মেডিক্যালে ভর্তির ফল বাতিল চেয়ে করা রিট খারিজ

মেডিক্যালে ভর্তির ফল বাতিল চেয়ে করা রিট খারিজ

ফাইল ছবি

২০২০-২১ শিক্ষাবর্ষে এমবিবিএস প্রথম বর্ষে ভর্তি পরীক্ষার ‘ত্রুটিপূর্ণ’ ফলাফল বাতিল করে সংশোধিত নতুন মেধা তালিকা প্রণয়নের মাধ্যমে মেডিকেল কলেজগুলোতে শিক্ষার্থী ভর্তির নির্দেশনা চেয়ে করা রিট খারিজ করে দিয়েছেন হাইকোর্ট।

একই সঙ্গে পর্যবেক্ষণে কোনো পরীক্ষার্থী ফল ত্রুটির বিষয়ে আবেদন করলে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরকে সাত দিনের মধ্যে তা নিষ্পত্তি করতে বলেছেন আদালত।

আজ বৃহস্পতিবার (২৭ মে) বিচারপতি এম ইনায়েতুর রহিম ও বিচারপতি সরদার মো. রাশেদ জাহাঙ্গীরের ভার্চুয়াল হাইকোর্ট বেঞ্চ এ আদেশ দেন।  

 গত ১৯ মে ২০২০-২১ শিক্ষাবর্ষে এমবিবিএস প্রথম বর্ষে ভর্তি পরীক্ষার ফলাফল ত্রুটিপূর্ণ দাবি করে তা সংশোধন সাপেক্ষে নতুন মেধা তালিকা প্রণয়নের মাধ্যমে মেডিকেল কলেজগুলোতে শিক্ষার্থী ভর্তির নির্দেশনা চেয়ে ২০২০-২১ শিক্ষাবর্ষে এমবিবিএস ভর্তিচ্ছু শিক্ষার্থীদের পক্ষে সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী ব্যারিস্টার মোহাম্মদ হুমায়ন কবির পল্লব ও ব্যারিস্টার মোহাম্মদ কাওছার হাইকোর্টের সংশ্লিষ্ট শাখায় এ রিট করেন।

রিট আবেদনে বলা হয়, স্বাস্থ্য শিক্ষা অধিদপ্তর কর্তৃক গত ৭ ফেব্রুয়ারি প্রচারিত ভর্তি পরীক্ষার নিয়ম অনুযায়ী একজন পরীক্ষার্থী কোনো মেডিক্যাল কলেজে ভর্তি থাকাবস্থায় তিনি যদি দ্বিতীয়বার ভর্তি পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করেন তবে তার মোট প্রাপ্ত নম্বর থেকে ৭.৫ নম্বর কাটা হবে। আবার কোনো পরীক্ষার্থী যদি গতবছর এইচএসসি পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হয়ে থাকে তাহলে তার ৫ নম্বর কাটা যাবে। কিন্তু ভর্তি পরীক্ষার প্রকাশিত ফল থেকে দেখা যায়, অনেক পরীক্ষার্থীর ক্ষেত্রেই এই নিয়মটি পালন করা হয়নি। যেসব পরীক্ষার্থীর ৭.৫ নম্বর কর্তন করার কথা সেখানে মাত্র ৫ নম্বর কর্তন করা হয়েছে।

রিট আবেদনে আরো বলা হয়, এবারের ভর্তি পরীক্ষায় জাতীয় শিক্ষাক্রম ও পাঠ্যপুস্তক বোর্ড কর্তৃক অনুমোদিত পাঠ্যপুস্তক অনুযায়ী অন্তত দুটি নৈর্ব্যক্তিক প্রশ্নের সঠিক উত্তর ছিল দুটি করে। এছাড়া অন্তত তিনটি নৈর্ব্যক্তিক প্রশ্নের কোন সঠিক উত্তর ছিল না। সংরক্ষিত জেলা ও উপজাতি কোটার আসন পূরণেও ব্যাপক অসঙ্গতি করা হয়েছে। এছাড়া ঢাকা জেলা কোটা আবেদনকারী পরীক্ষার্থীকে দেখানো হয়েছে মেহেরপুর জেলার পরীক্ষার্থী হিসেবে। এসব ত্রুটি ও অসঙ্গতি রেখে মেধাতালিকা প্রণয়ন করার ফলে হাজার হাজার যোগ্য ও মেধাবী পরীক্ষার্থী মেডিক্যাল কলেজগুলোতে ভর্তি হওয়া থেকে বঞ্চিত হওয়ার মুখে পড়েছেন।

এসব কারণে প্রকাশিত ফল বাতিল এবং সকল ত্রুটি ও অসঙ্গতি সংশোধন করে নতুন মেধা তালিকা প্রকাশের জন্য সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে বারবার অনুরোধ জানানো হলেও কোনো পদক্ষেপ নেয়নি। বরং ত্রুটিপূর্ণ মেধাতালিকায় ভিত্তিতেই মেডিক্যাল কলেজগুলোতে ২২ মে থেকে ভর্তিকার্যক্রম শুরু করতে যাচ্ছে। এই ত্রুটিপূর্ণ মেধাতালিকার ভিত্তিতে শিক্ষার্থী ভর্তি করানোর অর্থই হলো প্রকৃত মেধাবী শিক্ষার্থীকে বঞ্চিত করা। যা দেশের সামগ্রিক জনগোষ্ঠীকে স্বাস্থ্যঝুঁকির মধ্যে ফেলে দেওয়ার শামিল বলে উল্লেখ করা হয় রিটে।