আশুলিয়ায় মসজিদের টাকা আত্মসাতের প্রতিবাদ করায় ইমামকে হত্যার হুমকি

আশুলিয়ায় মসজিদের টাকা আত্মসাতের প্রতিবাদ করায় ইমামকে হত্যার হুমকি

আশুলিয়ায় মসজিদের টাকা আত্মসাতের প্রতিবাদ করায় ইমামকে হত্যার হুমকি

সাভারের আশুলিয়ায় একটি মসজিদের টাকা আত্মসাতের অভিযোগ উঠেছে। এ ঘটনায় আশুলিয়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান শাহাবুদ্দিন মাদবর,তার আপন ভাই মো. আশরাফ উদ্দিন মাদবর ও তার বোনজামাই মো. মজিবরের বিরুদ্ধে আশুলিয়া থানায় একটি লিখিত অভিযোগ করা হয়েছে। গতকাল বুধবার টাকা আত্মসাৎ ও হুমকির বিষয়ে এ অভিযোগ দায়ের করেন আশুলিয়ার খেজুর বাগান কেন্দ্রীয় মসজিদুন নূর এর ইমাম মুফতি মাসউদ মুস্তফা।

অভিযোগপত্রে উল্লেখ করা হয়, মুসল্লিদের নিকট থেকে প্রাপ্ত দানের টাকার বিষয়ে হিসাব চেয়ে সবাইকে তা  পরিষ্কার করতে বলেন মসজিদের ইমাম মুফতি মাসউদ মুস্তফা। এতে ক্ষিপ্ত হয়ে চেয়ারম্যান সাহাবুদ্দিন মাদবরের ছোট ভাই আশরাফ উদ্দিন মাদবর মসজিদের ইমামকে বিভিন্ন ভাবে ভয়ভীতি দেখানোসহ অকথ্য ভাষায় গালমন্দ করেন। 

এ বিষয়ে মুফতি মাসউদ মুস্তফা বলেন, দীর্ঘদিন ধরে ওয়ান টাইম রশিদে মুসুল্লিদের টাকা আদায় করে আসছিল তারা। আমি ওয়ান টাইম রশিদ বাদ দিয়ে কার্বন কপি যুক্ত রশিদে টাকা জমা রাখার কথা বলি। এবং প্রত্যেক সপ্তাহে সবার সামনে অর্থের হিসাব পরিস্কার করতে বলি। এতে ক্ষিপ্ত হয়ে চেয়ারম্যান এবং তার ভাই আমাকে মেরে ফেলার হুমকি দেয়। এমনকি আমাকে যারা সাহায্য করবে তাদেরকেও হত্যা করা হবে বলেও হুমকি দেয় তারা। আমি নিরুপায় হয়ে মুসুল্লিদের দানের টাকা রক্ষা ও আমার জীবনের নিরাপত্তার জন্য আশুলিয়া থানায় অভিযোগ দায়ের করতে বাধ্য হয়েছি।

আরো এক প্রশ্নে তিনি বলেন,চেয়ারম্যান অনেক প্রভাবশালী।আমাকে পেলে ওরা মেরে ফেলবে। বিভিন্ন মানুষকে দিয়ে ফোন করাচ্ছে। আমি এখন পালিয়ে গা ঢাকা দিয়ে চরম নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছি।

নাম প্রকাশ না করার শর্তে স্থানীয় এক মুসল্লী বলেন, আশরাফ উদ্দিন মাদবর আমাদের মসজিদের উপদেষ্টা। উনি যখন যে সিদ্ধান্ত নেন তাই আমাদের মেনে নিতে হয়। শাহাবুদ্দিন চেয়ারম্যানের ভাই দেখে কেউ তাকে কোনো কথা বলার সাহস পায়না।

অভিযোগের বিষয়ে জানতে চাইলে আশুলিয়া ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান সাহাবুদ্দিন মাদবরের মোবাইল ফোনে বারবার কল করা হলেও তাকে পাওয়া যায়নি।

অন্য দিকে তার ভাই আশরাফ উদ্দিনের সাথে যোগাযোগ করা হলে বিষয়টি অস্বীকার করে তিনি বলেন, হুজুর আমার বিরুদ্ধে মিথ্যাচার করে আসছে।  উনি একটা কাফের,উনি নাস্তিক। মসজিদের উপদেষ্টা হিসেবে আছি,সেই কমিটিতে সভাপতি ও সেক্রেটারি আছে। মাসউদ মুস্তফা ইমামের চাকুরী করেন! ও আয় ব্যায়ের হিসাব চাওয়ার কে.?" আসন্ন ইউপি নির্বাচনকে সামনে রেখে ষড়র্যন্ত্রমূলক ভাবে এসব অপপ্রচার চালিয়ে আসছে প্রতিপক্ষের লোকজন।

এ ব্যাপারে আশুলিয়া থানার উপ-পরিদর্শক(এস আই) ফরহাদ বিন করিম বলেন, অভিযোগের কপি হাতে পাওয়ার পর এ ব্যাপারে তদন্ত করে প্রয়োজনীয় ব্যাবস্থা গ্রহন করা হবে।