স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর সঙ্গে হেফাজত নেতাদের বৈঠক

স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর সঙ্গে হেফাজত নেতাদের বৈঠক

স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর সাথে বৈঠক করেছেন হেফাজতে ইসলাম বাংলাদেশের শীর্ষ নেতারা। - ছবি : সংগৃহীত

স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামালের সাথে বৈঠক করেছেন হেফাজতে ইসলাম বাংলাদেশের শীর্ষ নেতারা।

সোমবার (১৯ এপ্রিল) রাত ১০টার দিকে হেফাজতের অন্তত ১০ জন শীর্ষ নেতা স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর ধানমন্ডির বাসায় বৈঠকে বসেন। রাত ১১ টার দিকে বৈঠক শেষে বেরিয়ে যাওয়ার সময় হেফাজত নেতারা কোনো কথা বলতে রাজি হননি।

সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, রাত ১০টার দিকে হেফাজতের নেতারা স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর বাসায় ঢোকেন। এসময় ঊর্ধ্বতন পুলিশ কর্মকর্তারাও উপস্থিত ছিলেন।

বৈঠকে অংশ নেয়া হেফাজতের শীর্ষ নেতাদের মধ্যে ছিলেন দলটির নায়েবে আমির মাওলানা আতাউল্লাহ হাফেজী, হেফাজতের মহাসচিব নূরুল ইসলাম জিহাদী, মামুনুল হকের ভাই বেফাকের মহাসচিব মাওলানা মাহফুজুল হক, অধ্যক্ষ মিজানুর রহমান (দেওনার পীর), মাওলানা হাবিবুল্লাহ মিয়াজী প্রমুখ।

এক প্রশ্নের উত্তরে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী জানান, সৌজন্য সাক্ষাতে এসেছিলেন তারা। এটি কোনো বৈঠক নয়। ধরপাকড় শুরু হয়েছে বলেই বোধ হয় তারা এসেছিলেন। তাদের বলা হয়েছে, সুনির্দিষ্ট তথ্য প্রমাণের ভিত্তিতেই গ্রেফতার করা হচ্ছে।

অন্যদিকে সোমবার রাতে ফেসবুক লাইভে আসেন সংগঠনটির আমির জুনায়েদ বাবুনগরী। গ্রেফতার বন্ধে সরকারের প্রতি আহ্বান তিনি। হেফাজত নেতাকর্মীদের উদ্দেশে জুনায়েদ বাবুনগরী বলেন, আপনারা কোনো জ্বালাও-পোড়াও করবেন না। হেফাজতে ইসলাম জ্বালাও-পোড়াওয়ে বিশ্বাস করে না।

এর আগে সোমবার দুপুরে সরকারের একটি গোয়েন্দা সংস্থার সাথে হেফাজতের পাঁচ শীর্ষ নেতা বৈঠক করেন। হেফাজতের পক্ষ থেকে বৈঠকে নেতৃত্ব দেন সংগঠনটির মহাসচিব মাওলানা নূরুল ইসলাম জিহাদী।

সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, সরকারের কঠোর অবস্থানের কারণে কোণঠাসা হেফাজতে ইসলামের শীর্ষ নেতারা সমঝোতার চেষ্টা করছেন। এরই ধারাবাহিকতায় তারা গোয়েন্দা সংস্থা ও স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর সাথে বৈঠক করেছেন। হেফাজতের নেতারা চাইছেন, আর কোনো নেতাকর্মীকে যেন আইনশৃঙ্খলা বাহিনী গ্রেফতার না করে।

উল্লেখ্য, গত ২৬ মার্চ স্বাধীনতার ৫০ বছর ও বঙ্গবন্ধুর জন্মশতবার্ষিকী উপলক্ষে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির ঢাকা সফরের বিরোধিতা করে আন্দোলন করে হেফাজতে ইসলাম। তখনো হেফাজতের শীর্ষ নেতাকর্মীদের নাম উল্লেখ না করেই একাধিক মামলা দায়ের করা হয়। তবে ৩ এপ্রিল নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁওয়ের রয়েল রিসোর্টে হেফাজতের প্রভাবশালী নেতা মাওলানা মামুনুল হক আটক হলে নড়েচড়ে বসে সরকার।