এপ্রিল জুড়ে নির্যাতনের শিকার ১৯৩ নারী ও কন্যাশিশু

এপ্রিল জুড়ে নির্যাতনের শিকার ১৯৩ নারী ও কন্যাশিশু

ফাইল ছবি

চলতি বছরের এপ্রিল মাসে সারাদেশে মোট ১৯৩ জন নারী ও কন্যাশিশু ধর্ষণ, গণধর্ষণ, হত্যাসহ নানা নির্যাতনের শিকার হয়েছেন বলে জানিয়েছে বাংলাদেশ মহিলা পরিষদ। এদের মধ্যে ১০৫ জন নারী ও ৮৮ জন কন্যাশিশু রয়েছেন।

বৃহস্পতিবার (২ মে) গণমাধ্যমে পাঠানো মহিলা পরিষদের সাধারণ সম্পাদক মালেকা বানু স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে এই তথ্য জানানো হয়েছে।

মহিলা পরিষদের কেন্দ্রীয় লিগ্যাল এইড উপ-পরিষদে সংরক্ষিত ১৩টি জাতীয় দৈনিক পত্রিকায় প্রকাশিত সংবাদ বিশ্লেষণ করে এই তালিকা তৈরি করা হয়েছে।

গণমাধ্যমে পাঠানো ওই বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, পত্রিকায় প্রকাশিত সংবাদ অনুসারে ২০২৪ সালের এপ্রিল মাসে মোট ১৯৩ জন নারী ও কন্যা শিশু নির্যাতনের শিকার হয়েছেন। এরমধ্যে ধর্ষণের শিকার হয়েছেন ২১ জন কন্যাশিশুসহ ২৭ জন। যার মধ্যে ১২ কন্যাশিশুসহ ১৫ জন দলবদ্ধ ধর্ষণের শিকার হয়েছেন। ধর্ষণের চেষ্টার শিকার হয়েছে ৪ জন নারী। আর ধর্ষণের পর হত্যা করা হয়েছে ৩ জনকে। তাদের মধ্যে দুইজন নারী ও একজন কন্যাশিশু রয়েছে। ধর্ষণের পর আত্মহত্যা করেছে একজন।

নির্যাতনের চিত্র তুলে ধরে বলা হয়, উল্লিখিত সময়ে যৌন নিপীড়নের শিকার হয়েছে ৫ কন্যা শিশু ও ৪ জন নারী। পাশাপাশি উত্ত্যক্তের শিকার হয়েছেন দুইজন নারী ও কন্যাশিশু। পাচারের শিকার হয়েছেন দুইজন নারী ও কন্যাশিশু। এসিডদগ্ধ হয়েছেন একজন। এ সময় অগ্নিদগ্ধের কারণে একজন মৃত্যুবরণ করেছেন।

বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয়, এপ্রিলে যৌতুকের কারণে নির্যাতনের শিকার হয়েছেন দুই নারী। আর যৌতুকের কারণে হত্যা করা হয়েছে একজন নারীকে। ১৬ জন বিভিন্ন ধরনের শারীরিক নির্যাতনের শিকার হয়েছেন। যার মধ্যে দুই কন্যাশিশুও রয়েছে। শারীরিক নির্যাতনের শিকার হয়েছেন ৪ জন নারী। এ সময়ে এক শিশুসহ তিন গৃহকর্মী নির্যাতিত হয়েছেন এবং একজন কন্যাশিশু হত্যার শিকার হয়েছেন।

মহিলা পরিষদের তথ্য অনুযায়ী, এই সময়ে বিভিন্ন কারণে ৭ জন কন্যাশিশুসহ ৩৩ জনকে হত্যা করা হয়েছে। হত্যাচেষ্টার শিকার হয়েছেন একজন কন্যাশিশু। দুইজন কন্যাশিশুসহ ১৫ জনের রহস্যজনক মৃত্যু হয়েছে। আর ছয়জন কন্যাশিশুসহ ১৫ জন আত্মহত্যা করেছেন। তিনজন কন্যাশিশুকে অপহরণ করা হয়েছে। এছাড়া একজনকে অপহরণের চেষ্টা করা হয়েছে।

বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয়েছে, শুধু এপ্রিল মাসে ফতোয়ার মুখোমুখি হয়েছেন দুইজন নারী। বাল্যবিবাহের চেষ্টা হয়েছে ১২টি। সাইবার ক্রাইমের শিকার হয়েছেন তিনজন কন্যাশিশুসহ ৫ জন। এছাড়াও ১৪ জন বিভিন্নভাবে নির্যাতনের শিকার হয়েছেন। যার মধ্যে ১২ জন নারী ও দুইজন কন্যাশিশু।