টিকটকসহ বিতর্কিত অ্যাপসগুলো নিষিদ্ধ করার সময় এসেছে : র‌্যাব ডিজি

টিকটকসহ বিতর্কিত অ্যাপসগুলো নিষিদ্ধ করার সময় এসেছে : র‌্যাব ডিজি

র‌্যাব ডিজি চৌধুরী আবদুল্লাহ আল মামুন - ছবি : সংগৃহীত

র‌্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়নের (র‌্যাব) মহাপরিচালক (ডিজি) চৌধুরী আবদুল্লাহ আল মামুন বলেছেন, টিকটক-লাইকিসহ বিতর্কিত অ্যাপগুলো নিষিদ্ধ করার সময় এসেছে। এ সময় বিভিন্ন মোবাইল অ্যাপ ব্যবহারকে কেন্দ্র করে সংঘটিত বিভিন্ন অপরাধের অপরাধীদের তালিকা করা হচ্ছে বলে জানান তিনি।

শনিবার (০৫ জুন) রাজধানী বাংলাদেশ চলচ্চিত্র উন্নয়ন করপোরেশনে (এফডিসি) ডিবেট ফর ডেমোক্রেসি আয়োজিত ‘কিশোর অপরাধ বৃদ্ধিতে সোশ্যাল মিডিয়ার অপব্যবহার’ নিয়ে ছায়া সংসদ বিতর্ক প্রতিযোগিতায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

টিকটক-লাইকিসহ বিভিন্ন মোবাইল অ্যাপ ব্যবহারকে কেন্দ্র করে সংঘটিত বিভিন্ন অপরাধের অপরাধীদের তালিকা করা হচ্ছে জানিয়ে র‌্যাব ডিজি বলেন, ৮২ শতাংশ মানুষ ইন্টারনেট ব্যবহারকারী সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে থাকে। বিভিন্ন অপরাধের জন্য সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমও অনেকাংশে দায়ী। প্রযুক্তিকে গ্রহণ করে নেতিবাচক দিকগুলো পরিহার করতে হবে। যে কোনো ধরনের অপরাধ করে পার পাওয়ার সুযোগ নেই। অপরাধ করে এখন আর কেউ পার পাচ্ছে না। এরপরও কেউ অপরাধ করলে কঠোর ব্যবস্থা নেয়া হবে।

কিশোর গ্যাং ও উগ্রবাদের মতো যেকোনো অপরাধের জন্য অভিভাবকদের সন্তানের প্রতি নজর রাখারও আহ্বান জানান র‌্যাব ডিজি।

যার যার অবস্থান থেকে দায়িত্ব পালন করলে অপরাধ কমে যাবে বলে মনে করেন চৌধুরী আবদুল্লাহ আল মামুন।

উল্লেখ্য, সম্প্রতি ভারতে বাংলাদেশি এক তরুণীকে টিকটক হৃদয়সহ চারজন মিলে যৌন নির্যাতন করে। সেই ঘটনার ভিডিও ধারণ করে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে দেয় তারা।

এ ঘটনার পর বেরিয়ে আসে টিকটক ভিডিও তৈরির ফাঁদে ফেলে তরুণীদের বিদেশ পাচার করার বিষয়টি।
এরপরই পুলিশ ঘটনার অনুসন্ধানে মাঠে নামে। টিকটক হৃদয় বাবুসহ ছয়জনকে গ্রেফতার করা হয়। তাদের মধ্যে দুই নারীও রয়েছেন। এরপর দেশের বিভিন্ন স্থানে অভিযান চালিয়ে আরও বেশ কয়েকজনকে গ্রেফতার করে পুলিশ।

পুলিশ জানায়, তারা অনুসন্ধানে জানতে পেরেছেন, টিকটক ও বিভিন্ন সোস্যাল মিডিয়া গ্রুপের তরুণীদের টিকটক মডেল বানানো ও অন্যান্য প্রলোভন দেখিয়ে উচ্ছৃঙ্খল জীবনে আকৃষ্ট ও অভ্যস্ত করায় বেশ কয়েকটি প্রতারক চক্র। পরবর্তীকালে তাদেরকে পার্শ্ববর্তী দেশ বা উন্নত দেশে বিভিন্ন মার্কেট, সুপারশপ, বিউটি পার্লারসহ বিভিন্ন ধরনের ভালো বেতনের চাকরির প্রলোভন দেখিয়ে বিদেশে পাচার করে দেয় তারা।

মূলত যৌনবৃত্তিতে নিয়োজিত করার উদ্দেশ্যেই পার্শ্ববর্তী দেশের দক্ষিণ অঞ্চলে বেশিরভাগ তরুণীকে পাচার করা হয়। পাচারের পর তাদেরকে বিভিন্ন নেশা জাতীয় মাদকদ্রব্য সেবন করিয়ে জোরপূর্বক অশালীন ভিডিও ধারণ করে ব্ল্যাকমেইল করে এ ধরনের কাজে বাধ্য করায়।