্ট ওয়াচ নামক যন্ত্রটি। তাই বর্তমানে চিকিৎসকেরা বলছেন শুধু হাঁটলেই চলবে না, হিসেব কষে নাকি হাঁটতে হবে। আর এই হিসেবে নাকি দিনে কম করে ১০০০০ স্টেপ ফেলতেই হবে। নইলে মিলবে না উপকার।
তবে এই ১০০০০ স্টেপ নানাভাবে নেওয়া সম্ভব। গবেষণা বলছে বাড়ির মা-বউরা যদি সারাদিন অল্পবিস্তর বাড়ির কাজ সারার পাশাপাশি আবার হাটে-বাজারে দৌড়াদৌড়ি এবং ৩০ মিনিট মর্নিং বা ইভিনিং ওয়াক করে ফেলে তাহলেই জমবে খেল। বাড়িতে সিঁড়ি থাকলে সেখান দিয়েও ১০০০০ বার ওঠা-নাম করলেও দেবে কাজ। কিন্তু কেন এতো দৌঁড়াদৌঁড়ি?
১. অতিরিক্ত ওজনের জন্যে ওষধ ডায়েট মেনে খাওয়া-দাওয়া ও দৈনিক ১০০০০ স্টেপ অতিক্রম করা। এক সমীক্ষায় দেখা গেছে যে টানা ৮ সপ্তাহ ধরে নিয়ম মেনে হাঁটলে ওজন কমানোটা কোনো বিশাল চ্যালেঞ্জ আর নয়। আর সেই সঙ্গেই স্থূলতার মতো সমস্যাও চোখের নিমেষে হবে উধাও।
২. চিকিৎসকেদের মতে নিয়মিত হাঁটলে নাকি মস্তিষ্ক থাকে সচল আর রক্তের সরবরাহ বেড়ে যায়। ফলে স্বাভাবিকভাবেই ব্রেনের বিশেষ কিছু অংশ এতটাই সক্রিয় হয়ে ওঠে যে মস্তিষ্কের কার্য ক্ষমতা বিয়ার যায় অস্বাভাবিক হারে। আর একবার ব্রেন পাওয়ার বেড়ে গেলে স্বাভাবিকভাবেই স্মৃতিশক্তি যেমন বাড়বে তেমন মনোযোগ ক্ষমতার উন্নতিও হবে চোখে পড়ার মতো।
৩. যারা দিনের বেশিরভাগ সময় নিয়মিত একটু হাঁটাহাঁটি করে, তাহলে কোনো ধরণের হৃদ রোগ হওয়ার আশঙ্কা যায় কমে। নিয়মিত ১০০০০ স্টেপ নিলে আমাদের আয়ু বৃদ্ধি পায় চোখে পড়ার মতো। -কোলকাতা২৪