যশোরে করোনা ও উপসর্গ নিয়ে তিনজনের মৃত্যু

যশোরে করোনা ও উপসর্গ নিয়ে তিনজনের মৃত্যু

যশোরে করোনা ও উপসর্গ নিয়ে তিনজনের মৃত্যু

যশোর জেনারেল হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় করোনা আক্রান্ত এবং করোনার সিম্পটম নিয়ে মোট তিনজন মারা গেছেন।  তারা হলেন যশোরের শার্শা উপজেলার রঘুনাথপুর এলাকার রফিউদ্দিন (৭০), যশোর সদরের ঝুমঝুমপুর এলাকার মো. মাসুদের মেয়ে সুমি (১৪) এবং ঝিনাইদহের মহেশপুর উপজেলার পুরন্দরপুর এলাকার অমেদুল ইসলামের ছেলে মকছেদুল ইসলাম (৪৮)।  

হাসপাতাল সূত্রে জানা যায়, রফিউদ্দিন ও সুমি গত ১০ জুন যশোর জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি হন। এদের মধ্যে রফিউদ্দিন শনিবার ভোররাতে এবং সুমি সকাল ৮টার দিকে মারা যান।অপরদিকে, মকছেদুল ইসলাম করোনা সিম্পটম নিয়ে শনিবার সকাল সাড়ে সাতটার দিকে যশোর জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি হন। সকাল সোয়া ৮টার দিকে তিনি মারা যান।

যশোর জেনারেল হাসপাতালের আবাসিক মেডিক্যাল অফিসার (আরএমও) ডা. আরিফ আহমেদ বলেন, রফিউদ্দিন হাসপাতালের করোনা ওয়ার্ডে (রেড জোনে) এবং সুমি করোনা ওয়ার্ডে (ইয়েলো জোন) ভর্তি ছিলেন।  আজ ভোর ও সকালে তারা দুজন মারা যান। এছাড়া জ্বর, সর্দি, কাশি ও শ্বাসকষ্ট নিয়ে আরেক রোগী আজ সকালে করোনা ওয়ার্ডে (ইয়েলো জোন) ভর্তির পর মারা যান।যশোর জেনারেল হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক ডা. আখতারুজ্জামান করোনা আক্রান্ত একজন এবং সিম্পটম নিয়ে দু'জনের মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, তাদের মরদেহ স্বজনদের কাছে হস্তান্তরের প্রক্রিয়া চলছে।

গত ২৪ ঘণ্টায় নতুন করে ৩৫ জনের করোনা শনাক্ত হয়েছে। আজ শনাক্তের হার ২৭ শতাংশ। এছাড়া যশোর জেনারেল হাসপাতালে ৬৪ জন রোগী ভর্তি রয়েছেন। এদিকে, করোনা সংক্রমণ রোধে যশোর পৌরসভা ও নওয়াপাড়া পৌরসভায় ঘোষিত লকডাউন কার্যকর করতে অভিযান অব্যাহত রেখেছে প্রশাসন।

গত ১৬দিন ধরে যশোরের করোনা শনাক্তের হার উদ্বেগজনক। গত ২৪ ঘণ্টায় ১৩৩ নমুনা পরীক্ষা করে ৩৫ জনের করোনা শনাক্ত হয়েছে। যশোর জেনারেল হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা গেছেন ৩জন। এরমধ্যে একজন করোনা ডেডিকেটেড ইউনিটে এবং অপর দুইজন আইসোলেশন ওয়ার্ডে ভর্তি ছিলেন।

হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক ডা. আখতারুজ্জামান জানান, রোগী ভর্তির চাপ বেড়েছে। গত ২৪ ঘণ্টায় করোনার উপসর্গ নিয়ে রেকর্ড সংখ্যক রোগী ভর্তি হয়েছে। যা নির্ধারিত শয্যা সংখ্যার দ্বিগুণ। বর্তমানে করোনা ডেডিকেটেড ইউনিটে ভর্তি রয়েছেন ৬৪জন ও আইসোলেশন ওয়ার্ডে রয়েছে ৪২জন।

যশোরের অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট কাজী মো. সায়েমুজ্জামান বলেন, নমুনা সংগ্রহের হার কম থাকায় আজ শনাক্তের হার কম। তবে শনাক্তের হার এখনও উদ্বেগজনক। যে কারণে করোনা নিয়ন্ত্রণে প্রতিনিয়ত সচেতনতা বৃদ্ধির পাশাপাশি মোবাইল কোর্ট পরিচালনা করছে প্রশাসন। স্বাস্থ্যবিধি না মানায় গত ২৪ ঘণ্টায় ৩৮টি মামলা দিয়ে জরিমানাও আদায় করা হয়েছে এবং অভিযান আজও অব্যাহত থাকবে বলে জানান তিনি।