আওয়ামী লীগ নেতার স্ত্রীর বিরুদ্ধে গৃহহীনের নিকট থেকে অর্থ আদায় প্রমাণিত, কারণ দর্শানোর নোটিশ

আওয়ামী লীগ নেতার স্ত্রীর বিরুদ্ধে গৃহহীনের নিকট থেকে অর্থ আদায় প্রমাণিত, কারণ দর্শানোর নোটিশ

আওয়ামী লীগ নেতার স্ত্রীর বিরুদ্ধে গৃহহীনের নিকট থেকে অর্থ আদায় প্রমাণিত, কারণ দর্শানোর নোটিশ-

মুজিব শতবর্ষে প্রধানমন্ত্রী উপহার গৃহহীনদের ঘর দেয়ার কথা বলে টাকা নেয়ায় পাবনার সাঁথিয়া উপজেলার আ’লীগ নেতার স্ত্রীর বিরুদ্ধে অভিযোগের সত্যতা মিলেছে। অপরদিকে দলীয় ভাবমূর্তি ক্ষুন্ন হওয়ায় দলের পক্ষ থেকে কারণ দর্শানোর নোটিশ দেয়া হয়েছে ঐ আওয়ামী লীগ নেতার বিরুদ্ধে।

জানা গেছে, উপজেলার করমজা ইউনিয়ন আ’লীগের সাধারণ সম্পাদক আবু দাউদ নান্নুর স্ত্রী মেরিনা আকতার একই গ্রামের ফজরের স্ত্রী মমতাজের নিকট থেকে ঘর দেয়ার কথা বলে তিন মাস আগে ৫ হাজার টাকা নেন।

পরবর্তিতে মমতাজ যখন লটারিতে ঘর পান তখন খবর পেয়ে ওই নেতার স্ত্রী মমতাজকে বাড়িতে ডেকে নিয়ে আরো  ৫০ হাজার টাকা দাবী করেন। মমতাজ টাকা দিতে অপারগতা প্রকাশ করলে ওই নেতার স্ত্রী বলেন, আগামী ৭ দিনের মধ্যে যদি বাকী ৫০ হাজার টাকা না দাও তবে ঘর দেয়া হবে না বলে জানিয়ে দেয়।

ভূক্তভোগী মমতাজ এ নিয়ে উপজেলা নির্বাহী অফিসারের নিকট লিখিত অভিযোগ দেন। এ নিয়ে উপজেলা নির্বাহী অফিসার এসএম জামাল আহমেদ তদন্তে গেলে অভিযোগের সত্যতা খুঁজে পান।

এ দিকে বৃহস্পতিবার (১৫ এপ্রিল) সাঁথিয়া উপজেলা আ’লীগের দলীয় প্যাডে উপজেলা আ’লীগের সভাপতি/সম্পাদক স্বাক্ষরিত কারণ দর্শানো চিঠি পাঠিয়ে দিয়েছেন করমজা ইউনিয়নের সাধারণ সম্পাদক আবু দাউদ নান্নুকে। তাতে বলা হয় মুজিব শতবর্ষে প্রধানমন্ত্রীর উপহার গৃহহীনদের ঘর দেয়ার কথা বলে টাকা নেয়ার অভিযোগ ও আরো টাকা না দিলে হুমকি ধামকির বিষয় নিয়ে উপজেলা নির্বাহী অফিসার নিকট অভিযোগ দেন ভূক্তভোগী। এতে দলের আদর্শ ও সরকারের ভাবমুর্তি ক্ষুন্ন হয়েছে যা বাংলাদেশ আ’লীগের গঠনতন্ত্র ৪৭/৯ এর বিধি অনুযায়ী দলের স্বার্থ, আদর্শ, শৃংখলা তথা গঠণতন্ত্র ও ঘোষণা পত্র পরিপন্থি অপরাধ সংঘঠিত করিয়াছেন বলে প্রতিয়মান হয়েছে। এমতাবস্থায় আপনার বিরুদ্ধে কেন শাস্তিমূলক ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে না এই মর্মে পত্র প্রাপ্তির ১৫ দিনের মধ্যে আপনার মতামত জানানোর জন্য বলা হল।

অপরদিকে ভুক্তভোগী মমতাজ জানান, ঘটনার পরের দিন আ’লীগ নেতা আবু দাউদ নান্নুর স্ত্রী মেরিনা আকতার মমতাজের বাড়িতে গিয়ে ক্ষমা চেয়েছেন এবং তার থেকে নেয়া ৫ হাজার টাকা ফেরত দিয়েছেন এবং বলেছেন আর কোন টাকা পয়সা দিতে হবে না।