পাবনা গণপূর্ত অফিসে আওয়ামী ঠিকাদারদের অস্ত্রের মহড়া, দু’টি আগ্নেয়াস্ত্রই থানায় জমা

পাবনা গণপূর্ত অফিসে আওয়ামী ঠিকাদারদের অস্ত্রের মহড়া, দু’টি আগ্নেয়াস্ত্রই থানায় জমা

পাবনা গণপূর্ত অফিসে আওয়ামী ঠিকাদারদের অস্ত্রের মহড়া, দু’টি আগ্নেয়াস্ত্রই থানায় জমা

পাবনা গণপূর্ত অধিদপ্তরে আওয়ামীলীগ ঠিকাদাররা যে আগ্নেয়াস্ত্র প্রদর্শন করেছিলেন সেই দু’টি অস্ত্র  রোববার সকালে পাবনা থানায় জমা দিয়েছেন। পুলিশের পক্ষ থেকে অস্ত্র প্রদর্শনের তদন্ত করছে জেলা পুলিশ।

পাবনা সদর উপজেলা আওয়ামীলীগ নেতা হাজী ফারুক ও পৌর আওয়ামীলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক এ আর খান মামুনের নেতৃত্বে সশস্ত্র মহড়ার সিসিটিভির ফুটেজ সারাদেশে ভাইরাল হয়ে যায়। দেশের অধিকাংশ পত্রিকা ও অনলাইনে এ সম্পর্কিত সচিত্র রিপোর্ট  রোববার প্রকাশিত হয়।

গত ৬ জুন এই ঘটনা ঘটলেও সিসি ক্যামেরায় ধারণ করা একটি ভিডিও প্রকাশ হয় দেরিতে। বিষয়টি নিয়ে সমালোচনার সৃষ্টি করেছে।

জানা গেছে, গত ৬ জুন বেলা ১২টার দিকে সদর উপজেলা আওয়ামী লীগের বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিষয়ক সম্পাদক ফারুক হোসেন কয়েকজনকে সঙ্গে নিয়ে পূর্ত ভবনে ঢুকেন। তার পেছনে শর্টগান হাতে পৌর আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক এ আর খান মামুন এবং জেলা যুবলীগের আহ্বায়ক কমিটির সদস্য শেখ লালুও ছিলেন।

আজ রোববার পাবনার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার ডিএসবি স্নিগ্ধ  আখতার বলেন, এ ব্যাপারে কেও অফিসিয়ালি অভিযোগ করেননি। তবে অস্ত্র দু’টি তারা সদর থানায় জমা দিয়ে ভুল স্বীকার করেছেন বলে সদর থানার ওসি তাকে জানিয়েছেন।

পাবনা জেলা আওয়ামীলীগের দপ্তর সম্পাদক এডভোকেট আব্দুল আহাদ বাবু জানান, বিষয়টি জানার পরপরই তারা জেলা আওয়ামীলীগের পক্ষ থেকে তাদের ডেকে জিজ্ঞাসা করেছেন। তারা তাদের জানিয়েছেন নিজস্ব নিরাপত্তার কারনেই সাথে অস্ত্র নিয়েছিলেন। কোন মহড়া বা হুমকির জন্য নয়। তারপরও আইন শৃংখলা বাহিনী তদন্ত করে দোষ পেলে আইনগত ব্যবস্থা নিবেন। এতে তাদের কোন আপত্তি থাকবে না।

সরকারী দলের পোষ্টধারী নেতাদের এমন অস্ত্র নিয়ে সরকারী অফিসে মহড়া দৌযার বিষয়টি ভালো চোখে দেখছেন না পাবনার সচেতন মহল। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক অনেকেই জানান, এটা ভালো লক্ষণ বহন করে না। অভিযুক্ত হাজী ফারুকের বিরুদ্ধে এর আগেও ট্রেজারী অফিসে গিয়ে অনৈতিক আচরন ও কর্মকর্তাদের মারধরের অভিযোগ রয়েছে। বিষয়টি শক্ত হাতে দেখার জন্য প্রশাসনের প্রতি আহবান জানান তারা।

পাবনার পুলিশ সুপার মহিবুল  ইসলাম হক খান বলেন, “ বিষয়টি নিয়ে তদন্ত চলছে। অস্ত্র আইনের শর্ত ভঙ্গ হয়েছে কিনা খতিয়ে দেখা হচ্ছে।এছাড়া আইনের উর্দ্বে কেও নয়।”