ছেলের সামনে বাবাকে হত্যা মামলার আসামি মনির ‘বন্দুকযুদ্ধে’ নিহত

ছেলের সামনে বাবাকে হত্যা মামলার আসামি মনির ‘বন্দুকযুদ্ধে’ নিহত

প্রতীকী ছবি

রাজধানীর পল্লবীর ইস্টার্ণ হাউজিং এলাকায় নিজ  সন্তানের সামনে বাবা শাহীন উদ্দিনকে নৃশংসভাবে কুপিয়ে হত্যা মামলার এজাহারনামীয় আসামি  মো. মনির ‘বন্দুকযুদ্ধে’ নিহত হয়েছেন।

আজ রবিবার (২৩ মে) সকালে গোয়েন্দা মিরপুর জোনাল টিমের অতিরিক্ত উপপুলিশ কমিশনার (এডিসি) মো. সাইফুল ইসলাম গণমাধ্যমকে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

পল্লবী থানার ডিউটি অফিসার উপ-পরিদর্শক (এসআই) বুলবুল জানান, ডিবি মিরপুর বিভাগের একটি টিমের সঙ্গে ‘বন্ধুকযুদ্ধে’ গুরুতর আহত হন মনির। পরে তাকে উদ্ধার করে শহীদ সোহরাওয়ার্দী মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতাল নিয়ে গেলে দায়িত্বরত চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন। এ ঘটনায় পুলিশের দুজন সদস্য আহত হয়েছেন।

গত রবিবার রাজধানীর পল্লবীর ১২ নম্বর ডি-ব্লকে ৩১ নম্বর রোডের ৩৬ নম্বর বাড়ির সামনে একটি গ্যারেজে সাহিনুদ্দিন (৩৩) নামের ওই যুবককে হত্যাকারী দলের প্রধান ছিলেন ঢাকা মহানগর ছাত্রলীগের সাবেক নেতা সুমন বেপারী। ভিডিও চিত্রে যাদের কোপাতে দেখা যায় তারা সুমনের সহযোগী দুই উঠতি সন্ত্রাসী মানিক ও মনির। প্রকাশ্য দিবালোকে এ হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় ভুক্তভোগীর মা আকলিমা বেগমের অভিযোগের প্রেক্ষিতে গত ১৭ মে পল্লবী থানায় হত্যা মামলা হয়।

মামলার এজাহারে বলা হয়, ১৬ মে বিকেল ৪টার দিকে সুমন ও টিটু নামের দুই যুবক শাহীন উদ্দিনকে জমির বিরোধ মেটানো হবে জানিয়ে ফোন করে ডেকে নেন। শাহীন মোটরসাইকেলে পল্লবীর ডি-ব্লকের ৩১ নম্বর সড়কের ৪০ নম্বর বাসার সামনে গেলে, সুমন ও টিটুসহ ১৪-১৫ জন মিলে তাকে টেনে-হিঁচড়ে ওই বাড়ির গ্যারেজে নিয়ে যান। এ সময় শাহীনের ছয় বছরের ছেলে মাশরাফি গেটের বাইরে ছিল। গ্যারেজে ঢুকিয়ে শাহীনকে চাপাতি, চায়নিজ কুড়াল, রামদা দিয়ে এলোপাতাড়ি কোপাতে থাকেন তারা। এরপর তাকে ওই গ্যারেজ থেকে বের করে ৩৬ নম্বর বাড়ির সামনে আবার কুপিয়ে ফেলে রেখে চলে যান। ঘটনাস্থলেই শাহীনের মৃত্যু হয়।

মামলার প্রধান আসামি লক্ষ্মীপুর-১ আসনের সাবেক এমপি ও ইসলামী গণতান্ত্রিক পার্টির চেয়ারম্যান এম এ আউয়াল। অন্য আসামিরা হলেন- ছাত্রলীগের সাবেক নেতা সুমন, মো. আবু তাহের, মুরাদ, মানিক, মনির, শফিক, টিটু, কামরুল, কিবরিয়া, দিপু, আবদুর রাজ্জাক, মরণ আলী, লিটন, আবুল, বাইট্যা বাবু, বড় শফিক, কালু ওরফে কালা বাবু, নাটা সুমন ও ইয়াবা বাবু। আসামিরা সবাই পল্লবী থানা এলাকার বাসিন্দা।