পাবনায় ঈদের বাজারে উপচে পড়া ভিড়, স্বাস্থ্যবিধি উধাও

আর মাত্র দু/তিন দিন পর ঈদ। বানের পানির মত মানুষ মার্কেটে হুমড়ি খেয়ে পড়েছে। ঈদ উপলক্ষে পাবনার বিভিন্ন মার্কেট, শপিং মল ও দোকানপাটে ক্রেতাদের উপচে পড়া ভিড় দেখা গেছে। স্বাস্থ্যবিধির তোয়াক্কা করছেন না ক্রেতা ও বিক্রেতারা। আজ সোমবার সরেজমিনে পাবনা শহরের দই বাজার এলাকা, নিউ মার্কেট এলাকা, এএইচ রোড, আওরঙ্গজেব রোড এলাকার বিভিন্ন মার্কেট, শপিং মল ও দোকান ঘুরে দেখা গেছে কোথাও মানা হচ্ছে না স্বাস্থ্যবিধি। ভিড়ের মধ্যেও অনেকের মুখেই নেই মাস্ক।

ব্যবসায়ীরা জানিয়েছেন, লকডাউন শিথিল হওয়ার পর চলতি মাসের ৬ তারিখ থেকে ঈদের বেচাকেনা জমে উঠেছে। ঈদ ঘনিয়ে আসায় সবাই যত শিগিগির সম্ভব কেনাকাটা শেষ করতে চাওয়ায় বাজারে ভিড় বেড়েছে।

পাবনা দই বাজার এলাকার কাপড় ব্যবসায়ী রবিউল ইসলাম বলেন, ‘পাবনার বিভিন্ন এলাকা থেকে ক্রেতারা শেষ মুহূর্তের কেনাকাটা করতে জেলা শহরে আসায় পাবনার প্রতিটি মার্কেট, শপিং মল ও দোকানে ভিড় বেড়েছে।’ বাজারে ভিড় বাড়লেও এখনও ঈদের কাক্সিক্ষত ব্যবসা হচ্ছে না বলে দাবি করেন তিনি।

পাবনা শহরের পাথরতলা এলাকার মনিরুজ্জামান শিপন বলেন, ‘ মেয়ের জন্য একটি জামা কেনার জন্য দুপুরে পাবনা নিউ মার্কেট এলাকার একটি দোকানে গিয়ে প্রায় আধা ঘণ্টা দাঁড়িয়ে থাকার পর তা কিনতে সক্ষম হই।’

তিনি জানান, বাজারে অধিকাংশ ক্রেতার মুখেই মাস্ক ছিল না। কোনো দোকানে ছিল না স্যানিটাইজারের ব্যবস্থা। মেয়ের ইচ্ছা পূরণে স্বাস্থ্য ঝুঁকি থাকলেও বাজারে যেতে হয়েছে বলে।

পাবনার জেলা প্রশাসক কবির মাহামুদ বলেন, ‘স্বাস্থ্য ঝুঁকির বিষয়টি মাথায় নিয়ে প্রতিটি ব্যবসায়ীকে স্বাস্থ্যবিধি মেনে ব্যবসা পরিচালনার জন্য বলা হয়েছে। তবুও কারও মাঝেই স্বাস্থ্যবিধি মানার বালাই নেই। গত কয়েকদিনে মোবাইল কোর্টে প্রায় ছয় শতাধিক মামলা দেয়া হলেও কেউই যেন এসবের তোয়াক্কা করছে না।’

প্রশাসনিক অভিযানে বারবার ব্যবসায়ীদের সতর্ক করা হলেও জনগণের উদাসীনতার কারণে কোন নির্দেশনা কার্যকর হচ্ছে না বলে মনে করেন তিনি। এদিকে স্বাস্থ্যবিধি না মেনে কেনাকাটায় মানুষের ভিড় বাড়ায় ঈদের পর করোনা সংক্রমণ নিয়ে উদ্বিগ্ন জেলা স্বাস্থ্য বিভাগ।

পাবনার ডেপুটি সিভিল সার্জন ডা. কে এম আবু জাফর বলেন, ‘করোনা পরিস্থিতি ভয়াবহ আকার ধারণ করেছে। গত কয়েকদিনে রাজশাহী বিভাগের দৈনিক করোনা সংক্রমণের তালিকায় পাবনা জেলা শীর্ষে আছে।’ করোনায় শনিবার (০৮ মে ) পর্যন্ত জেলায় ১৯ জন মারা গেছেন। এদিন নতুন করে আরও ৪২ জন আক্রান্ত হয়েছেন।