যশোর জেলা পরিষদ মার্কেটে ভয়াবহ আগুনে পুড়ে ১৫ দোকান ছাই; ৯০ লাখ টাকার ক্ষতি

যশোর জেলা পরিষদ মার্কেটে ভয়াবহ আগুনে পুড়ে ১৫ দোকান ছাই; ৯০ লাখ টাকার ক্ষতি

প্রায় দুই ঘন্টা পর আগুন নিয়ন্ত্রনে আনে ফায়ার সার্ভিস- ছবি: যশোর প্রতিনিধি

যশোর মুনশি মেহেরুল্লাহ ময়দান (টাউন হল মাঠ) সংলগ্ন জেলা পরিষদ সুপার মার্কেটে আগুন লেগেছে। ভয়াবহ এই অগ্নিকাণ্ডে ১৫টি কাপড়ের দোকান পুড়ে ছাই হয়ে গেছে। এতে ৮০ থেকে ৯০ লাখ টাকার মতো ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে বলে জানিয়েছেন ব্যবসায়ীরা।

বুধবার রাত পৌনে ১১টার দিকে আগুনের সূত্রপাত বলে স্থানীয়রা বলছেন। প্রায় দুই ঘণ্টার চেষ্টায় ফায়ার সার্ভিসকর্মীরা আগুন নিয়ন্ত্রণে আনতে সক্ষম হন।

প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, রাত আনুমানিক সাড়ে দশটার  দিকে হকার্স মার্কেট থেকে ধোঁয়া উঠতে দেখেন তারা। এসময় তারা সরকারের জরুরী সেবা ৯৯৯-এ ফোন দেন। এর কিছুসময় পরেই ঘটনাস্থলে পৌঁছায় ফায়ার সার্ভিসের চারটি ইউনিট ও পুলিশ সদস্যরা। পরে তারা স্থানীয়দের সহায়তায় আগুন নিয়ন্ত্রণে কাজ শুরু করে। প্রায় দু’ঘন্টার চেষ্টায় রাত আনুমানিক পৌন একটার দিকে আগুন নিয়ন্ত্রণে আসে।

এদিকে লকডাউন থাকার কারণে রাস্তায় মানুষজন ছিলো না। ক্ষতিগ্রস্থ দোকানীরাও খবর পেয়েছেন অনেক পরে। এতে ক্ষয়ক্ষতি বেশী হয়েছে বলে অভিযোগ ভুক্তভোগীদের। তাছাড়া মার্কেটের দোকানগুলোতে কাপড় থাকায় তা নিয়ন্ত্রণে আনতেও কিছুটা সময় লেগেছে বলে জানিয়েছেন ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা। এদিকে আগুন লাগার কারণ ও ক্ষয়ক্ষতির পরিমান এখনও জানা যায়নি।

ব্যবসায়ী সমিতির সেক্রেটারি তারিক হাসান বিপুল বলেন, মার্কেটের পূর্ব পাশের কালু মিয়া, শাহিন, পলাশ, মকবুল, গফুর, বাবু, আমির, হোসেনেরসহ ১৫টি দোকানের মালামাল সম্পূর্ণ ভস্মিভূত হয়েছে।

তিনি বলেন, ঈদুল ফিতরকে সামনে রেখে দোকানিরা নতুন কাপড় তুলেছিলেন। কিন্তু আগুনে ৮০ থেকে ৯০ লাখ টাকার ক্ষতি হয়েছে।

যশোর ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্সের সহকারী পরিচালক কামালউদ্দিন ভূঁইয়া বলেন, 'খবর পেয়ে আমাদের চারটি টিম আগুন নিয়ন্ত্রণে কাজ করেছে। প্রায় দুই ঘণ্টার চেষ্টায় রাত পৌনে একটার দিকে আগুন নিয়ন্ত্রণে আসে।'

তিনি বলেন, মার্কেটের পেছনে জেলা পরিষদের পাশ থেকে বৈদ্যুতিক শর্টসার্কিট কিংবা অন্য কোনও কারণে আগুন লাগতে পারে।
কী পরিমাণ ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে তা এখনই বলা সম্ভব নয় বলে জানান ফায়ার সার্ভিসের এই কর্মকর্তা।

যশোর কোতয়ালী খানার ওসি তাজুল ইসলাম বলেন, ফায়ার সার্ভিসের পাশাপাশি পুলিশের একাধিক টিম আগুন নিয়ন্ত্রণে কাজ করেছে।