বঙ্গোপসাগরে লঘুচাপটি, বন্দরে সতর্কসংকেত

বঙ্গোপসাগরে লঘুচাপটি, বন্দরে সতর্কসংকেত

বঙ্গোপসাগরে লঘুচাপটি ঘূর্ণিঝড়ে রূপ নিতে পারে, বন্দরে সতর্কসংকেত - ছবি- সংগৃহীত

পূর্ব-মধ্য বঙ্গোপসাগর ও তৎসংলগ্ন এলাকায় একটি লঘুচাপ সৃষ্টি হয়েছে। এটি ঘনীভূত হয়ে নিম্নচাপ ও পরবর্তীকালে গভীর নিম্নচাপ এবং ঘূর্ণিঝড়ে রূপ নিতে পারে। এ জন্য আবহাওয়া অধিদফতর থেকে চট্টগ্রাম, কক্সবাজার, মংলা ও পায়রা সমুদ্র বন্দরকে এক নম্বর দূরবর্তী সতর্ক সংকেত দেখাতে বলা হয়েছে।

শনিবার (২২ মে) আবহাওয়া অধিদফতর আরও জানায়, বঙ্গোপসাগরে অবস্থানরত সব মাছ ধরার নৌকা ও ট্রলারকে গভীর সাগরে বিচরণ না করতে বলা হয়েছে। একইসাথে গভীর সাগরে অবস্থানরত সব মাছ ধরার নৌকা ও ট্রলারকে রোববারের মধ্যে উপকূলে ফিরে আসতে বলা হয়েছে।

বর্তমানে লঘুচাপটির বায়ুর গতিবেগ ঘণ্টায় ৩০-৩৫ কিলোমিটার, যা সর্বোচ্চ বায়ুর ঝাপটা ঘণ্টায় ৪৫-৫০ কিলোমিটার পর্যন্ত বৃদ্ধি পাচ্ছে।

এর ফলে সাগর এলাকায় ইতিমধ্যেই প্রচুর মেঘ সঞ্চার ঘটেছে। লঘুচাপটি আগামী ৭ থেকে ৮ ঘণ্টার মধ্যে সুস্পষ্ট লঘুচাপে ও আগামী ১৬-২০ ঘণ্টার মধ্যে নিম্নচাপে পরিণত হতে পারে।

এ দিকে সম্ভাব্য ঘূর্ণিঝড় মোকাবিলায় আগাম প্রস্তুতি নিতে শনিবারই বৈঠক করেছে দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়। দেশের বিস্তীর্ণ অঞ্চলের ওপর দিয়ে তাপপ্রবাহ বয়ে যাওয়ার মধ্যে আন্দামান সাগরে একটি ঘূর্ণিঝড়ের অঙ্কুরোদ্গমের খবর দেন আবহাওয়াবিদরা।

ঘূর্ণিঝড়ে রূপ নিলে এর নাম হবে ইয়াস। আবহাওয়াবিদ মো: শাহীনুল ইসলাম বলেন, শনিবার বেলা ২টার পরে লঘুচাপটি সৃষ্টি হয়েছে পূর্ব-মধ্য বঙ্গোপসাগর ও তৎসংলগ্ন এলকায়। এটি পরবর্তীতে ঘূর্ণিঝড়ে পরিণত হতে পারে। ২৬ মে, বুধবার নাগাদ উড়িষ্যা-পশ্চিমবঙ্গ-বাংলাদেশের খুলনা উপকূলে পৌঁছতে পারে।

ভারতের আবহাওয়া অধিদফতর জানিয়েছে, এই লঘুচাপ রোববার সকালেই নিম্নচাপে রূপ নেবে। এটি আরো ঘনীভূত হয়ে অতিপ্রবল ঘূর্ণিঝড়ে ‍রূপ নিতে পারে।

ধারণা করা হচ্ছে, ঘূর্ণিঝড়ে রূপ নিলে এর বাতাসের গতিবেগ ঘণ্টায় ৯০ থেকে ১১০ কিলোমিটারে উঠতে পারে।