স্বাস্থ্য ঝুঁকির মধ্যে খুলনা বিভাগের ছয় জেলায় অবৈধ সীমান্ত অতিক্রম

স্বাস্থ্য ঝুঁকির মধ্যে খুলনা বিভাগের ছয় জেলায় অবৈধ সীমান্ত অতিক্রম

স্বাস্থ্য ঝুঁকির মধ্যে খুলনা বিভাগের ছয় জেলায় অবৈধ সীমান্ত অতিক্রম-

খুলনা বিভাগের ছয় জেলার বাংলাদেশি নাগরিকরা ভিসা ছাড়াই সীমান্ত অতিক্রম করতে বাংলাদেশ ও ভারতের মধ্যে কয়েকটি পয়েন্ট  ব্যবহার করে আসছে। ছয়টি সীমান্ত জেলা হল-যশোর, ঝিনাইদহ, সাতক্ষীরা, কুষ্টিয়া, মেহেরপুর এবং চুয়াডাঙ্গা।

সূত্রমতে, কিছু লোক অবৈধ র‌্যাকেটের সহায়তায় সীমান্ত অতিক্রম করছে। প্রতিবেশী দেশটির কোভিড -১৯ ক্ষেত্রে সাম্প্রতিক বর্ধনের বিষয়টি বিবেচনা করে সীমান্তবর্তী অ লের মানুষের মধ্যে স্বাস্থ্য ঝুঁকি রয়েছে বলে সূত্র জানিয়েছে।

বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি) ব্যাটালিয়ন-৫৮ এর পরিচালক কামরুল হাসান জানিয়েছে, বর্তমান কোভিড -১৯ পরিস্থিতির মধ্যে লোকেরা ফিরে আসার আর কোন উপায় না থাকায় সীমান্ত পয়েন্ট ব্যবহার করে ভারত থেকে ফিরে আসছেন। যেহেতু তারা অবৈধভাবে ভারতে চলে গেছে, তাই তারা অবৈধভাবে ফিরে আসছেন। 

বিজিবি আরো জানিয়েছে, সীমান্ত অ লে অনেক লোকের আত্মীয়তা থাকায় তারা প্রাংশই প্রতিবেশী দেশে ভ্রমণ করেন। এছাড়াও, তারা সেখানে শ্রমিক হিসাবে কাজ করেন।

মহেশপুরের বিজিবি ব্যাটালিয়ন-৬ এর পরিচালক লেঃ কর্নেল খালেকুজ্জামান বলেছেন যে বিজিবি সেনারা নিয়মিতভাবে সীমান্তবর্তী এলাকায় টানাটানি রোধ করতে নিয়মিত টহল দেয়। যেহেতু সীমানা বেড়া নেই; কেও কেও দেশে প্রবেশের সুযোগ নিচ্ছেন। ১৭ মে থেকে ৭২৫ জন নাগরিক দর্শনা সীমান্ত দিয়ে ফিরে এসেছেন এবং তাদেরকে পৃথকীকরণ ও বিচ্ছিন্নতায় প্রেরণ করা হয়েছেছ। তাদের মতো আরও অনেকে করোনাভাইরাসের পরীক্ষা ছাড়াই ফিরে এসেছেন বলেও তিনি জানান।

সূত্র জানায়, চুয়াডাঙ্গার জীবননগর উপজেলার বেনীপুর ও ধোপাখালি গ্রামের মাধ্যমে এই অনাচার ঘটে মাটিলা, ও ঝিনাইদহের লারাঘাট, সামন্তা এবং খোশালপুর গ্রাম।

চারটি জেলাতে আরও বেশ কয়েকটি গ্রাম রয়েছে যেখানে বাংলাদেশ ও ভারতের সীমান্ত দিয়ে অনাচার হয়। চুয়াডাঙ্গার সিভিল সার্জন ডা: মারুফ হাসান বলেছেন, এটি সম্পূর্ণ অগ্রহণযোগ্য।

কুষ্টিয়া জেনারেল হাসপাতালের আবাসিক মেডিকেল অফিসার ডাঃ তাপস কুমার সরকার বলেছিলেন যে বিষয়টি নিয়ে তিনি সচেতন এবং এটি ক্রস-চেক করা উচিত।