জামিন পেলেন ডিআইজি (প্রিজনস) পার্থ গোপাল

জামিন পেলেন ডিআইজি (প্রিজনস) পার্থ গোপাল

জামিন পেলেন ডিআইজি (প্রিজনস) পার্থ গোপাল-

ঘুষ গ্রহণ ও অর্থপাচার মামলায় বরখাস্ত হওয়া সিলেট কেন্দ্রীয় কারাগারের উপ-মহাপরিদর্শক (ডিআইজি প্রিজন্স) পার্থগোপাল বণিকের জামিন আবেদন মঞ্জুর করেছেন আদালত। ঢাকার বিশেষ জজ আদালত-৫ এর বিচারক ইকবাল হোসেনের ভার্চুয়াল আদালত তার জামিন মঞ্জুর করেন।

বৃহস্পতিবার (১৭ জুন) ঢাকার বিশেষ জজ আদালত-৫ এর বিচারক ইকবাল হোসেনের ভার্চ্যুয়াল আদালত তার জামিন মঞ্জুর করেন। আজ শনিবার (১৯ জুন) দুদকের সাধারণ নিবন্ধন কর্মকর্তা মো. জুলফিকার গণমাধ্যমকে এ তথ্য জানান।

গত বছরের ৪ নভেম্বর তার বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠনের মাধ্যমে বিচার শুরুর আদেশ দেন আদালত। এরপর ১৫ ডিসেম্বর এ মামলায় সাক্ষ্যগ্রহণ শুরু হয়৷ 

গত বছরের ২৪ আগস্ট মামলার তদন্ত কর্মকর্তা দুদকের উপ-পরিচালক মো. সালাহউদ্দিন ডিআইজি প্রিজনস পার্থের বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র দাখিল করেন। অভিযোগপত্রে মোট ১৪ জনকে সাক্ষী করা হয়েছে।  

অভিযোগপত্রে বলা হয়, পার্থ গোপালের কাছ থেকে উদ্ধার হওয়া ৮০ লাখ টাকার কোনো বৈধ উৎস তিনি দেখাতে পারেননি। অর্থাৎ তিনি সরকারি দায়িত্ব পালনকালে ৮০ লাখ টাকা বিভিন্ন অনিয়ম, ঘুষ, ‍দুর্নীতি ও ক্ষমতার অপব্যবহার করে উপার্জন করে অর্থপাচারের উদ্দেশ্যে নিজ বাসায় লুকিয়ে রেখেছেন মর্মে প্রমাণিত হয়।  

অভিযোগপত্রে আরো বলা হয়, ২০১৪ সালে তিনি ৩১ হাজার ২৫০ টাকা বেতন স্কেলে কারা উপ-মহাপরিদর্শক পদে পদোন্নতি লাভ করেন। তার এই বেতন স্কেলের সঙ্গে এত টাকা অর্থ উপার্জন অসামঞ্জস্যপূর্ণ। তিনি তার কোনো ব্যাংক অ্যাকাউন্ট থেকে তা উত্তোলন করেননি বা তিনি কখনও এই অর্থ আয়কর বিবরণীতেও প্রদর্শন করেননি। যা দণ্ডবিধির ১৬১ ধারা, দুর্নীতি দমন কমিশন আইন, ২০০৪ এর ২৭(১) ধারা, দুর্নীতি প্রতিরোধ আইন, ১৯৪৭ এর ৫(২) ধারা এবং মানিলন্ডারিং প্রতিরোধ আইন, ২০১২ এর ৪(২) ধারায় শাস্তিযোগ্য অপরাধ।

উল্লেখ্য, ২০১৯ সালর ২৮ জুলাই সকাল থেকে পার্থ গোপালকে জিজ্ঞাসাবাদের পর বিকেলে তার গ্রিন রোডের বাসায় অভিযান চালানো হয়। দুদকের পরিচালক মুহাম্মদ ইউসুফের নেতৃত্বে একটি দল পার্থ গোপালের বাসায় অভিযান চালায়। অভিযানে ৮০ লাখ টাকা উদ্ধার করা হয়।