শিক্ষার্থীকে থাপ্পড় দেওয়ার ঘটনায় দুঃখ প্রকাশ করলেন সেই সহকারী প্রক্টর

শিক্ষার্থীকে থাপ্পড় দেওয়ার ঘটনায় দুঃখ প্রকাশ করলেন সেই সহকারী প্রক্টর

শিক্ষার্থীকে থাপ্পড় দেওয়ার ঘটনায় দুঃখ প্রকাশ করলেন সেই সহকারী প্রক্টর

ক্যাম্পাসের গাছ থেকে আম পাড়ায় এক শিক্ষার্থীতে থাপ্পড় দিয়ে তুমুল সমালোচনার মুখে পড়েছেন ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের (ইবি) সহকারী প্রক্টর আরিফুল ইসলাম। এ ঘটনায় শনিবার প্রক্টরিয়াল বডির মিটিংয়ে তিনি ভুক্তভোগী শিক্ষার্থীর নিকট দুঃখ প্রকাশ করেছেন বলে জানা গেছে। এর আগে শুক্রবার বিকেলে শারীরিক ও মানসিকভাবে লাঞ্ছনার অভিযোগ তুলে অভিযুক্ত সহকারী প্রক্টরের বিরুদ্ধে প্রক্টর বরাবর লিখিত অভিযোগ দেন হাসান আলী নামের ভূক্তভোগী ওই শিক্ষার্থী।

অভিযোগের ভিত্তিতে শনিবার দুপুরে আলোচনায় বসে প্রক্টরিয়াল বডি। এ সময় অভিযুক্ত সহকারী প্রক্টর ভুল স্বীকার করে ভুক্তভোগী শিক্ষার্থীর নিকট দুঃখ প্রকাশ করেন। তবে ভুক্তভোগী শিক্ষার্থী তাঁর অভিযোগ প্রত্যাহার না করায় অভিযোগ প্রতিবেদন আকারে উপাচার্যের নিকট উপস্থাপন করা হবে বলে জানিয়েছেন প্রক্টর অধ্যাপক ড. জাহাঙ্গীর হোসেন।

তিনি বলেন, ওই শিক্ষার্থী তার অভিযোগ প্রত্যাহার না করায় অভিযোগের উপর ভিত্তি করে প্রক্টরিয়াল বডির সদস্যরা প্রতিবেদন তৈরি করছেন। আগামীকাল উপাচার্যের কাছে প্রতিবেদন ও লিখিত অভিযোগ দাখিল করব। উপাচার্য মহোদয় পরবর্তী সিদ্ধান্ত নিবেন।

এ বিষয়ে ভুক্তভোগী শিক্ষার্থী হাসান আলী বলেন, আজকের মিটিংয়ে ওই সহকারী প্রক্টর আমার কাছে দুঃখ প্রকাশ করেছেন। ব্যক্তিগতভাবে স্যারের প্রতি আমার আর কোন আক্রোশ নেই। তবে অভিযোগ প্রত্যাহার করবোনা।

এ দিকে সহকারী প্রক্টর কর্তৃক শিক্ষার্থী হেনস্তার প্রতিবাদে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে প্রতিবাদের ঝড় তুলেছেন তার সহপাঠীসহ অন্য শিক্ষার্থীরা। এছাড়া এ ঘটনার প্রতিবাদে শনিবার ক্যাম্পাসে শিক্ষার্থীরা দিনব্যাপী আম পেড়ে অভিনব প্রতিবাদ কর্মসূচি পালন করেন।

এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. শেখ আবদুস সালাম বলেন, প্রক্টরিয়াল বডিকে বিষয়টি নিয়ে বসতে বলেছিলাম। তাদের থেকে লিখিত চেয়েছি। শিক্ষার্থীরা ক্যাম্পাসের ফলফলাদি পাড়বেই। তাই বলে শিক্ষকদের তাদের প্রতি রূঢ় আচরণ করা কাম্য নয়। এটা শিক্ষকসম্মত আচরণ নয়।

উল্লেখ্য, গত শুক্রবার দুপুরে বিশ্ববিদ্যালয়ের হিসাববিজ্ঞান ও তথ্য পদ্ধতি বিভাগের স্নাতকোত্তরের শিক্ষার্থী হাসান আলী তার স্ত্রীকে নিয়ে ক্যাম্পাসে ঘুরতে এসে গাছ থেকে কয়েকটি আম ছিড়েন। এ সময় সেখানে ওই সহকারী প্রক্টর উপস্থিত হলে তার সাথে কথা কাটাকাটি হয়। একপর্যায়ে তিনি ওই শিক্ষার্থীকে সজোরে থাপ্পড় দেন ও পরে তাঁকে স্ত্রীসহ আবাসিক হলে আটক করে রাখেন। প্রায় ঘন্টা খানেক পর তাদেরকে ছেড়ে দেওয়া হয়।