বৃষ্টির জন্য ইস্তেসকার নামাজ পড়লেন পাবনা-কুষ্টিয়া জেলার মানুষ

বৃষ্টির জন্য ইস্তেসকার নামাজ পড়লেন পাবনা-কুষ্টিয়া জেলার মানুষ

বৃষ্টির জন্য ইস্তেসকার নামাজ পড়লেন পাবনা-কুষ্টিয়া জেলার মানুষ

উত্তরাঞ্চল লু হাওয়ায় উতপ্ত হয়ে ওঠেছে। প্রাণীকূল হাঁসফাঁস করছে প্রচন্ড ভ্যাপসা গরমে। দাদাদহে সমস্ত প্রাণী ওষ্ঠাগত। দীর্ঘদিন অনাবৃষ্টির কারণে লু হাওয়ায় সবর্ত্র যেন আগুন বাতাস প্রবাহিত হচ্ছে। একটু ঠান্ড পরশ পেতে মানুষ আল্লাহর কাছে ধরণা ধরছে। বৃষ্টির জন্য দোয়া চেয়ে ইস্তেসকার নামাজ আদায় করেছেন পাবনা ও কুষ্টিয়া  জেলার দু’টি ইউনিয়নের কয়েকশ’ মানুষ। করোনাভাইরাসের সংক্রমণ নিয়ন্ত্রণে দেশে চলমান ‘কঠোর লকডাউনের’ মধ্যেই সোমবার (১৯ এপ্রিল) শত শত মানুষ পাবনা সদর উপজেলার চর মহেন্দ্রপুর স্কুলের পাশে ধূ ধূ মাঠে জড়ো হয়ে এ নামাজ আদায় করেন।

পাবনা সদর উপজেলার ভবানীপুর গ্রামের মাঠের মধ্যে চর ভবানীপুর এবং কুষ্টিয়া জেলার কুমারখালীর জগন্নাথপুর গ্রামের মানুষ এ নামাজে অংশ নেন। নামাজ শেষে অনাবৃষ্টি থেকে মুক্তির জন্য বিশেষ মোনাজাতের সময় মানুষ আল্লাহর কাছে গুনাহ মাফ চেয়ে বৃষ্টির জন্য অঝরে চোখের পানি ছেড়ে হাউ মাউ করে কাঁদতে থাকেন দীর্ঘ সময় ধরে। মোনাজাত পরিচালনা করেন চর জগন্নাথপুর গ্রামের স্থানীয় জামে মসজিদের ইমাম ইদ্রিস আলী।

তিনি বলেন, বৃষ্টি না হওয়ায় দাবদাহে দেশের মানুষের কষ্ট হচ্ছে। এ রকম পরিস্থিতে প্রয়োজন পূরণের জন্য আল্লাহপাকের দরবারে পানি প্রার্থনা করে দোয়া করা সুন্নত। তাই এই ইস্তেসকার নামাজের আয়োজন করা।পাবনা ও কুষ্টিয়া জেলায় গত বেশ কয়েক মাস ধরে বৃষ্টি হয় না। তাই আমরা দোয়া করেছি।

উল্লেখ্য, পাবনার ঈশ্বরদীতে বুধবার (২১ এপ্রিল ) তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ৩৮ ডিগ্রী সেলসিয়াস। এই তাপমাত্রা বেলা ৩টায় রেকর্ড করা হয়েছে। এছাড়া মঙ্গলবার (২০ এপ্রিল ) একই সময় রেকর্ড করা হয় ৩৯.৮০ ডিগ্রী সেলসিয়াস।

ঈশ্বরদী আবহাওয়া অফিসের পর্যবেক্ষক নাজমুল হক জানান, মঙ্গলবার দেশের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিল রাজশাহীতে ৪০.৩ ডিগ্রী এবং দ্বিতীয় সর্বোচ্চ কুষ্টিয়ার কুমারখালীতে ৪০ ডিগ্রী। এরপর তৃতীয় অবস্থানে ঈশ্বরদী ৩৯.৮ ডিগ্রী  সেলসিয়াস।

আকাশে মেঘের কোন আলামত দেখা যাচ্ছে না। বেশকিছুদিন যাবৎ সকাল ৮/৯টার পর থেকে শুরু হয়ে সন্ধ্যার আগ পর্যন্ত সারাদিন যেন লু হাওয়া বয়ে যাচ্ছে। জীবন যাত্র অচল হয়ে পড়েছে। ছোট ছোট আম, লিচু ঝরে পড়ছে। লক ডাউনে মানুষ ঘর থেকে বেরুতে নিষেধ থাকলেও প্রয়োজনে বের হওয়ার পারমিশন থাকলেও প্রচন্ড রোদ ও গরমে বের হতে পারছে না। এদিকে প্রচ- গরমে শ্রমজীবী মানুষের অনেকেই অসুস্থত হয়ে হয়ে পড়ছেন।