খালেদা জিয়ার জ্বর, বিকেলে বসবে মেডিক্যাল বোর্ড

খালেদা জিয়ার জ্বর, বিকেলে বসবে মেডিক্যাল বোর্ড

খালেদা জিয়ার জ্বর, বিকেলে বসবে মেডিক্যাল বোর্ড - ফাইল ছবি

বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার শরীরে জ্বর এসেছে বলে জানিয়েছেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। শুক্রবার (২৮ মে) সকালে রাজধানীর গুলশানে বিএনপি চেয়ারপারসনের রাজনৈতিক কার্যালয়ে ‘বিএনপির বাজেট ভাবনা’ শীর্ষক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ কথা জানান।

মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেন, আপনারা জানেন যে বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া দীর্ঘ দিন ধরে অসুস্থ অবস্থায় হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আছেন। তার ব্যক্তিগত চিকিৎসকরা জানিয়েছেন যে শুক্রবার তার শরীরে জ্বর এসেছে। এজন্য বিকেলে তার চিকিৎসায় নিয়োজিত মেডিক্যাল বোর্ড মিটিংয়ে বসবে। সেখানে তার শারীরিক অবস্থা পর্যালচনার পর পরবর্তী প্রদক্ষেপ নেয়া হবে।

খালেদা জিয়ার শরীরিক অবস্থা সম্পর্কে জানতে চাইলে নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক চিকিৎসক বলেন, ম্যাডামের (খালেদা জিয়া) এই বয়সে শরীরের যে কন্ডিশন তা কোনোভাবেই ভালো বলা যায় না। তবে তার শারীরিক অবস্থা কিছুদিন যাবত স্থিতিশীল ছিল। কিন্তু শুক্রবার সকাল থেকে তার শরীরে তাপমাত্রা আবারো বেড়েছে। এ বিষয়ে মেডিক্যাল টিম বসে পরবর্তী সিদ্ধান্ত গ্রহণ করবে।

এ দিকে সংবাদ সম্মেলনে বাজেট নিয়ে কথা বলতে গিয়ে বিএনপি মহাসচিব বলেন, করোনাভাইরাস মহামারী নিয়ন্ত্রণ ও এ থেকে উত্তরণে বিএনপি ছয় মাসের অন্তর্বর্তীকালীন বাজেট চায়। মির্জা ফখরুল আরো বলেন, করোনাকালে এবারের বাজেট গতানুগতিক বাজেট হওয়া উচিত নয়। করতে হবে বিশেষ সময়ের বাজেট। এর মূখ্য উদ্দেশ্য হবে করোনার প্রভাব মোকাবিলার মাধ্যমে জনগণের স্বাস্থ্যসেবা নিশ্চিত করা ও দুর্ভোগ উপশম করা। যেখানে জীবন-জীবিকার সমন্বয় থাকবে। তবে জীবন আগে।

তিনি বলেন, ক্ষতিগ্রস্ত অর্থনীতি পুনরুদ্ধার করে স্বাভাবিক গতি ফিরিয়ে আনতে দরকার হবে সহায়ক নীতি। অনেকে মনে করেন যে করোনার ভয়াবহতা না কমলে গতানুগতিক বাজেট করে কোনো লাভ নেই। লক্ষ্য হওয়া উচিত আগামী ছয় মাসের জন্য একটি অন্তর্বর্তীকালীন বাজেট।

বিএনপি জীবন বাঁচানোর বাজেট চায় উল্লেখ করে মির্জা ফখরুল বলেন, এবারের বাজেট হওয়া উচিত জীবন বাঁচানোর বাজেট। করোনা নিয়ন্ত্রণ করা না গেলে কোনো বাজেটই কাজে আসবে না।

হরিলুটকে বৈধতা দিতেই এবারের বাজেটে কালো টাকা সাদা করার ব্যবস্থা রাখা হয়েছে মন্তব্য করে বিএনপি মহাসচিব বলেন, করোনাকালে কারা এতো কালো টাকার মালিক হলো, জনগণ তা জানতে চায়।

করোনাকালে এতো বড় আকারের বাজেট জনগণের সাথে তামাশা ছাড়া কিছু নয় বলেও মন্তব্য করেন মির্জা ফখরুল।

এ সময় বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায়, নজরুল ইসলাম খান, ইকবাল হাসান মাহমুদ টুকু ও চেয়ারপারসনের মিডিয়া উইংয়ের সদস্য শায়রুল কবির খান উপস্থিত ছিলেন।