পাবনায় পূর্তভবনে অস্ত্রের মহড়া: সেই আ’লীগ-যুবলীগ নেতাদের শোকজ, দল থেকে অব্যহতি

পাবনায় পূর্তভবনে অস্ত্রের মহড়া: সেই আ’লীগ-যুবলীগ নেতাদের শোকজ, দল থেকে অব্যহতি

পাবনায় পূর্তভবনে অস্ত্রের মহড়া: সেই আ’লীগ-যুবলীগ নেতাদের শোকজ, দল থেকে অব্যহতি-

পাবনা প্রতিনিধি: পাবনা গণপূর্ত অফিসে অস্ত্র নিয়ে মহড়া দেওয়ার ঘটনায় আওয়ামী লীগ ও যুবলীগের তিন নেতাকে দল থেকে অব্যহতি ও স্থায়ীভাবে বহিস্কারের জন্য কারণ দর্শাও নোটিশ প্রদান করা হয়েছে। 

বুধবার (১৭ জুন) সন্ধ্যায় পাবনা জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক গোলাম ফারুক প্রিন্স এমপি স্বাক্ষরিত এক চিঠিতে এই সিদ্ধান্ত জানিয়ে নোটিশ দেয়া হয়। শোকজ প্রাপ্তরা হলেন-পাবনা পৌর আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক মহসীন রেজা খান মামুন (এম আর খান মামুন) এবং পাবনা সদর উপজেলার বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিষয়ক সম্পাদক ফারুক হোসেন ওরফে হাজী ফারুক। দলের সকল পদ থেকে কেন স্থানীভাবে বহিস্কার করা হবেনা এক পক্ষের (১৫ দিনের) মধ্যে তার কারণ দর্শানোর নোটিশ দেয়া হয়। দলের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের এমপিকে এই চিঠির অনুলিপি দেয়া হয়েছে।

এদিকে, একই অভিযোগে পাবনা জেলা যুবলীগের আহবায়ক কমিটির সদস্য শেখ আনোয়ার হোসেন ওরফে শেখ লালুকে যুবলীগ থেকে বহিস্কারের সুপারিশ করেছে পাবনা জেলা যুবলীগ। জেলা যুবলীগের আহবায়ক আলী মর্তুজা বিশ্বাস সনি বলেন, বুধবার আমরা শেখ লালুকে বহিস্কারের সুপারিশ কেন্দ্রে পাঠিয়েছি।

এ ব্যাপারে পাবনা জেলা আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি রেজাউল রহিম লাল ও সাধারণ সম্পাদক গোলাম ফারুক প্রিন্স এমপি‘র সঙ্গে কয়েকবার মোবাইলে যোগাযোগ করা হলে তাদের মোবাইল বন্ধ পাওয়া যায়। রাজশাহীর বিভাগের দায়িত্বপ্রাপ্ত সাংগঠনিক সম্পাদক এসএম কামালের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনিও ফোন রিসিভ করেননি।

জেলা আওয়ামীলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক মোঃ মনির উদ্দিন আহমেদ মান্না ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে বলেন, এ বিষয়ে জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদকক গোলাম ফারুক প্রিন্স এমপির স্বাক্ষর করা চিঠি শোকজ প্রাপ্ত মহসীন রেজা খান মামুন (এম আর খান মামুন) এবং হাজী ফারুকের বাড়ী পৌঁছে দেয়া হয়েছে। এ ছাড়া দলের দফতর সম্পাদক ব্যারিষ্ট্রার বিপ্লব বড়ুয়ার কাছে ওয়াটসআপ ও কুরিয়ার করে পাঠানো হয়েছে।

উল্লেখ্য,গত ৬ জুন দুপুরে সদর উপজেলা আওয়ামী লীগের বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিষয়ক সম্পাদক হাজী ফারুক, পৌর আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক এম আর খান মামুন এবং জেলা যুবলীগের আহবায়ক কমিটির সদস্য শেখ লালুর নেতৃত্বে প্রায় ২৫ থেকে ৩০ জনের একটি দল একাধিক আগ্নেয়াস্ত্র হাতে নিয়ে গণপূর্ত ভবনে যায়। তারা  বিভিন্ন কক্ষে প্রবেশ করে নির্বাহী প্রকৌশলী আনোয়ারুল আজিমকে খুঁজতে থাকেন। তাদের সশস্ত্র মহড়ার বিষয়ে লিখিত অভিযোগ না থাকলেও পুলিশ নিজ উদ্যোগে ঘটনা তদন্তে নামে। জেলা আইনশৃঙ্খলা কমিটির বৈঠকে বিষয়টি উত্থাপন হলে, জেলা জুড়ে সমালোচনা শুরু হয়। ঘটনার সিসিটিভি ফুটেজ ছড়িয়ে পড়লে গণমাধ্যমে সংবাদ প্রকাশ হলে পুলিশ আগ্নেয়াস্ত্রগুলি জব্দ করে। তদন্তে বৈধ অস্ত্রের অবৈধ ব্যবহারের বিষয়টি প্রমাণিত হওয়ায় মঙ্গলবার লাইসেন্স বাতিলের সুপারিশ জানিয়ে প্রতিবেদন দিয়েছে জেলা পুলিশ। চলতি মাসের ১২ তারিখ সিসিটিভি ফুটেজে বিষয়টি ভাইরাল হলে সারা শহরে তোলপারের সৃষ্টি হয়।