ভালো থাকুক পৃথিবীর সকল বাবারা

ভালো থাকুক পৃথিবীর সকল বাবারা

ভালো থাকুক পৃথিবীর সকল বাবারা

বাবা মানে হাজারটা আবদার পূরণ।  প্রতিটা সন্তান তার বাবার কাছে রাজপুত্র বা রাজকন্যার মতো। যথই বিপদ আসুক বাবা তার ছেলে/মেয়েকে আগলে রাখেন বুকের মাঝে।  সন্তানের সকল চাহিদা মেটানোর জন্য প্রতিটা বাবাই তার সাধ্য মতো চেষ্টা করেন।  কেননা বাবা মানেতো বটবৃক্ষের ছায়া। বাবা মানে নির্ভরতা। সন্তানের প্রতি বাবার ভালোবাসা চিরকালের।

আর বাবার প্রতি ভালোবাসা প্রকাশের একটি অন্যতম দিন হলো বাবা দিবস। আজ বিশ্ব বাবা দিবস। প্রতি বছরের জুন মাসের তৃতীয় রোববার সারা বিশ্বে পালিত হয় বিশ্ব বাবা দিবস।  পশ্চিমা বিশ্বে এ ধারণা প্রচলিত হলেও আমাদের দেশেও দিনটি উদযাপন করা হয়। বিশ্বের ১১১টি দেশে পালিত হয় বাবা দিবস।

আজ বিশ্বের সব বাবার প্রতি ভালোবাসা জানাচ্ছেন সন্তানেরা। ভালোবেসে উপহারও দেবেন। ফেসবুক, ইনস্টাগ্রামের ওয়ালগুলো ভরে যাবে প্রিয় বাবার ছবিতে।

বাংলাদেশে জাতীয় দলের ক্রিকেটার মুশফিকুর রহীম তার ফেসবুক পেজে বাবাকে নিয়ে লিখেছেন, আমার সুপারহিরো বাবা আমাকে এবং বাংলাদেশের জন্য সর্বদা মাঠে উপস্থিত থাকেন। তাঁর আশীর্বাদ সত্যই আমাকে আমাদের জাতির জন্য ভাল পারফর্ম করতে অনুপ্রাণিত করে। আব্বু তোমাকে ভালোবাসি.বিশ্বজুড়ে সমস্ত পিতাকে দিবসের শুভেচ্ছা।

ঢাকা বিশ্বিবিদ্যালয়ের ছাত্র জাহিদ হোসেন তার বাবা কে নিয়ে ফেসবুকে লিখেছেন, চার বছর ব্যবসায় শিক্ষা পড়ে যখন জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের ফিন্যান্সে চান্স পাই, তখন আমি তো মহাখুশি।

দুদিন পরে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজাল্ট। সিট মাত্র ১১৭৫। আর আমার মেধাস্থান ১২৪৭.

আমি দেখলাম, রেজাল্ট শুনে বাবার মাইগ্রেনের ব্যথা উঠলো। তিনি শুয়ে পড়লেন। বাবাকে এরকম মুষড়ে পড়তে আমি আর কখনো দেখিনি।

বুঝলাম, তিনি খুব করে চাচ্ছিলেন আমি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ি। এই চাওয়াটার আরেকটা কারন হতে পারে, ভাইয়া ইতিমধ্যে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে অর্থনীতিতে পড়ছে। দুই ছেলে দেশের দুই সেরা বিদ্যাপীঠে পড়াবে, এমন স্বপ্ন তিনি দেখতেই পারেন।

বিবিএ পড়ার "মায়া" থেকে মুক্ত হয়ে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ডি ইউনিটে পরীক্ষা দিলাম। এবার আর বাবার মাইগ্রেনের ব্যথা হয়নি। কারন আমার মেধাস্থান এসে দাড়ালো ২২৭।

সমাবর্তনের সময় তাই বাবাকে কাছে চেয়েছিলাম।

কারন ইনি তো সেই বাবা যিনি ইদে নিজের জন্য একটা পোশাকও নেন না, চরম অসুস্থ না হলে ডাক্তার দেখান না, অথচ ছেলের পড়ালেখার জন্য ছেলেবেলা থেকেই শহরের সবচেয়ে ভালো শিক্ষকের কাছে পড়তে পাঠাতেন।

ইতিহাস থেকে জানা যায়, ১৯০৮ সালে প্রথম বাবা দিবস উদযাপনের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছিল। যুক্তরাষ্ট্রের ওয়েস্ট ভার্জিনিয়ার ফেয়ারমন্টে ৫ জুলাই এই দিবস পালন করা হয়। ১৯৬৬ সালে যুক্তরাষ্ট্রের তত্কালীন প্রেসিডেন্ট লিন্ডন বি জনসন জুন মাসের তৃতীয় রোববারকে আনুষ্ঠানিকভাবে বাবা দিবস হিসেবে নির্ধারণ করেন।